সুখহীন পরানে

মাঝ রাত (সেপ্টেম্বর ২০১৮)

Runa Laila
  • ৪০
জীবনের সন্ধিক্ষণে আজ, তবুও তোমার মূর্তি এঁকে যাই
আকাশের চাঁদ যেন হাতের মুঠোই নিয়ে ঘুরে বেড়াই
তবুও আঁধারে ডুবে মরি সতত আলোর দেখা না পাই
শরতের ঝকঝকে আকাশে শুভ্রতা খুঁজি নিরন্তর ।

ঘনকালো মেঘের হাতছানিতে তলিয়ে যাই অতলে
সূর্যের উপরে দাঁড়িয়ে রোদ কে বলি- সরে যাও তুমি ।
মেঘের চঞ্চল খেলায় নিজেকে আজ জড়িয়ে নিয়েছি
কখনো সাদা আবার কখনো ঘনকালো এই নিয়তি ।

দুঃখের ঢেউ গুলো সদা পিছু নেয় আমায় খেলার
সরঞ্জাম বানায় ;সেই দুখ সাগরে সদা জলতরঙ্গে
ফেনা হয়ে ভেসে বেড়াই; বুক ভরা ধিক্কার নিয়ে ।
পূর্ণিমা কে বলি জীবনে আরো আরো দাও আাঁঁধার।

সারা জীবনের ক্লান্তি ভর করেছে বিদায় ক্ষণে
আজও হৃদয় চায় দিতে আছে যত সঞ্চয়
শুধু তোমার এক ফালি চাঁদের পরশখানি দিও ।
স্মৃতি যদি বিস্মৃতি হয় তবে পরানটারে চিনে নিও ।

রামধনুর আবিরে রাঙিয়ে দিও ঘুম ভাঙানির গানে
যুগ যুগ অপেক্ষার প্রহর গুণতে গুণতে ঝাপসা নয়নে
দুটি হাত খোঁজে দিনরাত আয় আয় গান গায় ।
তার আশায় মালতির গহিন বনে সুখহীন পরানে...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মোখলেছুর রহমান আবেগঘন,অভিমান,এবং আশা। সব মিলিয়ে ভাল লাগল কবিতা।
ভালো লাগেনি ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
মাইনুল ইসলাম আলিফ আপনার আগের সব কবিতার চাইতে এই সংখ্যার কবিতা বেশী ভালই শুধু নয় চমৎকার হয়েছে।শুভ কামনা রইল।আসবেন আমার কবিতার পাতায়।
ভালো লাগেনি ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী খুব সুন্দর লেখা। কবিতার ভাবও দারুণ ছিল, তবে কিছু উপমা ঠিক হয়নি মনে হয়। যেমন- ঘনকালো মেঘের হাতছানিতে তলিয়ে যাই অতলে সূর্যের উপরে দাঁড়িয়ে রোদ কে বলি- সরে যাও তুমি । ১ম লাইন দ্বিতীয় লাইনকে টানে। ঘন কালের মেঘের উপরে তলিয়ে যাওয়ার পর কি, সূর্যের আলো পাওয়া যায়? কারণ তলিয়ে যাওয়া মানে আঁধারে ডুকে পড়া। জানি আপনি বলবেন, সেখানে এক সময় আলো আসে। যদি আঁধারে আলো আসে, তাহলে আমার সফলতা ফিরে পাওয়া। তার মানে আঁধার এখন আর নাই। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। অনেক ধন্যবাদ এবং শুভকামনা।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
গঠনমুলক মন্তব্যে আন্তরিক ধন্যবাদ কবি । আপনি আপনার মতো করে সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন ,এজন্য অভিনন্দন আপনাকে ।সাথে আমি কী উত্তর দিতে পারি তাও বলে দিয়েছেন । তাই এখানে আমার বলার তেমন কিছু দেখছি না। তবে ব্যক্তিগত জীবনের সাথে প্রকৃতির সর্বদা মিল থাকবে এমনটি নয় ।আপনি দুটোকে এক করে দেখতে চাইছেন ।আমার জীবনে আঁধার আছে বলে কী রোদ উঠবে না ?বৃষ্টি হবে না ,চাঁদ আলো দেবে না ? আর যদি তাই ঘটে ,তবে অভিমানে আমি বলতেই পারি -তুমি সরে যাও,তোমাকে আমার দরকার নেই।জ্যোৎস্নার আলো চাই না। কবির ভাবনায় দিন রাত হতে পারে আবার রাত দিনও হতে পারে । অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি। ভালো থাকবেন অশেষ ।
ভালো লাগেনি ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
রুহুল আমীন রাজু কবিতায় বড় আবেগের উপস্থাপন ... সুন্দর লিখেছেন। কবিকে ধন্যবাদ।অনেক শুভ কামনা। আমার পাতায় আমন্ত্রন রইল ।
ভালো লাগেনি ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
অশেষ ধন্যবাদ প্রিয় কবি। ভালো থাকুন সবসময় ।
ভালো লাগেনি ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

আলো আঁধার এই জীবনের নিত্যসঙ্গী ।কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি ।আবার কখনো কোনোটিই নয় । কবিতার বিষয়- আঁধার মানে অন্ধকার ।জীবনের সাথে যেন একি রূপ ধারণ করে ।কেউ সুখের রাজ প্রাসাদে দুখী আবার কেউ কুঁড়ে ঘরে রাজ প্রাসাধের সুখ ভোগ করে ।এই খানেও দেখা যায় যেখানে আলো থাকার কথা সেখানে ঘনআঁধার ।আর যেখানে আঁধার থাকার কথা সেখানে ঝলমলে রোদ ।সুখ দুখের চাকায় জীবনে পিষ্ঠ হয় নিত্যদিন ।আলো আঁধার ঠিক তেমনি জীবনকে আষ্টেপিষ্ঠে জড়িয়ে নেয় ।এই কবিতায় প্রিয় মানুষটির জন্য সারা জীবন ধরে; তার জন্য অপেক্ষা করে করে জীবনের বিদায় ক্ষণে পৌঁছে । কিন্তু জীবনকে আলোকিত করতে না পারায় সে নিজেকে আঁধারে ডুবে মরে নিশিদিন ...

২১ জুলাই - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪