শেষ বসন্তের অপেক্ষায়

আমার আমি (অক্টোবর ২০১৬)

ভুতুম প্যাঁচী
  • ৭০
নীল জোছনা ভেঙে এসেছিলে তুমি
মেঘের ডিঙিতে চড়ে,
পূব আকাশ ছিলো রক্তিমাহীন
শিশির ভেজা ভোরে।
আলো-আঁধারির লুকোচুরি খেলায়
টিমটিমা দীপ জ্বলা জোনাকের মেলায়,
টুপটুপ শব্দে ঝিরি হাওয়ায় এলিয়ে গা
বৃষ্টিরা নেমেছিল আকাশের বুক চিরে।
সাদা হলুদে জড়া-জড়ি করা বৃষ্টিভেজা কদম
হাতে দিয়ে বলেছিলে,
অভিমানী মেয়ে, ভালোবাসি খুব।
মনের কোণে রং ছড়ালে আঁচলে বেধে নিস
নাহলে জমা রাখিস ঘাস ফুলেদের কাছে,
ইচ্ছে ওর- বর্ষাস্নান করবে কর্দমাক্ত জলে।
অধরে বৃষ্টির ফোটা দেখে বলেছিলে,
মায়াহরিনী মেয়ে-
আমি নেশাগ্রস্থ হতে চাই দু'ফোটা জলে
অভিলাষে ডুবে যাচ্ছি অমানিশার ঘোরে।
অধর আমার তখন চৈত্রের মাঠ
খাঁ খাঁ রোদ্দুরে ফাটা প্রান্তর,
ঠোঁট চুঁইয়ে রক্ত ঝরছিল ঝর্ণাধারায়।
বুঝে নিয়েছিলে,
সে হিমঋতুর শত্রুতা নয়-
ছিলো ভালোবাসার অভাব।
আকাশটা নুয়ে ছিল
প্রকৃতি হয়েছিল লজ্জায় লাল,
ঠোঁট দু'জোড়া ডুবে ছিল তীব্র উত্তাল নেশায়।
দু'জনে মিলে বুইয়েছিলাম প্রণয়ের নবোদ্ভিন্ন,
রোজ তাতে জল ঢালছি, যত্ম নিচ্ছি।
অভিমানী খুব;
মাঝে-মাঝেই জড়িয়ে যাচ্ছে আগাছায়
একটু একটু করে বেড়ে উঠছে- মেলছে ডালপালা,
কিছুমাত্র ভুল আর সামান্য অবহেলায়
মুর্ছা যাচ্ছে মাঝে-মধ্যেই,
পরমুহূর্তে বৃষ্টির জলে চেতনা ফেরে।
ধুয়ে মুছে সব আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।
শান্ত স্বরে তুমি বলো,
বহ্নিশিখা মেয়ে- এত রাগ কেনে তোর!
এ বুকে মাথা রাখ
বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাবে সব ক্রোধ,
ভুলগুলো শুধরে নেবো দু'জনে মিলে
শেষ বেলায় জিরবো বুড়ো বটের তলে।
খুকখুক কাশির জমে যাওয়া শব্দে,
খুলে যাবে তোর লেগে যাওয়া চোখ
চোখের কোটরে উৎকন্ঠা
ললাটের ভাজে জমবে বিন্দু বিন্দু ঘাম,
উষ্ণ গরম সরষে তেল, মেখে হাতের তালুতে
আলতো ছোঁয়ায় করবি মালিশ হাড় জাগা বুকে,
জড়ানো কন্ঠে বলবি-
কষ্ট হচ্ছে খুব?
ভাঙা চোয়ালে পানের দাগ পরা দাঁত
লুকিয়ে- হেসে বলব,
সূর্য অস্তাচলে প্রায়
বেলা শেষের ভগ্নদেহ
আর কত সইবে বুনোলতার আঁচড়।
মুখখান আমার থেকে ঘুরিয়ে
ঝুলে পড়া চামড়ার গাল ফুলিয়ে,
বসে থাকবি ঠিক এখনকার মতো।
নিভু নিভু হারিকেনের টিমটিমে আলো
পড়বে যখন বার্ধক্যে ঘেরা তোর চোখের কোণায়,
অপরাধী মনে দেখব আমি
মুক্তো হয়ে পরছে ঝরে- দু'ফোটা নোনাজল।
বারিয়ে শীর্ণকায় বাহু, টেনে নেবো বুকে
চুমু এঁকে দেবো ঘামে ভেজা ললাটে,
লজ্জায় লাল হবি সেই প্রথম দিনের মতো
অভিমানী কন্ঠে বলবি,
সাঁঝ বেলাতে এসেও ঢং কমেনি!
নিস্তব্ধ রাতের বুক চিরে ডাকবে ঝিঁঝিঁপোকা
ভাঙা চালা দিয়ে চুঁইয়ে পরবে জোছনার আলো,
দু'জনে মিলে প্রহর গুনব শেষ বসন্তের অপেক্ষার...!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাজমুছ - ছায়াদাত ( সবুজ ) সৃতি আর বিস্রিতির চরম দন্দ । আর কিছু হারান সুর কে নতুন সুরে বাধার চেষ্টা , ভাল সুভ কামনা ।
তানি হক Hridoy choya.. Boro vaider poramorsho shorone rahkar onudorh.. Agamite aro valo likhte parben.. Dhonnobad janai
Lutful Bari Panna উপমার ব্যবহার চমৎকার। সুন্দর গতি আছে। আবেগে টইটুম্বুর। কবি সম্ভবত অল্পবয়স। প্রতি ফোঁটা আবেগ ভেসে এসেছে জোছনায়। শুধু একটাই পরামর্শ। শব্দ ব্যবহারে কৃত্রিমতা এড়াতে হবে। স্বাভাবিক শব্দচয়ন লেখাটিকে পূর্ণাঙ্গ করতে পারতো।
আপনার পরামর্শ অবশ্যই খেয়াল রাখব। ধন্যবাদ :)
পন্ডিত মাহী ভালো। তবে এমন আবেগ অল্প কথায় আটকে রাখতে পারলে আর ভাল হতেও পারতো। সুন্দর আবেগী লেখা।
জয় শর্মা (আকিঞ্চন) দারুণ! ভোট থাকলো।
শাহ আজিজ চমৎকার অনুভুতির বয়ান । ভাল্লাগ্লো ।

২৭ মার্চ - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪