গ্রাম থেকে অদূরে আশিক সাহেবের বাস।তিনি চাকরির সুবাদে ও ছেলে মেয়েদের মানুষ করার জন্য পরিবার নিয়ে থানা এলাকায় এসে বাস করেন। তার বাবা মা ভাই বোন গ্রামেই বাস করেন।মেয়ে সারা কে নিয়ে আশিক সাহেবের তেমন চিন্তানেই । কারণ সে লেখা পড়ায় ভাল ও বুদ্ধিমতী। কিন্তু তার ছেলে আলমকে নিয়ে তার যত চিন্তা!আলম খুব শান্ত ছেলে। সে খুব কম কথা বলে।মানুষের সাথে তেমন মিশতে জানে না। তার মনে খুব ভয়।এ বিষয়টা নিয়ে তার সাথে তার বন্ধুরা মজা করে।আলম বাইরে তেমন বেরহয়না।কারণ সে ভাবে সেবাইরে বেরহলে তাকে কুকুরে কামড়াতেপারে কিংবা পথে যানবাহনের সাথে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।সে বন্ধুদের সাথে খেলে না।কারণসে ভাবে যদিতার খেলার অদক্ষতার কারণে তার বন্ধুরা তাকে উপহাস করতে পারে। সে শিক্ষকদের প্রশ্ন করেনা।কারণ সে ভাবে যদিতার পড়া শুনার দূর্বলতার জন্য শিক্ষকগণ তাকে বকাবকি করতে পারে। তাই সে সারা দিন পড়া শুনা করে ও ভাল ফলাফল করতে পারেনা।মাধ্যমিকে টেনেটুনে পাস করে যখন সে উচ্চমাধ্যমিকে গেল তখন সে আরো ফ্যাসাদে পড়ল। কারণ এই সময় ছেলেমেয়েরা বদলে যায়। কিন্তু সেই আলমের কোন বদল হল না। সে মনে হল আর ও বেশি হাবা গোবা হয়ে যাচ্ছে । সে প্রতি পদে পদে লাঞ্চিত হতে লাগল। কলেজটা তার বাড়ি থেকে দূর হওয়ায় তাকে বাড়ি ছেড়ে মেসে থাকতে হয়েছিল।তাই তার কষ্ট আরো বেড়ে গেল। মেয়েরা পর্যন্ত তাকে উপহাস করত। তার কলেজের কিছু ছেলে নেশা করত। কিন্তু তার কলেজে এই নেশা করা নিষিদ্ধ ছিল।একদিন কেউতার কলেজের অধ্যক্ষের কাছে প্রতিবেদন জানালো যেএই কলেজের ছেলেরা নেশা করে। তখন কলেজের সব ছেলের ব্যাগ এই নেশার জন্য সার্চ করা হল। হতভাগা আলম তাতে ধরা পড়ল। কোন
এক দুষ্টু ছেলে তার ব্যাগে নেশা দ্রব্য ঢুকিয়েদিয়ে ছিল। আলমকে ৬মাসের জন্য বহিষ্কার করা হল। আলম এবার বাড়িতে মিথ্যা বলল যে তার কলেজ কিছু ঝামেলার জন্য বন্ধ আছে। কারণ তার এই ঘটনা বাড়ির লোকের মেনে নিতে অনেক কষ্ট হবে। তার আবার কলেজে অনু প্রবেশের পর তাকে একটি অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠের দায়িত্ব দেয়া হল।তার কাছে এটা অনেক কঠিন কাজ। সে অনুষ্ঠানের দিন কাঁদতে লাগল। তখন সহসা সেবাইরে দেখল যে একবালক অনেক দ্রুত গতিতে বল করছে। তার বলে এক তরুণ আউট হয়ে গেল।আলমের ঘরের পাশে মাঠ থাকায় খেলা দেখা যেত। আলম তাদেখে অবাক হল। সে অনুষ্ঠানে গিয়ে যখন মঞ্চে উঠল তখন সবাই অট্টহাসি দিল। প্রথমে আলম আমতা আমতা করল। কিন্তু পরে সে এমন কবিতা আবৃত্তি করলো যে সবাই অবাক হয়ে গেল। কলেজের বাংলা স্যার বললেন এত দ্বিতীয় নজরুল! আলম কে তিনি বুকে জড়িয়ে ধরলেন। তিনি আলম কে বললেন যে তার পরিবারের কাছে সব কথা তিনি খুলে বলবেন। আলম তাতে কোন ভয় পেলনা। আলমের বাবা সব শুনে অশ্রু বিসর্জন করে বললেন,আমার ছেলে যে জড়তা কাটিয়ে উঠেছে তাতেই আমি খুশি। তার পর থেকে আলম এক অন্য আলম হয়ে উঠল। কলেজে দুষ্টু ছেলেরা আবার তাকে প্রতারিত করতে গেলে সে তাদের মুখোশ খুলে দিল। এবার তাদেরকে বহিষ্কার করা হল। আলম তার সাহসিক তার জন্য এক দিন পুলিশের চাকরি পেল। এভাবেই ভীতু আলম সাহসী আলমে পরিণত হল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
শুরুতে আপনাকে মনে রাখতে হবে- কারণ এবং কিন্তু এই দু'টো শব্দ কখনও বাক্যের শুরুতে হয় না বিদায়, এ দু'টো শব্দের যে কোন একটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে তার পূর্বে অবশ্যই কম ব্যবহার করবেন। দাড়ি দিয়ে কারণ/ কিন্তু ব্যবহার করবেন না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আর লেখা চমৎকার ছিল, কিন্তু ভৌতিক বিষয়টা খুজে পেলাম না.... যা হোক, অনেক শুভকামনা সহ ভোট রইল....
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।