মানুষেরা

মুক্তিযোদ্ধা (ডিসেম্বর ২০১২)

সূর্য
  • ২২
  • ৭৩
এখনো চৈত্র আসেনি, ফাল্গুনের কয়টা দিন রয়ে গেছে। দিনগুলো কেমন ভ্যাপসা, গরমটাও বেশ গায়ে লাগে। ফজরের নামাজ পড়তেই শরীর ঘেমে ভিজে গেছে, তাও কিছুক্ষণ ইমাম সাহেবের বয়ান শুনে বাড়ি ফেরেন হাশেম। হুজুরের বয়ানে যে কথাগুলো বলেছেন ফেরার পথে সেটা মনে পড়ায় গরম বোধটা আর শরীর টের পাচ্ছে না। তার বদলে কেমন একটা তৃপ্তির আভাস পাচ্ছেন।

বাড়ি ফিরে এসে উঠানে একটা পুরাতন চটের বস্তা বিছিয়ে বসেছেন মাত্র। অনেক খেদ ছিল একটা ছেলে নেই বলে। দু দুটো মেয়ে সংসারে। বিয়ে থা দিয়ে দিলে শেষ জীবনে আর কেউ থাকবে না বুড়ো বুড়িকে দেখার। সারাদিন নিজের ও বর্গাক্ষেতে চাষাবাদ করে দিন কাল খুব একটা খারাপ যায় না হাশেম এর। খুব চাইতেন একটা ছেলে হলে তার কিছু সাহায্য হতো। তবে আজ যখন ইমাম সাহেব বললেন "যার একটি মেয়ে সন্তান জন্মালো আর সে তাকে হত্যা করল না, তাকে সৎ চরিত্রবান করে গড়ে তুলল তার জন্য বেহেশত ওয়াজিব হয়ে যায়" নিজেকে বেশ ভাগ্যবানই ভাবলেন। তার জন্য তো বেহেশত দুইবার ওয়াজিব হয়ে যাবে। শুধু মেয়ে দুটোকে চরিত্রবান করে বড় করতে পারলেই হয়।

ছোট মেয়েটাকে দেখলেন কামিজের কোচরে করে কি যেন পরম যত্নে বাহাতে ধরে ডানহাতে দাঁতে কয়লা ঘষে পুকুরের দিকে যাচ্ছে। হাশেম মেয়েকে ডাকলেন, মেয়েটা দাঁতে কয়লা ঘষতে ঘষতেই বাবার সামনে এলো।

পাপিয়া আম্মা আপনার কোচরে কি?

বা হাতটা একটু ফাঁকা করে পাপিয়া দেখালো সদ্য ফোটা দুটো মুরগীর বাচ্চা। বাচ্চাগুলো যেন মায়ের ওমের পরম নির্ভরতায় রয়েছে। কেমন তৃপ্তির একরকম আওয়াজ করছে ওগুলো। হঠাৎই খেয়াল হলো দশ বছরের পাপিয়া গতকাল কি কাঁদাটাই না কাঁদলো। মুরগীটা সদ্য ফোটা বাচ্চাগুলোকে নিয়ে বেরিয়েছে, তারপর কি হলো কে জানে শুধু দুটো বাচ্চাই রয়ে গেল মুরগীটার কোন খবর নেই আর অন্য বাচ্চাগুলো মরে পড়ে আছে এখানে সেখানে।

হাশেম বড় করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়েন। দেশটার যে কি হলো! চারদিকে গণ্ডগোল শুধু মৃত্যুর খবর আসে। একমনে আল্লাহর নাম নিতে থাকেন হাশেম। "আল্লাহ দেশটারে তুমি রক্ষা করো"।

আর বসে থাকলে চলবে না
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রওশন জাহান এখনো পুরো গল্প আসেনি কেন? অপেক্ষায় রইলাম.
তাপসকিরণ রায় ভাবলাম এটাই একটা ছোট গল্প--পরে আপনার মন্তব্য পড়ে অবগত হলাম.ভালই এগোচ্ছিল গল্পটি--বাকিটুকু পড়ব,আশা রইল.
ঐশী যার একটি মেয়ে সন্তান জন্মালো আর সে তাকে হত্যা করল না, তাকে সৎ চরিত্রবান করে গড়ে তুলল তার জন্য বেহেশত ওয়াজিব হয়ে যায়" নিজেকে বেশ ভাগ্যবানই ভাবলেন। তার জন্য তো বেহেশত দুইবার ওয়াজিব হয়ে যাবে। শুধু মেয়ে দুটোকে চরিত্রবান করে বড় করতে পারলেই হয়। ------- এই তথ্যটা দারুণ লাগলো ভাইয়া । শুভেচ্ছা নিবেন ।
তানি হক সূর্য ভাইয়া ..পুরো গল্প আসেনি তো কি হয়েছে ..যত টুকু পরলাম ..খুব ভালো লাগলো ...ইমাম সাহেবের ওয়াজ ..হাসেম সাহেবের উপলব্ধি ..আর শেষে "আল্লাহ দেশটারে তুমি রক্ষা করো"। এই দোয়াতে সব মিলিয়ে কিন্তু ..খুব ভালো লেগেছে ..শুধু আফসোস লাগছে যে এই এতদিনেও কেন গল্পটি পুরো পুরি আসলোনা কেন ..সবশেষে ভাইয়াকে ধন্যবাদ ও সালাম জানাই
সিয়াম সোহানূর চমৎকার সাজিয়েছেন ছোট্ট এ গল্পের ঢালিখানি । ভাল লাগল।
রীতা রায় মিঠু সূর্য্য, ভোর দেখে যেমন বলা যায়, দিন কেমন যাবে, পুরো না আসলেও গল্পটি যে বেশ ভালো হয়েছে, তা আন্দাজ করা গেছে।
আহমেদ সাবের আজ মাসের ১৬ তারিখ। এখনো পুরো গল্পটা আসে নি। ব্যাপারটা কি? গল্প-কবিতাকে পুরো গল্পটা আবার পাঠিয়ে দাও।
সেলিনা ইসলাম গল্পটা বেশ ভালই লাগছিল শেষটা হয়ত কোন কারনবশত আসেনি কিন্তু কেন? পরে মেইল দিলেই তো সঞ্চালক দিয়ে দিত তাহলে?
তানজিয়া তিথি ছোট হলেও বেশ সুন্দর গল্প । শুভ কামনা ।
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন .........................আপাতত এটুকু পড়ে নিলাম আর পরেরটুকুর অপেক্ষায় থাকলাম...। শুভেচ্ছা।

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪