কৃপণতার আবর্জনা

কৃপণ (নভেম্বর ২০১৮)

সাইয়িদ রফিকুল হক
  • ৩৩
কৃপণতার আবর্জনা। সাইয়িদ রফিকুল হক
হৃদয়দুয়ার দাও না খুলে ওই আকাশের মতো,
ক্ষুদ্রস্বার্থে কোরো নাকো জীবনটাকে নত৷
শত লোভের গুদামখানায় দাও না জ্বেলে আগুন,
দেখবে তোমার জীবনটাতে আসবে প্রেমের ফাগুন।
কৃপণতার আবর্জনা জমাও কেন মনে?
মহাত্যাগের মহিমাতে দাঁড়াও গর্জে রণে৷৷
জীবন থেকে সরাও দূরে কৃপণতার আবর্জনা,
মানবপ্রেমে খুঁজে পাবে তুমি বিরাট সান্ত্বনা৷
দানের হাতকে বিরাট করে পরের দুঃখে হাসো,
এই জীবনে গভীরভাবে মানুষকেই ভালোবাসো।
তোমার প্রেমে হাসবেন স্রষ্টা তুমি হবে মহাদাতা,
পরকালে মুক্তি দিবেন মহান স্রষ্টা ত্রাতা।
যার অর্থ নাই—দাঁড়াও বন্ধু আজ তার পাশে গিয়ে,
অসহায়ের পাশে দাঁড়াও তোমার সবকুছ নিয়ে।
ধনের পাহাড় গড়ে-গড়ে কোরো নাকো কৃপণতা,
দেখবে তুমি পরকালে এসব বিরাট অসারতা৷
হাতের পাঁচটাচ রেখে কিছু সবই দাও না বিলিয়ে,
তোমার দানে বিশ্বভুবন উঠবে হেসে ঝিলমিলিয়ে।
আজই হতে দূর কর কৃপণতা-আবর্জনা, ।
এমন ব্যাধি সারলে তোমার পাবে তুমি সম্মাননা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস জামান হুসাইন ভাল লাগল,ভোট দিলাম, অাসবেন অামার পাতায়।
মুহাম্মাদ লুকমান রাকীব প্রিয় কবি/লেখক. অাপনাদের জন্য নতুন ওয়েব সাইট www.kobitagolpo.com তৈরি করা হয়েছে নতুন অাঙিকে। এখানে বর্তমান প্রতিযোগীতার জন্য নির্ধারিত “বাবা-মা” শিরোনামে লেখা জমা দেয়ার জন্য অামন্ত্রণ করা হচ্ছে। অাগ্রহীগণ ২৫ নভেম্বরের মধ্যে www.kobitagolpo.com এ লিখা জমা দিন। প্রতিযোগীতায় সেরা নির্বাচিত ৬ জনকে সম্মাননা দেয়া হবে।।।
মাইনুল ইসলাম আলিফ খুব ভালো লিখেছেন ভাই। অনেক দিন পর আসলেন গল্প কবিতায়।শুভ কামনা রইল।আসবেন আমার পাতায়,আমন্ত্রণ রইল।
মনতোষ চন্দ্র দাশ কৃপণতার সুন্দর কবিতা ভালোলাগলো বেশ।ভোট রইলো।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

কৃপণতা, মানবমনের একধরনের ময়লা। এই ময়লা ধীরে-ধীরে জন্মলাভ করে। মানবজীবনে অর্থলোভে ও স্বার্থপরতায় এই আবর্জনা জন্মে। এর থেকে একসময় মানবমনে তৈরি হয় বিরাট ব্যাধি। জীবনের প্রয়োজনে মানুষ টাকা-পয়সা ও সম্পদ উপার্জন করে থাকে। এগুলো মানুষ খরচও করে। মূলত খরচ করার জন্যই মানুষ এই পৃথিবীতে টাকা-পয়সা ও ধনদৌলত সঞ্চয় করে। কিন্তু একশ্রেণীর মানুষ আছে যারা শুধু ধনসম্পদ সঞ্চয়ই করে কিন্তু খরচ করতে ভয়ানক কার্পণ্যপ্রদর্শন করে থাকে। আমাদের চোখে এরাই কৃপণ। আর এদের কৃপণতা সকলের কাছে বিরাট পীড়াদায়ক। অর্থসম্পদ খরচ না-করার কারণে কৃপণ-ব্যক্তির মনে ক্রমশ আবর্জনা ও ব্যাধি জমতে থাকে। এই কৃপণতা-ব্যাধির কারণে মানুষ ধর্মকর্ম থেকেও বঞ্চিত হয়। সে নিজে যেমন দুনিয়াটা ভোগ করতে পারে না তেমনিভাবে তার আশেপাশের মানুষগুলোও তার থেকে কখনও কোনোপ্রকার সাহায্য-সহযোগিতালাভ করতে পারে না। কৃপণ-মানুষের সান্নিধ্যে থেকে তার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, পাড়াপড়শিসহ কেউই কোনো উপকারলাভ করতে পারে না। কৃপণ-ব্যক্তির অত্যধিক ধনলিপ্সা ও ধনসঞ্চয়ের কারণে আমাদের সমাজ, রাষ্ট্র ও পরিবার হয় ক্ষতিগ্রস্ত। তাই, মানবজীবন থেকে এই কৃপণতা ব্যাধি ও আবর্জনা যোকোনোমূল্যে তাড়াতে হবে। আলোচ্য কবিতায় কবি সে-কথাই দ্বার্থহীনকণ্ঠে বলেছেন।

০৭ জুলাই - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ১১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪