প্রেক্ষাপট

দেশপ্রেম (ডিসেম্বর ২০১১)

সূর্য
  • ১১৬
  • 0
  • ২৩
১.
কোঁকড়ানো সাদা-কালো চুল ভর্তি মাথা, লম্বা দাড়ি-গোঁফ, ছেড়া একটা গেঞ্জি গা'য়। লজ্জা ঢাকার পরিধেয়টাও যেন চিৎকার করে অবহেলার জানান দেয়। পেটানো শরীরে বার্ধক্যের ছাপটাও আসতে যেন লজ্জা পাচ্ছে। হাতদুটো দড়ি দিয়ে বেধে রাখা হয়েছে। এই বন্দিত্ব নিয়ে যে তার কোন মাথা ব্যথা আছে সেরকম ভাবার কোন কারন নেই। মাঝে মাঝেই হাসছেন, আবার বেশ উত্তেজিত হয়ে যেন কি মনে করতে চাইছেন। আশে পাশে অনেক ছেলে-ছোকড়া তাকে ঘিরে আছে। তারা বেশ আনন্দিত। পাশের টং দোকানটায় বাঁশের চটি দিয়ে বানানো টুলে বসে মাতবর গোছের বেশ কিছু লোক সিগারেট, চা পানের ছলে খোশ গল্পে মশগুল। তাদের হাতে থাকা সিগারেটের ধোয়াটা দু'হাত দিয়ে কেচে ফুসফুসে ঢোকানোর অপচেষ্টাও করছেন বুড়োটা। এতে তার নিকোটিন প্রীতির একটা ধারনা হয়। পুরো পরিবেশটায় আপাত দৃষ্টিতে এই বৃদ্ধ পাগলটাকে সঠিক চরিত্র বলে মনে হচ্ছে না। তারচে' আমরা উচু শ্রেণীটার দিকে নজর দেই।

-খান সাব, ইলেকশনের সময় চলি আইসতেছে। আরা ব্যাকে মিলি ঠিক কইচ্ছি আন্নের খাড়ান লাইগব।
: তোরা বঅড় বেশি চিন্তা কইত্ত্বো আছস। আই তোগরে কই দিছি, সময় আইলে দেয়া যাইব। অহন তোরা কাম কইত্ত্বে থাক। বেশি মাতিস না।
- কামতো ঠিকঠাক চইলতো আছে। করিম ভাই মজিত-মানদাসা লই বেস্ত আছে। হ্যাতে সব ঠিক চালাই নিব। আন্নে খাইল টিয়া দি যাইয়েন।
: ব্যায়কে ঠিক আছে নি? কঅনে আর বিরুদ গায়, হিয়ান আরে জানাইছ। বেবস্তা লওন লাইগব।
- ইয়ান লই আন্নের কোন চিন্তা করন লাইগতো নো।

ওদের আলাপ ইলেকশন ঘিরে চলতে থাকে। এরা সবাই এলাকার প্রভাবশালী অংশের প্রতিনিধি। তাদের আলাপ চলুক আমরা বরং অন্য কিছু খুজি।

আজ সকালে বৃদ্ধ পাগলটাকে একটা ভাঙ্গাচোরা কোদাল সহ ধরে আনা হয়েছে। ওর অপরাধ খান সাহেবের টাকায় বানানো নতুন রাস্তার ঢালে কোদাল দিয়ে কিছু দূর দূর মাটি খুড়ছিল। একেতো নতুন রাস্তা, দেখতে নতুন বউয়ের মতো। খোড়াখোড়িতে তার রূপ নষ্ট হবে। তার উপর বিস্তর টাকা ঢালছেন রাস্তা-ঘাট, মসজিদ-মাদ্রাসায় সামনের নির্বাচন ঘিরে। নির্বাচনের আগেই যদি পাগলের পাগলামীতে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়- সমুহ বিপদ। খান সাহেবসহ তার আস্থাভাজনরা বুঝে গেছেন এ জাতি কোন কিছূই বেশি দিন মনে রাখে না। রাস্তাটা নষ্ট হয়ে গেলে মানুষ মনে রাখবে না কে রাস্তাটা বানিয়েছে। বরং তাদের কাছে চলাচলের কষ্টটাই তখন বড় হয়ে যাবে।


২.
নুরউল্লাহ্ ঢাকায় মিল ব্যারাকে একটা মেসে থাকেন। আদি নিবাস ফেনীর প্রত্যন্ত এক গ্রামে। পেটের দায়ে পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকায় শ্রমিক খাটেন। মেস মালিক আয়নাল হকের কোন ছেলে সন্তান নেই। নুরউল্লাহ্ তার এই অভাব অনেকটাই ঘুচিয়ে দিয়েছে। আয়নাল তাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন, নিজের সন্তানের মতোই। এলাকার যে কোন প্রয়োজনে সবার আগে এগিয়ে যাওয়াদের প্রথমেই নুরউল্লাহ্কে পাওয়া যাবেই। গ্রামের বাড়ীতে বৃদ্ধ মা এবং দুটো বোন আছে তার। সবার ভরণ-পোষণের একমাত্র অবলম্বন সে। যতটুকু পরিশ্রম করলে অমানুষিক বলা যায় তারচে' কিছুটা বেশিই করতে হয় তাকে।


এত পরিশ্রমের মাঝেও তার পরম ভাল লাগার, তৃপ্তির একটা জায়গা আছে। মেস মালিকের বড় মেয়ে আসমা মাঝে সাঝে এটা সেটা রেধে ওড়নার আড়ালে করে নুরুল্লাহ্র ঘরে রেখে যায়। প্রথম প্রথম ওর অস্বস্তি হলেও এখন ভাবতেও ভাল লাগে, এই অচিন দেশে তাকে দেখারও কেউ আছে। আসমা দেখতে আহামরি রকমের কেউ এমন বলা যাবে না, আর দশটা নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েদের মতোই সাধারন দেখতে। সেও মাঝে মাঝে আসমার জন্য আলতা, লিপস্টিক, স্নো-পাউডার গোপনে এনে দেয়। দু'জনই ভাবে আর কেউ ওদের লেনদেনের খবর রাখে না।

৭মার্চ শেখ মুজিব রেসকোর্সে যে ভাষণ দেন শ্রোতা হিসাবে এই নুরউল্লাহ্ও সেখানে ছিলেন। ভাষণের প্রতিটি কথা যেন ওর মনেরই কথা। মনে মনে স্বপ্ন আঁকে স্বাধিন দেশে প্রথম বিয়েটা হবে ওর আর আসমার। দেশটা কী আসলেই স্বাধিন হবে? আসমা কী ঢাকায়ই থাকবে নাকি ফেনিতে যাবে.....

= বাবা কেমন আছো? আয়নাল হকের আওয়াজ পেয়ে ভাবনার জগত থেকে ফিরে আসে নুরু।
: জ্বী চাচাজি, ভালা আছি। আন্নে কেমন আছেন?
= আলহামদুলিল্লাহ্ তোমাগো দোয়ায় ভালই আছি।
তার পর বেশ কতক্ষন চুপচাপ দু'জনেই। খুক খুক করে কাঁশি দিয়ে আমতা আমতা করে আয়নাল হক আবার বলতে শুরু করলেন-
= বাবা, তোমারে একটা কতা কওনের লাইগা অনেকদিন চিন্তা করতাছি, ক্যামনে যে কই!
: চাচাজি, আর বাপ মরি গেছে হেই নাদান কালে। আন্নে আরে বাফের মতই সেনেহ করেন। আন্নে আরে কিছু কইতো গ্যালে ভাবতে অইবনি?
= হা হা হা নারে বোকা পোলা। ভাবনার কিছুই নাই তবে কতাডাই এমন যার জন্যে একটু খারাপ লাগতাছে। যাউক, আমার মা আসমারে তোমার কেমন লাগে?

হঠাৎ আসমার কথা শুনে ভ্যাবাচেকা খেয়ে যায় নুরু। চুরি করে ধরা পড়া অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে থেকে বলে-
: জ্বী চাচাজি আই বুইজতে হারিনো। আন্নে কিয়া কইতো চান!
= না মানে অনেক দিন থেইকাই দেখতাছি মাইয়াডা তোমার জন্য একটু দরদ বেশি দেখায়। তাই ভাবলাম তোমাগো মধ্যে কিছু আছে কি না! মাইয়ার বাপতো, অনেক কিছু দেখতে অয়। আমার বড় মাইয়াডা অনেক লক্ষ্মী, আর তুমিও অনেক ভালা একটা পোলা। যদি তুমি রাজি থাক তাইলে মাইয়াডা তোমার হাতে তুইলা দিতে চাই।
: জ্বী চা--চা, আসমা সত্যিই লক্ষ্মী মা-ই-য়া। আ--র কোন অ-ম-ত নাই। আরষ্ট ভঙ্গিতে কথাগুলো বলে নুরু।

মায়ের সম্মতি নিয়ে জানুয়ারী মাসের দিকে আসমাকে বউ করে ঘরে তুলবে বলে ঠিক হয়। আয়নাল হক দু'হাত তুলে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন।

এখন আর আসমা সহসাই নুরউল্লাহ্র সামনে আসে না। এতদিন নুরুও খুব বেশি আসমার পথ চেয়ে থাকতো না। এখন কেমন যেন মনের মধ্যে একটা আকুলতা কাজ করে। কাজে কর্মেও ঠিক মন বসে না। মধুর একটা অনুভুতি সব সময় আবেশে জড়িয়ে রাখে তাকে।

৩.
পঁচিশে মার্চ রাতে হানাদার বাহিনী ঝাপিয়ে পড়ে বাংলার নিরিহ মানুষের উপর। হন্তদন্ত হয়ে আয়নাল হক ছুটে আসেন নুরুর ঘরে।
=বাবারে অবস্থা ভালা ঠেকতাছে না। যে খবর পাইলাম তাতে তো মাইয়াগুলারে নিয়া ভীষণ চিন্তায় পইড়া গেলাম।
: চাচাজ্বী, চিন্তা কইত্তে অইতো নো। হ্যাগরে লই আর লগে চলি আইয়েন, আর বাড়ি চলি যাই। হরে দি কিয়্যা অয় দেয়া যাইব।

আয়নাল হক নুরুর কথায় যুক্তি খুজে পেলেন। মনটাও অনেকটা শান্ত হয়ে এলো। ভোরেই প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, কাগজপত্রাদী সাথে নিয়ে সবাই চলে এলেন ফেনীর গ্রামে। যুদ্ধের তীব্রতা বাড়তে থাকে। পাল্লা দিয়ে বাড়ে নুরু-আসমার আকুলতাও। পুকুর ঘাটে সময়ে অসময়ে বসে চলে স্বপ্ন গড়ার খেলা।
-আপনাদের ভাষাটা শুনলেই আমার কেমন যেন মজা লাগে।
: মজা লাগে কিল্লাই?
- হি হি হি জানি না।
: জানো না কিল্লাই, তাও মজা লাগে? বেডি হক্কলরে যে আল্লাহ্ কোন মাটি দি বানাইছে? হ্যাতেরা বুজিও হাসে না বুজিও হাসে। তবও তোর হাসি দেইখতাম আর বড় বালা লাগেরে আসমা।
- কাঁচা আমের ভর্তা বানাইছি, খাইবেন নি।
: কাঁচা আম খাট্টা লাগে দাঁত বই যায়। তুমি কষ্ট করি বানাইছ কদ্দুরা খাই চাই।

দু'জন মিলে আমের ভর্তা খেতে থাকে। অনেকক্ষন কোন কথা হয় না। নুরুল্লাহ্র মুখের দিকে তাকিয়ে আসমা যেন বুঝে যায় সে তাকে কিছু বলতে চাইছে। বেশ কিছু্ক্ষন পরে নুরু বলে-
: আছমা, আর বয়সী ব্যাকে যুদ্ধে যাইতোয়াছে। আর ও ইচ্ছা হাকিস্তানী দুই-চাইট্টা ফাডান ধরি নাস্তা সারি, তুমি কি কও?
- আমিও ভাবতাছিলাম, সবার চেষ্টা না থাকলে আমরা জিততে পারুম না। তুমি যাও, আল্লাহ আমাগ দেখব।
: আছমারে, আই যে তোরে কত্ত ভালাবাসিরে আছমা। আইতো মনে কইচ্ছিলাম তুই আরে মানা কইরবি। যুদ্ধেরতন হিরি আইলে হরে তুই অইবি আর বউ।

আসমাকে স্বাধিন দেশের প্রথম বউ করার স্বপ্ন দেখিয়ে নুরউল্লাহ্ গ্রামের যুবকদের সাথে যুদ্ধে চলে যায়। অল্প কিছু দিনের ট্রেনিং নিয়ে কমিউনিষ্ট পার্টি-ন্যাপ-ছাত্র ইউনিয়নের গড়া গেরিলা বাহিনীর হয়ে বিশাল বিক্রমে যুদ্ধে লিপ্ত হয় নুরউল্লাহ্। তার সহযোদ্ধাদের সাথে থেকে সে বুঝতে পারে একটাই লক্ষ্য স্বাধিনতা। এখানে আসমার কোন স্মৃতিই আর তাকে দূর্বল করে না।

ডিসেম্বর মাস। দেশের অনেক যায়গা ইতোমধ্যেই শত্রু মুক্ত হয়েছে। সবাই অস্ত্র নিয়ে ঢাকার দিকে আসায় ব্যস্ত। নুরউল্লাহ্ ১৩ডিসেম্বর সহযোদ্ধাদের অনুরোধে বাড়ির দিকে রওনা দেয়। চারদিক বিরাণভুমি, পোড়া বাড়ি, ভাঙ্গা গাছপালা, মৃত লাশ। সব ছাড়িয়ে বাড়িতে আসে। সেখানে মা, বোন, আয়নাল হক তার মেয়েদের কাউকেই সে পায় না। একজন মানুষও নেই যে তাকে তাদের খবর দিতে পারে। তন্য তন্য করে সে খুজতে থাকে তাদের।

তারা নেই, কোথাও নেই। অস্ত্রটা নিয়েই আবার রওনা হয় ঢাকায়। যদি মিল ব্যারাকে চলে গিয়ে থাকে।


দেশ আজ স্বাধিন, মিল ব্যারাকে আসমাদের বাড়িটা পুড়ে ছাই হয়েছে অনেক আগেই। সেখানেও কেউ নেই। পাগলের মতো নুরু তার মাকে খোজে, বোনদের, আয়নাল হক, আসমাকে খোজে। কোথাও নেই। সহযোদ্ধারা সবাই অস্ত্র জমা দিচ্ছেন। তার গ্রামেরই এক যুবক, যে তার অনেক পরে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিল তার মুখ থেকে শুনতে পায় আজমত খাঁ নিজে তার মা আর আয়নাল হককে খুন করেছে। তার বোন আর আসমাদের তুলে নিয়ে গিয়েছিল আর্মি ক্যাম্পে।

অস্ত্র নিয়ে আবারও ছুটে চলে গ্রামে। অস্ত্র উচিয়ে খুজতে থাকে আজমত খাঁ-কে। কোথাও তাকে পাওয়া যায় না। সহযোদ্ধারা বলতে থাকে এভাবে অস্ত্র উচিয়ে ঘুরে লাভ নেই অস্ত্র জমা দিয়ে দে। তাদেরকে সম্মতি জানিয়ে বেশ কিছুদিন নিরুদ্দেশ থাকে নুরউল্লাহ্।

সৃষ্টি কর্তার বেধে দেয়া নিয়মে পৃথিবী চলতে থাকে সময় গড়িয়ে দিন, দিন গড়িয়ে যুগ পার হয়ে যায়। সবাই নুরউল্লাকে ভুলে যায়। আসমা নুরউল্লাহ্ ছাড়া আর কারো মনে ছিলই না কখনো।


৪.
স্বৈরাচার এরশাদের পতনে নির্বাচন হবে। নির্বাচন ঘিরে দুটো বড়দলের জোটগত অবস্থান। শহর বন্দর গ্রাম মহল্লা সবখানেই নির্বাচনী পরিবেশ। নির্বাচনে কে দেশের জন্য কী করেছে তার ফিরিস্তি তুলে ধরতে ব্যস্ত। কে কত বড় দেশ প্রেমিক কর্মীদের কন্ঠ ছেড়া চিৎকারে তারই প্রতিফলন।

ঠিক এমন সময়ই পাগলের উপদ্রব। নিজের ঘাটের টাকায় করা রাস্তা এই বদ্ধ পাগল কেটে খুড়ে নষ্ট করছে। রাস্তার ক্ষতি মানে দেশের ক্ষতি। কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

সারাদিন পরে পাগলটাকে খান সাহেব তার বাড়িতে নিয়ে গেলেন। সন্ধার পরে পাগলটা খান সাহেবের বাড়ি থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে এলো। খান সাহেব পাগলটাকে বাড়িতে নিয়ে কী বলেছিলেন?

আমরা জানি না এই খান সাহেবই পাকিস্তানী সহযোগী আজমত খাঁ কিনা অথবা পেটানো শরীরের সেই পাগলটা, যার চেহারায় কোন ভাবলেশ নেই। জাগতিক কোন কিছুই যাকে আকৃষ্ট করে না। আসলে তিনিই কি সেই নুরউল্লাহ্? যদি নুরউল্লাহ্ই হবেন তবে দেশ ও দশের ক্ষতি হয় এমন কাজ তিনি কেন করবেন? আচ্ছা এমনও তো হতে পারে তিনি কোন রাস্তার পাশে তার অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন আজমত খাঁ-কে পরে খুন করতে!

হতেও পারে। দেশ আজ অনেক রকমের দেশপ্রেমিকে ছেয়ে গেছে। আমরা জনগন শুধু রাস্তাঘাট, গ্যাস বিদ্যুৎ পেলেই খুশি। সে গুলো কার টাকায়, কিভাবে হচ্ছে তার খোজ নিয়ে লাভ কী? আয়নাল হকের মিল ব্যারাকের জমিগুলো এখন কার দখলে? অথবা নুরউল্লার ফেনীর বাড়ী? পুকুরঘাট? যেখানে নুরউল্লাহ্ তার হবু বধুর খাট্টা আমের ভর্তা খেয়েছিল। যেখানে বসে স্বপ্ন দেখেছিল স্বাধিন দেশের প্রথম দম্পত্তি হওয়ার।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মনির খলজি সুর্য দা ...আপনার কলমের খোচ পূর্ব থেকেই আমি অবগত ...এত সুন্দর পরিপাটি ও পরিছন্ন সহজ সরল ভাষায় কি করে এদেশের আবহাঅমান হালচিত্র একেছেন তা সতী প্রশংসনীয় ....আপনার লিখায় মুন্সিয়ানা প্রমেও ....শুভকামনা রইল
খোরশেদুল আলম শেষের প্রশ্ন গুলো উত্তর নাই বলেই এখনো প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ আমরা পাইনা। আর যদি প্রকৃত স্বাধীনতা পেতাম তাহলে এত প্রশ্নও থাকতো না। তবে প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতেই দেখি, বুঝি দেশ আজ স্বাধীন হয়েও হইলনা স্বাধীন। ধন্যবাদ। মুক্তিযুদ্ধ ও বর্তমান অবস্থা জানান দেওয়ার জন্য।
মাহমুদুল হাসান ফেরদৌস ভাল লাগাটুকু রেখে গেলাম।
সূর্য @তানভীর আহমেদ, অকপটে আলোচনা/সমালোচনা করার অধিকার সব পাঠকের আছে, তাই বলতে কোন দোষ নেই। গল্পটা একটা উপন্যাসের পটভুমিকে সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে এমন হয়েছে। ভবিষ্যতে আর একটু চেষ্ট বাড়িয়ে দিব। @F.I. JEWEL, আর একটু বিশ্লেষণ ধর্মী মন্তব্য আশা করেছিলাম। @ আহমাদ মুকুল: এখানে আমার দেয়া প্রথম কবিতাটায় ই একমাত্র জয়ী হবার বাসনা ছিল, তার পর থেকে সবার "সাথে" চলার প্রয়াসটাই বেশি ছিল। তবে জয়ী হলে সবারই আলাদা একটা ভাল লাগা কাজ করে। @ জুঁইফুল: মন্তব্যটা একটু গোলমেলে হয়ে গেছে হা হা হা । তবে যা বুঝাতে চেয়েছ বুঝে নিলাম। সবাইকে অনেক অনেক শুভকামনা।
জাকিয়া জেসমিন যূথী অনেক ধৈর্য্য নিয়ে লেখা গল্পটা শেষ পর্যন্ত মনোযোগ না দিয়ে পড়ে উঠতে পারলামনা। অনেক ভালো লাগলো। হৃদয় নাড়িয়ে দেওয়া গল্প।
আহমাদ মুকুল অনেক দিন লেখককে বিজয়ীর বেশে দেখি না। গল্প এবং পাঠকের (নিজেকে যুক্ত করে) প্রতিক্রিয়া বলছে, সামনে বার.......
তানভীর আহমেদ ব্যতিক্রমী ভাবনায় ব্যতিক্রমী উপস্থাপনার গল্পটি ভালো লাগায় মনটি ছেয়ে গেল। যে রকম ফিনিশিং আশা করেছিলাম তার ধার দিয়েও যায় নি। চিন্তা-চেতনাকে নাড়া দিলো উপস্থাপনার কৌশলগত ভঙ্গিটা। অসাধারণ বাধ্য হয়েই বলতে হবে। তবে এর পরেও বলি ভাষাগত আরেকটু মুন্সিয়ানার প্রয়োজন ছিল। সূর্য ভাইয়ের প্রতি আস্থা আছে বলেই মনের কথা সহজে বললাম। আরেকটা কথা। নোয়াখালীর ভাষায় এক যায়গায় ভুল করে ফেললেন, “ বেশি মাতিস না।” “ন” হবে আর কি। ভাইয়া শুভকামনা।
সূর্য @প্রজাপতি মন , আসলে শেষটা আপনার বলা মতো হলে দেশটা কলঙ্কমুক্ত থাকতো, কিন্তু যা হয়েছে আর হয়ে আসছে তা আর বদলে দিতে ইচ্ছে করেনি। অন্তত গল্পে বদলে দেয়ার কোন মানে হয় না। অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।
সূর্য @Kh Anisur Rahman Joti , যাক্ আঞ্চলিক ভাষাটাও যে বিশেষ করে ভাল লেগেছে (হা হা হা )। গল্পপাঠে অনেক কৃতজ্ঞতা জানবেন।

১৯ জানুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪