নীল কষ্ট, অতঃপর বিসর্জন

উপলব্ধি (এপ্রিল ২০১৬)

ইমরানুল হক বেলাল
  • ১৫
  • ৮২
আমি যেন জীবন যুদ্ধে পরাজিত এক ত্যক্ত ঘুমন্ত পথিক।
এই পৃথিবীতে কেউ বা জন্মেছে সোনার চামুচ মুখে নিয়ে।
আমি জন্মেছি দুঃখের পাথর বুকে বেঁধে।
তাতে কিছু আসে যায় না।
ঈশ্বরের পৃথিবীতে গরীব হয়ে জন্মেছি বলে
তাই-দুঃখ আর দারিদ্রতাকেই ভালোবেসেছি চিরকাল।
হয়তোবা দুঃখ আর দারিদ্রতাই আমার নিত্য সঙ্গী।
তবুও কিছু আসে যায় না।
জীবন ভালোবাসি বলেই দুঃখের সঙ্গে আমার বসবাস।
আমি চাই আরো দুঃখ।
সৃষ্টিকর্তার এই কঠোর পরীক্ষায় আমি হার মানতে চাই না।
হেরে যাওয়া কোনো জীবন নয়।
জীবন যুদ্ধে আমাকে আরো এগিয়ে যেতে হবে।
হয়তোবা এটাই ছিল আমার নিয়তি।
ছেলে বেলায় বাবাকে হারিয়ে মায়ের আশ্রয়ে আমি বড়ো হয়েছি।
তার পর মায়ের চেষ্টায় আর অনুপ্রেরণাই আমার শিক্ষা জীবন আলোকিত হয়।
তার পর জীবন বেচেঁ থাকার তাগিদে দু-বেলা আহারের জন্য আমাকে রোজগারের পথ বেছে নিতে হয়।
আমি পথে পথে হেঁটে চলেছি,নগরে বন্দরে ঘুরেছি।
জীবনের নানান দুর্ঘটনায়, ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে সংগ্রাম করেছি।
অনেক বাঁধা, অনেক ঝড় অতিক্রমের মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলেছি।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি বার বার ব্যর্থ হয়েছি।
কী আসে যায় তাতে?
তবুও জীবনের প্রতি আস্হা হারাইনি।
আমার জীবন চলার পথে পেয়েছিলাম একটি নারীর
ভালোবাসার পরশ।
তাও ছিল ক্ষণিকের স্মৃতি।
স্মৃতির সেই সুখময় দিন গুলি আমাকে বড়ো ব্যথা দেয়।
আমি তাকে কোনোদিন পাওয়া না পাওয়ার হিসাব করিনি।
তবু ও সে ফিরে আসে আমার স্বপ্নের ভূবনে।
প্রতিনিয়ত বুকের ভেতর নারা দিয়ে যায় তীব্র কষ্ট!
তাতে কী-ই-বা আসে যায়?
কেউ বুঝতে পারবে না আমার দুঃখ কষ্ট!
এই পৃথিবীতে কারো করুণার জন্য কারো চোখে জল
আসে না।
তাই অসহায় যন্ত্রণায় দুঃখের আগুনকে ঢাকি চোখের দু'ফোঁটা জল দিয়ে,
সারাদিন ঘুরি ফিরি কাউকে বুঝতে দেই না আমার হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকার নিরব কান্নাগুলো।
আমার প্রিয়সী আজ আমার কাছে নেই।
তাই আমিও আর খুঁজি না সুন্দরের স্পর্শ।
কেননা,আমার নিষ্প্রাণ দেহের হৎপিণ্ড নামক অস্তিত্বটা আজ পাথর।
ভালোবাসার পরশ এবং হৃদয়র হৃদ্যতা।
আজ বিরহের সাথে মিতালি আমার,
আমার প্রেম যন্ত্রণার সাথে; আমার ভালোবাসা কষ্টের সাথে,
আমার চাওয়া পাওয়া ব্যর্থতার মাঝে।
আমার সকল কষ্টকে 'বিসর্জন' দিয়েছি বঙ্গোপসাগরের বুকে।
স্মৃতিগুলিকে বাক্সবন্দি করে রেখেছি যন্ত্রণার ফ্রেমে।
আমার সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে বিসর্জন দিয়েছি গল্পকবিতা ডট কম সকল লেখক-লেখিকার মানব বন্ধন নামক শান্তির নীড়ে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাসরিন চৌধুরী সমালোচনা দিয়ে শুরু করি - পড়ে মনে হচ্ছিল কোন ডায়রী পড়ছি। কবিতায় বিশ্লেষণ যতটা কম রাখা যায় তত ভাল। আর অল্প কথায় গভীরতা দিয়ে পাঠকককে ভাবাতে হবে। এক দুটো বানান ছুটে গেছে। তবে আপনি আর একটু সময় নিয়ে যত্ন করে লিখলে নিশ্চিত বেশ ভাল লিখতে পারবেন। আপননার সেই ক্ষমতা আছে। শুভকামনা
ধন্যবাদ নাসরিন আপু, আপনার অনেক মূল্যবান গুরুত্বপূর্ণ মতামত জেনে খুশি হলাম। নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি এই জন্য আপনার মত একজন তরুণ কবি ও লেখিকা আমার কবিতা সময় নিয়ে পড়েছেন। আসলে কবিতাটি একটু বড় হয়ে গিয়েছে। আমি ছেলে বেলা থেকেই গল্প, প্রবন্ধ, নিয়ে একটু বেশি চর্চা করেছি। কবিতা লেখার অভ্যাস আগে থেকেই ছিল না। আর কথা হলো কি, আমি একজন প্রবাসী। সব সময় কাজে ব্যস্ত থাকি। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই লিখে পোস্ট করে থাকি। আপনার কথাটাই ঠিক, যদি একটু সময় নিয়ে ভাবি, হয়ত আরো ভালো করতে পারবো। তার জন্যে অবশ্যই আমাকে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আপনাদের দোয়া আর অনুপ্রেরণা থাকলে নিয়মিত লেখা চালিয়ে যেতে পারবো। আপনার সাহিত্যকর্ম উজ্জীবিত হোক।
মোহাঃ ফখরুল আলম ভাল লিখেছেন। ভোট রইল। আমা্র কবিতা পড়ার আমন্ত্রণ রইল।
ধন্যবাদ কবি। আমার কবিতা আপনার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে জেনে ভালো লাগলো। আপনার আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করা হলো।
কেতকী হতাশার কবিতায় ভোট রইল।
ধন্যবাদ কবি, ব্যস্ততার জন্য উওর দিতে দেরি হলো। সেই জন্য দুঃখিত। আপনার মূল্যবান মন্তব্য পেয়ে খুব ভালো লাগলো। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন।
Azaha Sultan অনেক ভাল লাগল....সুন্দর......
অসংখ্য ধন্যবাদ আযা ভাই, আমার অনুকূল থেকে অজস্র ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানবেন।
জসিম উদ্দিন আহমেদ কবিতা ভাল লেগেছে, শুভেচ্ছা ও ভোট রইল।
আপনার সুন্দর প্রসংশা এবং ভালোলাগার অনুভূতির আমার আগামী পথ চলার অনুপ্রেরণা। ভালো লাগলো বন্ধু, আমার অনুকূল থেকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
মুহা. লুকমান রাকীব বেশ ভাল লাগলো। আবেগে আপ্লোত হয়ে গেলাম। বাস্তব জীবনটা এমনই যেনো।।
ধন্যবাদ বন্ধু, আপনার অনুপ্রেরণার সুন্দর একটি মন্তব্য আমার মন ছুঁয়ে গেল। আপনাদের সমালোচনা মতামত ইচ্ছা পাওয়াটাই আমার কাছে অনেক মূল্যবান মনে হয়। শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা নিবেন।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ “স্মৃতিগুলিকে বাক্সবন্দি করে রেখেছি যন্ত্রণার ফ্রেমে ।” দারুন ভাবনার সুন্দর প্রকাশ । নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।
ধন্যবাদ স্যার, আপনার মূল্যবান মন্তব্য জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনি সব সময় অনুপ্রেরণার মন্তব্য করেন। এই জন্যে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানবেন। আমি আপনাদের অনুপ্রেরণা আর ভালোবাসা নিয়ে সব সময়ই পাশে থাকতে চাই। ভালো থাকবেন।•••।
ফেরদৌস আলম আমার সমস্ত ভালোবাসা উজাড় করে বিসর্জন দিয়েছি গল্পকবিতা ডট কম সকল লেখক-লেখিকার মানব বন্ধন নামক শান্তির নীড়ে। - এই লাইনটা কবিতায় না নিয়ে আসলে হত না ? পুরো কবিতাটিই চমৎকার !
ধন্যবাদ ফেরদৌস ভাই আপনার মূল্যবান মন্তব্য জেনে ভালো লাগলো। লেখা যখন হয়ে গেছে আর বাদ দেওয়া হবে না। আসলে কবিতাটি আমার আত্মজীবনীমূলক। আমি সাহিত্যচর্চা লেখালেখি ভালোবাসি, যাঁরা সাহিত্যচর্চা এবং লেখালেখি করেন তাদের কে ও ভালোবাসি। শেষের লাইনগুলি সবাই কে উৎস্বাহ দেওয়ার জন্য যোগ করা হয়েছে। আপনার সাহিত্যকর্ম উজ্জীবিত হোক। ভালো থাকবেন সব সময়।
ইমরানুল হক বেলাল জীবন সংগ্রামে কী করে বেঁচে থাকতে হয় আপনার লেখার মাঝে ফুটে উঠেছে- আত্মজীবনীমূলক সত্য এবং বাস্তবতার রূপ। ধন্যবাদ কবি। আপনার সাহিত্যকর্ম উজ্জীবিত হোক।
জয় শর্মা (আকিঞ্চন) কষ্ট নিজের জীবনে যেন ভেসে উঠল। আত্নজীবনের ক্লেশবোধ... অতীব চমৎকার একটি কবিতা। শুভেচ্ছা রইল!
আমাকে মূল্যায়ন করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। কবিতাটি আমার জীবন থেকেই নেওয়া আত্মজীবনী কবিতা। মাঝে মাঝে নিজেকে খুব অসহায় আর নিঃসঙ্গ মনে হয়। গল্প কবিতা ডট কমে আপনাদের ভালোবাসা পেয়ে কষ্টটা অনেক হাল্কা হয়ে যায় ভাই। অশেষ কৃতজ্ঞতা জানবেন। আপনার সাহিত্যকর্ম উজ্জীবিত হোক।

২৬ অক্টোবর - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ৭ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪