১২ অগাস্ট ২০০৯ সালের ছোট্ট একটা স্মৃতি। সেদিন সন্ধ্যার আকাশে কখনো লাল মেঘের বিচরণ মনটাকে উৎফুল্ল করে তোলে , কৌতূহলী চাঁদনী তখনও ঘুমের রাজ্য থেকে জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছে। এদিকে ঘড়ির কতটা ক্রমাগত সামনে চলছে ,একটু পরেই সমস্ত অন্ধকারের মাঝে মিষ্টি আলো নিয়ে হাজির হবে চাঁদ কিন্তু আমি কি করবো এখন !! মনের সুপ্ত বাসনাগুলো ক্রমেই জাগ্রত হয়ে উঠছে। বকুল-তলায় এইসময়ে আর কেউ আসবেনা শুধু তুমি ছাড়া ,ঐ-তো পূর্ব দিক থেকে নূপুর পায়ে কে যেন আসছে , ধীরে ধীরে নূপুরের শব্দটা একদম কাছে আসছে , একটু পরেই চোখ ধাঁধানো এক ডানাকাটা মাটির পরীর আগমন , আবছা আলোয় তাহার ধূসর রংয়ের মুখখানি একদম পূর্ণিমার চাঁদের মতোই লাগছে , নিজেই নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না , এ কি আমার সেই চাঁদনী নাকি রূপকথার কোনো হুর পরী !!! তখন সে তার কোমল হাতের পরশে আমার ভ্রমটা
কাটিয়ে দেয়। দুজন হাতধরে বকুল গাছের পিছনের দিকে একটু ঢালু আছে সেখানে ঘন দূর্বা ঘাসের উপর বসি । চাঁদনী আমার বামপাশে বসে তাহার শরীরটা একদম আমার উপরে ঝুকে দিয়েছে , তাহার উষ্ণ শরীরের পরশে কেমন জানি একটা অজানা শক্তির সঞ্চারণ অনুভূত হতে থাকে। এমন সময় ও একটা প্রশ্ন করে "আচ্ছা তুমি তো আমাকে অনেক ভালো বাসো তাইনা ? হুম বাসি তার পর আবার বলে "আমার মাথায় হাত রেখে কথা দাও" তখন মনে একটু দ্বিধা কাজ করছিলো , ভেবে পাচ্ছিলাম না যে কি করবো , ওর হাত দুটো তখনও আমার হাতের উপরে , বেশি কিছু না ভেবে ওর হাত ছেড়ে মাথায় হাত রেখে কথা দেই। চাঁদনীর চোখ বেয়ে লোনা অশ্ৰু গাল বেয়ে পড়ছিলো। আমিও ক্ষনিকের জন্য স্তম্ভিত হয়ে যাই ,নিজেদের অজান্তেই দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরি , তারপর একেঅপরকে মধুরালিঙ্গনে কেটে যায় অনেকটা সময় , অতঃপর মনে হলো এখন যাওয়া উচিৎ। কিছুতেই একেঅপরকে ছাড়তে ইচ্ছে করছিলো না। মনে হচ্ছিলো সারাজীবন যদি এভাবে থাকতে পারতাম !! বিদায়ের মুহূর্তে তাহার কমলার মতো ঠোঁট দিয়ে দু হাতে আলতো চুমু দিয়ে বলে গিয়ে ছিল "মনে রেখো , তুমি কিন্তু আমাকে অনেক ভালো বাস , আর তাই এখন থেকে তুমি আমাকে যত ঘৃণা করবে আমি বুঝে নিবো তুমি আমাকে ততটাই বেশি ভালোবাসো। এই বলেই সেখান থেকে চলে যায় , এ কথা শোনার পর আমি অনেক্ষন বসেছিলাম ওই বকুল তলায় , শুধু এই কথাটার মানে খোঁজার জন্য , কিন্তু আজও পাইনি " এভাবেই বিদায় নিয়ে যে যার বাড়ি ফিরে যাই। তার দু দিন পর একটা কারণে চাঁদনীকে বলি আমাকে যেন ভুলে যায় এমনকি আর কোনোদিন যেন আমার সামনে আসার চেষ্টা না করে। ও সত্যি সত্যি তাই করেছে। চোখের পলকে ৭ টা বছর কেটে গেছে তবুও ভুলতে পারিনি , পারিনি আমি ওর প্রতি বিন্দুমাত্র ঘৃণা পোষণ করতে। প্রতীক্ষার দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছি , জানি আর কোনোদিন ফিরে আসবেনা। তবে একটা কথা বার বার বলতে ইচ্ছে করে "ঘৃণা " তোমাকে কোনোদিনও করতে পারবোনা .... ভালোবাসার মাঝে এই শব্দের প্রবেশ করা মানে সেটা ভালোবাসা না "ক্ষনিকের ভালোলাগা "
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোহাম্মদ আল মামুন
বিদায়ের মুহূর্তে তাহার কমলার মতো ঠোঁট দিয়ে দু হাতে আলতো চুমু দিয়ে বলে গিয়ে ছিল "মনে রেখো , তুমি কিন্তু আমাকে অনেক ভালো বাস ............. ভালো লেগেছে , আশা করি ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে।
রীতা রায় মিঠু
জাকির, অনেকদিন পর আমি গল্পকবিতায় তরুণ লেখকের গল্প পড়তে প্রবেশ করেছি। গল্পের ভালো মন্দ বিচার করার ক্ষমতা আমার নেই, একটি তরুণ বর্তমান অস্থির সময় থেকে সময় বাঁচিয়ে বাংলা ভাষায় গল্প লেখার চেষ্টা করছে, এই বোধটুকুই আমাকে আবেগাপ্লুত করেছে। তুমি লিখে যাও, এক সময় খাঁটি গল্পকার হয়ে উঠবে। ভোট দিলাম।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।