আজব প্রফেসর

পার্থিব (আগষ্ট ২০১৮)

ফেরদৌস আলম
  • ১১
  • ৩০
মণ্ডল মার্কেটের নিচতলায় যে বড় মুদির দোকানটা দেখা যায়, সেটার মধ্যে বসা খুব মায়া মায়া ফর্সা চেহারার মাঝবয়সী যে মানুষটা কর্মচারী, তিনি মনোবিজ্ঞানের প্রফেসর। আজ মঙ্গলবার । তাই তিনি খরিদ্দার নিয়ে মহাব্যস্ত। দু টাকা বেশি বিক্রি হলে সেটাই তো লাভ। তার অবশ্য নয়। আবছার মণ্ডলের। যিনি দোকানটার মালিক। প্রফেসর সাহেব এই যে তার দোকানে কপালের ঘাম মুছে ফরমায়েশ খাটছেন, তার লাভ কী? বেতন-বকশিস? না, তাও না। তিনি কোন বেতন বকশিসও আজ পর্যন্ত ছোননি। বেলা দুটোর মধ্যে কলেজের ক্লাস শেষ হয়ে গেলে বেকার বসে থাকেন। তার চেয়ে দোকানটায় বসে দুটো হাটবারে সময় দেন, ভালোই লাগে। সময় চলে যায়। এটা মাপো, ওটা মাপো, ক্যালকুলেটর কষে খরিদ্দারকে বলে দাও এত হলো ভাই। খরিদ্দার নোট দিলে ক্যাশবক্সে রেখে খুচরা টাকা ফেরত দিয়ে অন্য খরিদ্দার নিয়ে ব্যস্ত। বেশ চলে যায়। ব্যস্ত মানুষদের ভিড়ে মিশে যেয়ে নিজেকে খানিকটা ব্যস্ত রাখতে হয় মাঝে মাঝে। তাতে জীবনের কিছু চোরা রহস্যের সন্ধান যে পাওয়া যায় – তা একেবারেই মন্দ নয়। প্রফেসর সাহেব ঠিক তাই ভাবেন কিনা – কে জানে। তার উপর আবার মনোবিজ্ঞানের প্রফেসর । এখনও তাকে চশমা পড়তে হয় না। শাদা মাথায় চকচকে মসৃণ টাক আবিষ্কৃত হয়েছে। মুচকি হাসি হাসতে পারেন কৌশল করে যখন তখন। সহকর্মী আছে, কিন্তু সহচর বা বন্ধু নেই। চায়ের দোকানে বসেন না। আড্ডা দেন না । কোথাও ঘুরতে যান না। ভদ্রলোক খবরের কাগজ পড়েন ঠিক, কিন্তু তাতে যে টানটান উত্তেজনাপূর্ণ শিরোনাম হররোজ বের হয়, সেগুলো নিয়েও কারো সাথে অহেতুক বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন না। কলেজ শেষ হলে বিকেল বেলা স্কুল মাঠে একা বসে কিশোরদের খেলা দেখেন। হাটবারে মুদির দোকানে পসরা বেঁচেন। বাকি সময় তার দেখা মেলে না। না আলোতে, না আঁধারে । না জীবনে, না খেয়ালে । না যমুনা নদীর বুক চিরে বেরিয়ে আসা হিমশীতল বাউলা বাতাসের সমুখে। কাউকে কাউকে কিছু কিছু জায়গায় মানায় না। তারা সেটা বুঝতে পারলে বুঝা যায় তার ‘সেন্স অব হিউমার’ ঠিক আছে। প্রফেসর সাহেব তাই-ই। শুধু সবার দীর্ঘশ্বাসের মিছিলে একযোগে একটি শব্দ বেরিয়ে আসে, ‘আজব প্রফেসর’! আমাকে অবশ্য বেশ কয়েকবারই তার মেসের রুমটাতে আমন্ত্রণ করেছিলেন। কী কী দেখেছিলাম অত মনে নেই। তবে বিছানার চারপাশে গাদাগাদা বই ছড়িয়ে আছে-তা মনে আছে। বইয়ের সাথে নিয়ম করে যে তার চুপকথা হয়, প্রেম হয়, রোমান্স হয়, তখন খানিকটা আন্দাজ করেছিলাম। বলে রাখা ভালো, উনি আমারও শিক্ষক ছিলেন ইন্টারমিডিয়েটে। বছর দুয়েক আগে।

.
গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে সেবার বাড়ি গিয়েছি। স্কুলের মাঠে বসে খেলা দেখছিলাম। পাশে হঠাৎ স্যারের উপস্থিতি টের পেলাম। অপ্রস্তুত হয়ে দাঁড়িয়ে বললাম, আদাব, স্যার! কেমন আছেন?
- আরে, হিমেল যে, আদাব, আদাব। বসো, বসো। একটা ঘাসের ডগা পট করে টান মেরে ছিড়ে নিয়ে মুখে দিতে দিতে বললেন।
- আপনার শরীর ভালো তো, স্যার?
- হ্যা, এই তো আছি বেশ। এখনও কোন সমস্যা হয়নি তেমন। তা, তোমার কি ভার্সিটি ছুটি ? ভার্সিটিতে ক্রিকেট খেলো? দূরের কিশোরদের খেলার দিকে তাকিয়ে বললেন।
- খেলি স্যার, টুকটাক! সপ্তাহে একটা দুটা দিন। আসলে ওখানকার একেক বন্ধুদের একেক রুটিন। তাই সবদিনেই সবাইকে একত্রে পাওয়াটা বেশ মুশকিল।
- হুম, জানি হিমেল। ওটা সবচেয়ে চমৎকার সময় তো জীবনের। কাউকে টেনে ধরে রাখা খুব কঠিন। পা ফসকে গেলে বিপদ হয়। সাবধানে চলবে, বুঝেছ? আমার দিকে সিরিয়াসলি তাকিয়ে বলল স্যার।
- আমি সবসময় চেষ্টা করি স্যার! আপনি আমাকে আশীর্বাদ করবেন।
- আরে পাগল, সেটা কি আমাদের বলতে হবে? ঝর্ণার জলের মত আপনা আপনি মন থেকে তোমাদের জন্য সবসময় আশীর্বাদ বেরিয়ে আসে। দুপায়ের আঙ্গুলগুলোতে হাত বুলাতে বলল, আচ্ছা, তুমি তো লেখালিখি করতে। এখনও করো? নাকি ছেড়ে দিয়েছো?
- না স্যার! ছাড়িনি। লেখালেখি তো খুব শক্ত আর প্যাঁচ্চোর একটা অভ্যাস। চাইলেও ছাড়া যায় না। মন তো সারাক্ষণ উসখুস উসখুস করে লেখার জন্য। বিশেষ করে মাথায় যখন কোন থিম আসে। তবে পড়াশোনার জন্য সময় বের করা বেশ টাফ হয়ে যায়।
- হুম, তা ঠিকই বলেছ।
- আচ্ছা স্যার, আপনি কি বিকেল বেলা আপনার কোন কলিগদের সাথেও আড্ডা দেন না? এই এখন অন্তত আমার সাথে যেমন গল্প করছেন!
- এরকম কারো সাথে যদি দেখা হয়ে যায়, হাই-হ্যালো বলি। দু একটা কথা বলি। তার বেশি নয়। জানো তো, সবাই শুধু ঐ পার্থিব বিষয়, টাকা-পয়সা, বাড়ি-গাড়ি, সোশ্যাল স্ট্যাটাস – সেসব বিষয় নিয়ে কথা বলে । আমার খুব বোরিং লাগে। একটু প্রাণের কথা, অন্য কথা, মানুষের কথা, একদিন মানুষের ভালো হয়ে যাওয়ার কথা, পৃথিবীর কথা, পৃথিবীতে মানুষের এই পচে যাওয়া সমাজকে ভালো করার কথা, পরিবেশের কথা – এগুলো নিয়ে কেউ কথা বলে না, ভাবে না। সবাই কি চরম স্বার্থপর! তাই বলতে পারো, আমার সাথে কারো তেমন একটা পড়ে না। আড্ডাও তেমন একটা দেই না।
- রাতের বেলা? বই পড়েন?
- হ্যা, তা তো হয়ই! কিছুটা আফিমখোরের মত। ওটা না করলে চোখ জেগে জেগে আকাশের তারা গুণতে শুরু করে। আর কিছুই ওটার মত নিয়ম করে হয় না।
- কেন স্যার?
- সারাটা জীবন জুড়ে নিয়ম করে নিজের জন্য আসলে কিছুই করিনি হিমেল। কখনো তার জন্য অনুশোচনাও হয়নি।
- তাহলে স্যার নিয়ম ভেঙ্গে কিছু করেছেন?
- না, তাও করিনি। জানো, নিয়ম মানতে গিয়ে মানুষ কখনো কখনো নিয়মের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসে। আমি সেরকমই একজন। আর এখন তো পৃথিবীর মানুষগুলো সব অনিয়মগুলোকে নিয়ম বানাচ্ছে। আমি তাই নিয়ম-বিরুদ্ধ, একগুঁয়ে।
- আপনার বাবা-মা?
- বেঁচে নেই। ভগবান নিজের কাছে নিয়ে নিয়েছেন।
- ভাই, বোন?
- আমি একাই, হিমেল!
- এরকম একটা জীবন, খারাপ লাগেনা স্যার আপনার? মাঝে মাঝে তো প্রচণ্ড বিষন্নতা, নিঃসঙ্গতা আর হতাশায় ডুবে যাওয়ার কথা?
- তা তো হওয়ার কথাই। আমার খুব বেশি হয় না। কদাচিৎ। বলতে পারো, মানিয়ে নিয়েছি। যেটা মানুষের ধর্ম। নইলে যাযাবররা পারত মরুভূমির জীবন বেছে নিতে? মঠ-সন্ন্যাসীরা সন্ন্যাসী জীবন? মানুষ মানিয়ে নিতে পারে – এটা তার অসামান্য একটা গুণ।
- এরকম একটা জীবনের কষাঘাত থেকে বাঁচার জন্যেই কি শিক্ষকতাকে বেছে নিলেন স্যার?
- না, তা নয় হিমেল। মানুষের বহুরুপ আমাকে বেশ টানে। আমার মন মানুষের বৈচিত্রতায় ডুবে যেতে চায়। এক মন, দুই মন নয়, হাজার মনের হাজার চরিত্রের মাঝে মিশতে চায়। মনের খেলায় আমি রেফারী হতে চাই। খেলি না, কিন্তু খেলার বিচার করি। তাই এ পেশায় আসা।
- ঠিক কোথায় গিয়ে নিজেকে দাঁড় করালেন, বুঝে উঠতে পারলাম না স্যার?
- আয়নার সামনে।
- জ্বী স্যার?
- আয়নার সামনে। এই ছাত্র-ছাত্রীরা, চারপাশের মানুষরা- ধরো তারা আমার আয়না। তাদের মাঝেই নিজেকে দেখি। তাদের সঙ্গ ছাড়া আমি একা।
- কিন্তু সেটা না করে তখনকার একাকীত্বের জন্য তো আপনি সহচর খুঁজে নিয়ে মুক্ত হতে পারেন।
- না। আমি অন্য কথা বিশ্বাস করি হিমেল। মানুষ যখন প্রচণ্ড একা থাকে তখন হয় সে নিজেকে আবিষ্কার করে; নয় সে নিজেকে সম্পূর্ণ হারিয়ে ফেলে।
- আপনার শেষ পর্যন্ত কোনটা হল স্যার?
- সামান্য কিছুটা আবিষ্কার করেছি। হারায়নি কিছুই।
- কিন্তু তাহলে কি আপনি ভীষণ একা?
- একাকীত্বের আবার ধরণ আছে নাকি? একা, ভীষণ একা। একা মানেই তো ভীষণ একা। নিজে ছাড়া আর কিছুর উপস্থিতি সেখানে নেই।
- আপনি কিন্তু এড়িয়ে যাচ্ছেন স্যার? যদি বলতেন?
- কি বলব হিমেল?
- আপনি কি সত্যিই প্রচণ্ড রকমের একা?
- হ্যা, আমি ভয়ংকরভাবে একা। সন্ধ্যা থেকে ভোর অবধি আমার কোন পড়শি নেই। কথা বলার জন্য, খুনসুটি করার জন্য। মান-অভিমানের খেলায় মাতার জন্য। কারো প্রেমের বাঁধনে বাঁধা নই। কাউকে স্নেহ দেয়ার জন্য বাধিত নই। একটা নিস্তব্ধ রুম। চারিদিকে নিথর চার দেয়াল। আর আপাত বেঁচে থাকা একটা মানুষ সেখানে আছে। সে ব্যাপারে পৃথিবীর কারো কোন মাথাব্যথা নেই। একটা নিষ্ক্রিয় মামুলি জীবন। সেটা নিয়েই সে ভাল আছে। জীবনের এই যে এত ব্যস্ততা, এর মানে কি? প্রতিদিন একই জিনিসের রিপিটেশন, তাও আবার মিথ্যে মিথ্যে অভিনয় করে। ক্রমাগত মিথ্যে বলে যাওয়া। কপটতা, ভণ্ডামি, জবরদস্তি, ক্ষমতার অপব্যবহার, আর লাগামহীন ভোগের জন্য উন্মত্ত হয়ে যাওয়া। এই কি মানব জীবন? তার চেয়ে একা থেকে যদি একটু কম অভিনয় করে, কম মিথ্যে বলে, কম ভোগ করে শাশ্বত সত্যের সঙ্গে ঘর বেঁধে জীবনটা কাটিয়ে দেয়া যায়, তাতে অসীম তৃপ্তি পাওয়া যায় না? যায়! চোখ বুজে প্রশান্তির উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।
- এ জন্যেই কি স্যার আজ পর্যন্ত বিয়েটা করলেন না?
- হিমেল, তুমি শীর্ষেন্দুর ‘পার্থিব’ উপন্যাসটা পড়েছ?
- পড়েছি স্যার।
- ‘হেমাঙ্গ’ চরিত্রটার কথা মনে আছে?
- আছে স্যার।
- কেমন সে?
- বেশ কনফিউজ্‌ড!
- হুম, তবে আরও কিছু ব্যাপার ছিল!
- ও হ্যা, তার দুই ধরণের প্রেম ছিল। একটা অস্পষ্ট, আরেকটা স্পষ্ট। দুজনের সাথে।
- না, আমি প্রেমের কথাই বলতে চাইছি। তবে তোমার মত করে নয়। তার প্রেম ছিল একটা পার্থিব আরেকটা অপার্থিব!
- এবারও কিন্তু ধাঁধায় পড়ে রইলাম স্যার?
- হিমেল, আমি সহসাই একজন কনফিউজ্‌ড ম্যান। কিন্তু ‘পার্থিব প্রেমিক’!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাইনুল ইসলাম আলিফ থিমটা দারুণ।অন্যকে অনুপ্রাণিত করার দারুণ একটি গল্প।শুভ কামনা আর ভোট রইল।আসবেন আমার গল্প আর কবিতায়।
বিশ্বরঞ্জন দত্তগুপ্ত গল্পের আঙ্গিকতায় নতুনত্ব পেলাম যেটা আমার খুব ভাল লাগল । ভাল থাকবেন । ভোট সহ শুভকামনা রইল ।
আহা রুবন প্রফেসরের মত অনেক মানুষ আশে-পাশে ছড়িয়ে আছে; লক্ষ করি না। গল্পটি পড়ে আমার পরিচিত একজনের কথা খুব মনে পড়ছে।
আপনি লোকটা ভাল নন। অনেকদিন আপনার লেখার জন্য কাংগাল হয়ে আছি। তাড়াতাড়ি লেখা দিন। অনেক দিন পড়ে আপনাকে পেলাম।
জসিম উদ্দিন আহমেদ পড়ার জন্য এবারের সংখ্যায় আপনার গল্পটি প্রথম পছন্দ করছি। এজন্য ভাল লাগছে যে একটি ভাল গল্প দিয়ে পাঠ শুরু করতে পারলাম।
অনেক অনেক ভাল লাগল ভাই। আপনার লেখাও কিন্তু বেশ জমিয়ে তুলে আমাকে। ইনশাআল্লাহ সামনে পড়তে যাচ্ছি।
মোঃ মোখলেছুর রহমান ফেরদৌস ভাই,অসাধারন লিখেছন।পটভূমি যেমন চমকপ্রদ,বর্ননাও ঋজু,ভোট ও শুভকামনা রইল এবং আমার পাতায় আমন্ত্রন।
খুব কৃতজ্ঞ হলাম ভাই। ইনশাআল্লাহ আপনার পাতায় আসব।
মিলন বনিক খুব...খুব চমৎকার একটি গল্প, খুব ভালো লাগলো....শুভকামনা।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
এলিজা রহমান Sure .Onek dua kori Fardous Alam
কৃতজ্ঞতা নিবেন।
এলিজা রহমান Different touch গল্প তে। ভাল লাগল ।
দোয়া করবেন। যাতে আরো ভালো করতে পারি।
মিঠুন মণ্ডল খুব ভাল হয়েছে আলম... keep it up...
অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা রইলো আপনার প্রতি।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

একজন মানুষ গতানুগতিক দৃষ্টি দিয়ে পার্থিব জীবনকে না দেখে ভিন্নভাবে দেখেছেন। যেখানে জীবন একার। কিন্তু ভাবনা সবার জন্য। যেখানে জীবনের মিথ্যে চাহিদাগুলো এড়িয়ে যাওয়ার জন্য লেখক পার্থিব জীবনকে ভিন্নভাবে উপভোগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং প্রায় সফলও হয়েছেন।

২৬ ফেব্রুয়ারী - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ১৮ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪