রূপান্তর

ঋণ (জুলাই ২০১৭)

আহা রুবন
  • ১২
  • ২৯
ইলিয়ট ব্রিজ পার হয়ে মৃদু পায়ে হেঁটে আসছিল এক পাদুকা মেরামতকারী—যার কিনা ব্রিজের গোড়ায় এতক্ষণে ছালা বিছিয়ে বসার কথা। কাঁধে জুতোর কালি, ব্রাশ ও যন্ত্রপাতি সজ্জিত জীর্ণ বাক্স। বাম হাতে তিন মাথার গুঁতোনি-পাটা—ডান হাতের মুঠোয় ধরা বছর চারের একটি শিশুর হাত। ব্রিজ পেরিয়ে এলে ডানের ছয় তলা নতুন বিল্ডিংটার সামনে দাঁড়াল মেয়েটি, ‘বাবা যখন বড় হই, এই রকম দালানওয়ালার সাথে আমায় বিয়া দিয়ো?’
হেসে উঠল বাবা। অট্টহাসি বেরিয়ে আসতে চাইছিল, পরিষ্কার বোঝা গেল। কিন্তু চেপে রেখে বলল ‘মা রে! বাপে কী, আর তার মেয়ের বায়না কী!’
‘দিবা কিন্তু? দিবা তো? ইশকুলে ভর্তি কইরা দিয়ো। মেলা পড়মু আমি।’
শুধু হাসল বাবা...

আমি পাশের সংবাদপত্রের দোকানটায় দাঁড়িয়ে কিছু পড়ার চেষ্টারত। বাবা-মেয়ের কথা কর্ণগোচরের ফলে চোখ তুলে তাকিয়েছিলাম। দেখলাম সুন্দর একটি দেবদারু-চারা। কিন্তু সবাই বলল ওটা ভাঁট গাছ। আমিও এক সময় তাদের সঙ্গে সুর মেলালাম। হৃদয়ের খচখচানি সওয়ার চেয়ে তাল মেলানো অনেক সহজ আর নিরাপদ।

বৃক্ষকে গুল্মের কাছে ঠেলে দিলাম আমরা। কিছু দিন পর চারাটি হয়ত নিজেকে ভাঁট গাছের বংশ বলে ভাবতে শিখেছিল। কয়েক বৎসর পর আজ হঠাৎ মেয়েটিকে বাবার পসরার সামনে দাঁড়ানো দেখে ঠিকই চিনতে পারলাম আমি। রৌদ্রের তীব্র তেজ থেকে বাঁচার ছুতোয় হাতের ম্যাগাজিন দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললাম। বিব্রত হয়ে পড়েছিলাম—যদি আমার কাছে তার পাওনা বাবদ ছয় তলা বিল্ডিংটি আজ চেয়ে বসে! কেননা সত্যি সত্যি দেবদারু চারাটি ভাঁট গাছে রূপান্তরিত হয়েছে যে...
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
শামীম খান খুব ভাল লাগলো । অনেক অনেক শুভ কামনা ।
অনেক ধন্যবাদ শামীম ভাই।
রংতুলি অসাধারন লিখেছেন। ভোট রইল আর আমার পাতায় আমন্ত্রন জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
কাজী জাহাঙ্গীর হা হা হা....মুচির কাছেও তাহলে ছয় তলার মালিকের বাকী থাকে আজকাল। একটা ডিপ থট দিলেন। অনেক শুভকামনা।
স্বপ্ন দেখি পৃথিবীর সকল শিশু হবে আমদের । সেদিন প্রতি পিতা যে কোনও শিশুর বঞ্চনা দেখে লজ্জিত হবে।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি হৃদয়ের খচখচানি সওয়ার চেয়ে তাল মেলানো অনেক সহজ আর নিরাপদ।....// সুন্দর কথা....ছোট তবে মসলা ছিল....
মসলা জন্য নিশ্চয়ই উপাদেয় ছিল? ভাল থাকবেন ।
জসিম উদ্দিন আহমেদ মনোমুগ্ধকর! ছোট হলেও খুবই আবেগপ্রবণ লেখা। শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ জসিম ভাই।
নাস‌রিন নাহার চৌধুরী দারুণভাবে শেষ করেছেন। অনেক বিস্তারিত পড়তে ইচ্ছে করছিল। শুভেচ্ছা রইল।
'অনেক বিস্তারিত পড়তে ইচ্ছে করছিল।' আমার গল্প পাঠ শেষে পাঠকের মনে এমন অনভূতি তৈরি হোক, এটি কিন্তু মনে মনে চাই। নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করছি।
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী ভাইয়া, খুব গভীর ভাব তোলে ধরেছেন। বেশ ভালো লাগলো। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো।
Fahmida Bari Bipu বেশ গভীর ভাবসম্পন্ন লেখা। মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। কিন্তু রুবন ভাই, অনুগল্পের কিন্তু একটা আকর্ষণী ক্ষমতা আছে। বড় গল্প আর লিখতে মন চায় না। সেই চোরাবালিতে আটকে গেলে কিন্তু বিপদ! শুভকামনা রইলো।
ঠিক ধরেছেন। আজকাল অলস হয়ে যাচ্ছি।

২১ এপ্রিল - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ১৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী