মানুষ যখন খেতে না পেরে যারা দারিদ্রের জ্বালায় মরতে বসেন। আর তখন তা কারো কাছে অর্থনীতিক দুর্দসার ইতিহাস শুনালে কোন লাভ হয় কি? হয় না! তেমনি ডেঙ্গু বা অজেনা কোন জ্বরে যখন সমাজ থর থর করে কাপছে। তখন রোগ নিরাময়ে কোন লাভ হয় না। তাই ধরুন এই ডেঙ্গুর কথা এই ডেঙ্গু ভাইরাস এর উদ্ভক হয়েছিলো কিন্তু বাদুর থেকে। আর ঠিক কোথায় বাদুরের শরীর থেকে কিভাবে মানুষের শরীরে এই ডেঙ্গু ভাইরাস চলে এলো তা নিয়ে নিশ্চিত নন বিজ্ঞানিরা। তবে আফ্রিকা বা দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এই সর্বনাশী কান্ডটা ঘটিয়েছিলো বলেই তাদের অনুমান। বিংশ শতকের মাঝা মাঝি এই রোগটি ছড়িয়েছিলো কয়েকটি জায়গায়। এমনকি বলা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। যখন যুদ্ধের মালপত্র বহনে জাহাজে বা গাড়ীতে করে এডিস মশা পৌছে গেলো বিশ্বে নানা পান্তে। আর এই ডেঙ্গু ভাইরাস এক শরীর থেকে অন্য শরীরে বহন করে নিয়ে যায় এই এডিস মশা। বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় ভিক্টোর আর রোগ ছাড়ানোর কাজটা থেমে থাকে নি এর পরেও। এবং তা গতি পেয়েছে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। এবং আজ তা জাকিয়ে বসেছে আমাদের সমাজে। তবে ডেঙ্গু একমাত্র নয় জন্তু জানোয়ারের থেকে মানুষের দেহে চলে আসা আরো অনেক ভাইরাস রয়েছে। কেন আসছে এগুলো? কে দায়ি? বলতে পারেন? হয়তোবা না! তবে হে এ সব কথার উত্তর দিতে গেলে একসঙ্গে অনেক তক্ত এসে হাজির হয়। তবে আজ আমরা দোষটা চাপাবো অরণ্যের ধ্বংসের ওপর শুধুমাত্র নিরক্ষে অঞ্চলে থাকা রেইন ফরেষ্ট থেকে অচেনা অজানা বহু ভাইরাস চলে আসে এই মানব সমাজে। ধরা যাক দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থাকা একটি দ্বিপের কথা নাম বরনিও। এবং মালয়েশিয়া ইন্দোনেশিয়া আর্ব্রনে তিনটি দেশ আছে এই ভূ-ভাগে। আর এই দ্বিপে রয়েছে বিশ্বের প্রাচীনতম সেই রেইন ফরেষ্টে তার একটি বিরাট অংশ। সেখানে ডুকলে যেসব প্রাণী দেখা যায় সেগুলো বেশির ভাগে আমাদের কাছে অপরিচিত এবং তা অজানা। শুধু তাই নয়! এখানকার জন্তুরা বয়ে নিয়ে বাড়াচ্ছে অগন্তি ভাইরাস। আর তাদের সামান্য একটা অংশ হয়তো চেনেন আমাদের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তাতে কি? জঙ্গলের ভাইরাস যদি জঙ্গলেই থাকে। আর সেই ভাইরাস বয়ে নিয়ে জন্তুগুলো যদি সেখানে সুস্থ থাকে তবে তাতে কার কি এসে যায়। তবে হে উত্তরটি দেয়ার জন্য আনতে হবে পাম তেলের প্রসঙ্গ। যদি দোকান থেকে কিনে সরাসরি এই তেল আমরা ব্যবহার নাও করি তাহলে আমাদের রোজকার জিবনে পাকা জায়গায় করে নিয়েছে এই পাম তেল। আর ওসব থেকে আইসক্রিম শিল্পকারখানা থেকে অনেক ধরনের কসমেটিক্স সর্বত্র আসে এই পাম তেল থেকে। আর এসব ব্যবহারে উপচে পড়ছে আমাদের সমাজের নারীরা এমনকি অমার আপনার বোনেরা। কারণ তাদের ত্বক চকচক রাখতে হবে মাথার চুল ওবদি পায়ের নখ প্রর্যন্ত। তারা জেনেও বুঝতেছেনা নাকি নিজে বিপদের মুখে এগিয়ে যাচ্ছে কে জানে? তবে এ নিয়ে বিরোধীতা করছি না। আর এতই যখন এসব প্রয়োজনিও সেটা তখন যোগানত থাকতেই হবে। আর এই বরনিও রেইন ফরেষ্টে বিরাট জায়গা ধ্বংস করে তৈরি হয়েছে পাম চাষের চাষ। এবং রেইন ফরেষ্টে যখন গাছপালা কাটা হচ্ছিলো তবে সেখানকার নানা রকমের প্রাণীর ভবিষ্যৎ আর ভাব-বার দায় ছিলোনা কারো। কোথায় যাবে পেটে হাতি? তবে ফলের রস খাওয়া বাদর বা হরিণ গুলোর কথা, আর এই পাম তেলের কারাবারিদের বয়ে গেছে সেসব ভাবতে। আর সেই গাছ গুলো কাটার সঙ্গে সঙ্গে মারা পড়লো অধিকাংশ প্রাণীও। আর বাকিদের মাঝে কিছু উকি ঝুকি দিলো আসেপাশে এবং গড়ে ওঠা বসতিতে। মানুষের কাছে এতটুকু আসা যাওয়া তাদের শরীর থেকে ভাইরাস মানুষের শরীরে যাওয়া আরো অনেক সহজ হলো। আর সৃষ্টি হলো নানা ধরনের অজানা রোগের প্রকপ। তবে হে ভূলে গেলে চলবে না? এই যে এইডস কিন্তু এসেছিলো সেই রেইন ফরেষ্ট থেকে। আর এখন ছড়াচ্ছে মানব জাতির থেকে। তবে রেইন ফরেষ্ট থেকে কিন্তু আরো মারাত্বক রোগ আছে যেমন, সিকা আর এ্যাবোলা তাই আরো যে কত আসবে কে জানে! বলতে পারেন? অতত্রব, বেঁচে থাকতে হলে আমাদের ভগের আশ টানতে হবে। আর কমাতে হবে আমাদের নিত্যেদিনের প্রয়োজন গুলো। তানা হলে এক প্রজাতি থেকে আরেক প্রজাতির ভাইরাসের ছটাছুটি অবিরত চলবেই বা চলতেই থাকবে। আর এর শেষ কোথায় কে জানে?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ওয়াহিদ মামুন লাভলু
শেষ কোথায় তা সত্যিই কেউ জানে না। কারণ ভবিষ্যতে কি হবে তা মানুষের পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আসলে এক শরীর থেকে আরেক শরীরে ভাইরাস যাওয়াটা অনেক ভয়াবহ। চমৎকার লেখনী। শ্রদ্ধা গ্রহণ করবেন। অনেক শুভকামনা রইলো। ভাল থাকবেন।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।