দ্বিতীয় সওদা

রহস্যময়ী নারী (জুলাই ২০১৬)

সমাধিরঞ্জন
  • ৪৮
মজদুরির অনিয়মিততা রামলালাকে সপরিবারে গ্রাম ছাড়তে বাধ্য করল। ঘরের দরোজায় মরচেপড়া তালা ঝুলিয়ে পড়শি হরিধনকে দেখতে বলে বেরিয়ে পড়ল তিরিশ কিলোমিট্যর দূরে মাঝারি মাপের উঠতি শহর নারায়ণগড়ের উদ্দেশ্যে। মূলোৎপাটিত সব পরিবারের মতো রামলালাও বৌ ছয় বছরের মেয়ে রাধা আর ছমাসের বুকচোষা মাংসহীন ছেলে নিয়ে অস্থায়ী ভাবে স্টেশনের পরিত্যক্ত প্লাটফর্মের এক কোণে জায়গা করে থাকতে লাগলো। সে তো একা গ্রাম ছেড়ে শহরে আসেনি। এখানেও আর পাঁচটা শহরের মতো গ্রাম ছেড়ে আসা মানুষের বুবুক্ষু ভিড়। কখনো কাজ পায় কখনো অনাহার। ওপর থেকে অপুষ্টি জনিত রোগ, যার নাম যারা লেক্সিকন ঘাঁটে তারাই জানে। অগত্যা একদিন অসুস্থ স্বামিকে বাঁচাতে স্ত্রী ছ বছরের মেয়েকে শহরের ভিড়ে হারাতে হল। কোন এক মামা রাধাকে নিয়ে চলল আর এক শহরে।

রাধা এই ইন্সটিট্যুশনে ট্রেনিং নিতে লাগলো। এক এমন ইন্সটিট্যুশন, যা পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে বহাল তবিয়তে বিরাজমান। দেখতে দেখতে রাধার বয়স হল দশ, এখনও সে অপরিণত দ্রব্য। একদিন এক বেসরকারি সংস্থা ‘শিশুসাথী’-র পরিচালিকা মিস. দেশপান্ডের নজর রাধাকে ধরে ফেলল। যথারীতি অর্গল মুক্ত করে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হল। রাধার বিশেষ কিছুই মনে নেই, মা বাবা এবং নারায়ণগড় স্টেশন ছাড়া। এই সূত্রের লেজ ধরে শিশু উদ্ধারকারী মিস. দেশপান্ডে রাধাকে তার পরিবারের হাতে তুলে দিতে গিয়ে দেখল, তার বাবা আর নেই। অনিচ্ছাসত্বেও মাকে বাধ্য করা হল তাঁকে গ্রহণ করতে। যান্ত্রিক সংবাদ মাধ্যম বাহবা জানাল মিস. দেশপান্ডেকে।

কলাবতী একটা রুটির আধা রাধাকে দিল খেতে। দিন শেষ হয়ে রাতের আবির্ভাব ঘটতেই কলাবতী তার এক ভাইয়ের কাছে রাধাকে দিয়ে বলল, ‘যা মামার সঙ্গে, বড়ো শহরের বাবুদের বাড়িতে চাকরি করবি’

গতবারের সওদায় সে মাত্র পাঁচশ টাকা পেয়েছিল, স্বামী তাতে বাঁচেনি। এবারের পাঁচ হাজার যদি তাকে চার বছরের অসুস্থ ছেলেকে বাঁচাতে পারে, এই আশায় তার কোটরে ঢোকা চোখ টলটলে হয়ে এল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
গোবিন্দ বীন ভাল লাগল,ভোট রেখে গেলাম।কবিতা পড়ার আমন্ত্রন রইল।

১৭ মার্চ - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪