নীরব কান্না

ঋণ (জুলাই ২০১৭)

আওসাফ অগ্নী
  • ২৫
গ্রামের ছেলে আলমাস। তার পরনে থাকে হাফশার্ট আর বানানো প্যান্ট। সে কোথাও গেলে এগুলি বেশির ভাগ সময় পরে। একদা সে ভর্তি হল মহাবিদ্যালয়ে। এখানে যারা পড়াশুনা করে তারা সবাই তার চেয়ে সুদর্শন। তার বন্ধুত্ব হয় রাজা নামে এক ছেলের সাথে। আলামাস ধনী পরিবারের ছেলে।কিন্তু তাকে দেখে তাবু ঝার উপায় নেই ।কিন্তু রাজা গরীব পরিবারের ছেলে হলেও তার ভাবটা রাজার মতই ছিল। তাদের প্রতিষ্ঠানে ছেলে মেয়ে মেলামেশা ও সিগারেট খাওয়া বেশ মজার কাজ ছিল। মহাবিদ্যালয়ে এমনটা সাধারণ বিষয় বটে। রাজার এখানে নীলা নামে একজনের সাথে বন্ধুত্ব হয়। বন্ধুত্বটা কিন্তু শুধু বন্ধুত্ব নয়। আলমাস এসব বুঝতনা।সে খালি পড়ালেখা নিয়ে থাকতো। আলমাস ভাবতো যারা ধূমপান করে তারাই খারাপ। নীলা বোরকা পড়ে আসতো।
তাই তাকে বুঝা আলমাসের কাছে বেশ কঠিন ছিল। রাজা পড়া শুনানা করে পরীক্ষায় টুকলিকরে ভাল ফল করতো। আর আলমাস সারা দিন পড়াশুনা করেও তার চেয়ে কম নাম্বার পেত।সে ভাবতো রাজা কত ভাল ছাত্র!
নীলাও রাজার মত ছিল। তাই তার বেলায় ও রাজা একই ভাবতো। রাজা ও নীলার টুকলিপনা শিক্ষক গণ ধরতে পারতেন না। একদিন রাজা ও নীলা অভিসারের সিদ্ধান্ত নিল। তারা ঠিক করল এ জন্য তারা বোকা আলমাসের সাহায্য নেবে। রাজা আলমাস কে বোঝাল যে সে তার ফ্ল্যাটে ছুটির সময় নীলার সাথে পড়া শুনা নিয়ে আলোচনা করবে। এ জন্য রাজাকে কিছু দিন পরে বাড়ি যেতে হবে। রাজা তাতে সহজেই রাজি হল।কিন্তু সহসা যখন রাজা ঘরের সিধকাঠি দিয়ে দিল তখন আলমাস অবাক হল।সে আরো অবাক হল যখন সারা রাত রাজা ও নীলা সেই ঘরে থাকল ।ভোর বেলা রাজা ও নীলা চলে গেল। আলমাস তখন বসে বসে কাঁদল। সে পরে বুঝল রাজা ও নীলা কেমন করে ভালফল করে। রাজা আবার এক শিক্ষকের তোশামদি করতো। এতে সেই শিক্ষক তাকে খুশি হয়ে ভাল নাম্বার দিত। যে দিন তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফল বেরহল সে দিন রাজা তার বন্ধুদের কাছে বলল যে সুজন স্যারের কাছে অনেক কৃতজ্ঞ। এই সেই সুজন স্যার যে তাকে বেশি নাম্বার দিত। এমন সময় আলমাস বলে ফেলল যে তার কাছে রাজার আরো বেশি কৃতজ্ঞ থাকা উচিৎ। তখন রাজা বলল, কি উল্টা পাল্টা বকিস! তুই আমার সাথে মেলা মেশায় করিসনা। কারণ আলমাস সেদিনের পর থেকে আর রাজার সাথে মেশেনি। পরে সবাই চলে গেলে সাধন নামে এক ছেলে আলমাসকে বলল যে রাজার আরো মেয়ের সাথে নোংরা সম্পর্ক আছে। তদ্রুপ নীলার বেলায়ও তাই।
তখন আলমাসের মাথায় বাজ ভেঙে পড়ল। তাহলে শুধু একটু শারীরিক চাহিদা মেটাতে তারা সেই জঘন্য কাজ সে দিন তার সাথে করেছিল। সে তখন মনে মনে খুব কাঁদল। তার এই নীরব কান্না কেউ কোন দিন দেখবে না। তার তখন আবার মনে হলে সুজন স্যারের কথা। সেও কেমন শিক্ষক! আলমাস এইটাই ভাবল যে রাজা তার কাছে ঋণী থেকেই যাবে। একদিন এ কথাটি পথে রাজার সাথে তার দেখা হওয়ায় সে বলেই ফেলল। রাজা তখন মুচকি হাসলো আর ভাবলো পাগলাটা ক্ষেপেছে ।কিন্ত সে তাতে ভীত নয়।কিন্তুআলমাসের সেই নীরব কান্না কেউ দেখবেনা। আর রাজাও কোন দিন তার পাপের ঋণ স্বীকার করবেনা। আলমাসের মত ছেলেরা এ ভাবেই পৃথিবীতে লাঞ্ছিত হয়ে থাকে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী এখানে, ঋণের খেলাপটা পুরোপুরি ধারনায় আসে নাই। লিখে যান, একদিন চুরান্ত ফলাফল চলে আসবে। যা হোক অনেক শুভকামনা ও ভোট রইলো।
রংতুলি ভাল লাগলো। শুভ কামনা আর আমার পাতায় আমন্ত্রন রইল।

২৫ জুলাই - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী