নীল চোখের মেয়েটি

রহস্যময়ী নারী (জুলাই ২০১৬)

নিয়াজ উদ্দিন সুমন
  • 0
দিঘীর পানিতে গোসল করতে গিয়ে ক্রমশ ডুবে যাচ্ছে রকিব এমন সময় হঠাৎ একটা কোমল হাত তাকে টেনে তুলে উদ্ধার করলো। নীল শাড়ি পড়া মেয়েটির চোখের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে। কি অদ্ভুত সম্মোহনী শক্তি তার নীল চোখের দৃষ্টিতে। প্রায় ৬ মাস আগে কক্সবাজার সি-বীচে মেয়েটিকে দেখেছিল। এই খানে কি ভাবে আসলো, ভাবতে-ই বিষ্মিত হল রকিব। এমন থম-থমে মুর্হূতে গভীব ঘুমে আচ্ছন্ন চোখের পাতা হঠাৎ ছুটে গেল তার। নিজেকে তখন বিছানায় আবিস্কার করলো। তাহলে কি মধ্য দুপুরে ভয়ানক দিবা স্বপ্ন দেখতেছিল। রকিবের বুক ধড়পড় করতেছিল অনবরত। গায়ের সমস্ত লোম খাড়া হয়ে গেল। কেন এমন স্বপ্ন দেখল কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না সে। হার্টবিড স্বাভাবিক হওয়ার জন্য পুকুর পাড়ে বিশাল বাদাম গাছের ছায়ার নিচে এসে বসল রকিব। নিবিড় দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল দু’নয়নে মসজিদের সামনে হয়ে দক্ষিন পাশের কবরস্থান ঘেষে চলে যাওয়া পরবর্তী গ্রামের দিকে আকাঁ-বাঁকা সবুঝ ঘাসে ঢাকা মেঠো পথের পানে।

সন্ধায় জানতে পারলো পাশের বাড়ির ঝরিনা খালার তিন বছরের বাচ্চা পুকুরের পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে। দুপুরের দেখা স্বপ্নের সাথে এই ঘটনার মিল খুজেঁ পেয়ে কিছুটা চমকে গেল রকিব। মুর্হুতে নীল চোখের মেয়েটির ছবি ভেসে উঠল চোখের পর্দায়। আজকের ঘটনাটি কাকতালীয় ভাবে হয়তো মিলে গিয়েছে। কারো সাথে বিষয়টি শেয়ার করলো না রকিব। তাই নিজের কাছে সব কিছু চেপে রাখল।

তৃতীয় দিন দিবাগত রাতে আবার একই কাহিনী। এইবার দেখল বাগানে খেলতে গিয়ে বিষধর সাপের কামড়ে কেয়ার-টেকার রহমত আলীর ছোট ছেলের মুখে সাদা ফেনা বের হয়ে গেছে আর নীল চোখের মায়াবী মেয়েটি তার অধ্যাত্বিক ক্ষমতায় বিষ তুলে নিচ্ছে। গা ছম-ছম করা এমন পরিবেশে রকিবের তীব্র চিৎকারে ঘুম ভেঙ্গে গেল। মাঘ মাসের শীতের রাতে অত্যধিক ঠান্ডায় যেমন শরীর থরথর করে কাপেঁ ঠিক একই রকম অবস্থা এখন রকিবের। তখন রাত প্রায় ২ টা বাজে। বিষয়টা সবার সাথে শেয়ার করলো রকিব। সকাল বেলা বাগানের মধ্যে জমে থাকা আগাছা পরিস্কার করে গরুর জন্য কাঁচা ঘাস কাটতে গিয়ে বিষাক্ত সাপের সন্ধান পেল বাড়ির কেয়ার-টেকার রহমত আলী। স্বপ্নের এমন বাস্তবিক মিল খুজে পাওয়াতে রকিব খুব অবাক হল আর মনের মধ্যে ভীষণ ভয় জমে গেল ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিষ্টার পরীক্ষা শেষ করে নগর জীবনের কোলাহল থেকে একটু স্বস্তি আর সবুজের ছোঁয়ায় মনকে শীতল ও প্রানবন্ত করার প্রয়াসে মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে মা কে নিয়ে। নির্জন শান্ত বাড়িটিতে এখন সেই আগের মতো জৌলুসতা নেই। কেননা একমাত্র মামা থাকেন বউকে নিয়ে দেশের বাহিরে কানাডায়। নানা-নানী গত হয়েছে অনেক আগে। এত বড় দু’তলা বাড়িটি বলতে গেলে পুরাটায় ফাঁকা। দুর সর্ম্পকের এক খালু বাড়িটি দেখাশুনা করে। পরিবার নিয়ে থাকার জন্য নিচতলায় দক্ষিন পাশের তিনটি কক্ষ উনার জন্য বরাদ্দ আছে। নানা-নানি জীবিত থাকাকালীন সময়ে অনেক বেশি আসা যাওয়া হত। এখন তেমন আসা হয় না। কোন বিশেষ উৎসব-আয়োজনে কিংবা মামা দেশে আসলে তখন বেড়াতে আসা হয় নানার বাড়িতে।

এমন বিরূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি আর কখনো হয়নি। এর আগে আরো কতশত দিন নানার বাড়ির আঙিনায় কাটিয়েছিল রকিব তার হিসেব নেই। এইবার শান্তির পরশ নিতে এসে মানসিক অশান্তির মাঝে পড়ল। গত ৩ দিন যাবত এক অজানা অস্থিরতায় কাটছে বিছানায় থাকার মুর্হূতগুলো। কেন ? কি করনে এমন হচ্ছে ! কেনই বা ঐ মেয়েটিকে দেখছে আর স্বপ্নে দেখা ঘটনাটি বাস্তবে মিলে যাচ্ছে। এর কোন সমাধান খোঁজে পাচ্ছে না রকিব।

সবকিছু ঠিকটাক করা হয়েছে। কাল সকালে ঢাকার উদ্দ্যেশে রওনা হবে। আজকে শেষ রাত। হতে পারে আজও নতুন কোন রহস্যময় অদ্ভুত ঘটনার সাক্ষী হবে সেই, যার রেশ থেকে যাবে কোলাহলময় ঢাকা শহরে পৌঁছার আগ পযর্ন্ত।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
প্রান্ত স্বপ্নিল ভালো লাগলো, কলম চলতে থাকুক। শুভেচ্ছা রইল
আপনার ভাল লাগায় আমি ও সজীবতা অনুভব করছি। প্রিয় স্বপ্নিল ভাই শুভেচ্ছা ও ভালবাসা রইল। শুভ কামনা।
আহমাদ মুকুল লিখতে তো পারেন, আরেকটু যত্নশীল হলে ভাল লেখা বেরুবে। শুভেচ্ছা রইলো।
উৎসাহিত হলাম প্রিয় মুকুল ভাই আপনার কথায়। পাশে থাকবেন সবসময়। শুভেচ্চা ও ভালবাসা রইল।

২৫ এপ্রিল - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪