ক্ষ্যাপা

দুঃখ (অক্টোবর ২০১৫)

SC Barman
  • 0
  • ৫২
প্রিয় ক্ষ্যাপা,
আশাকরি তুই এখনো আমার প্রতি ক্ষ্যাপে আছিস। জানি তুই ক্ষনেক্ষনে ক্ষ্যাপে যাস। ওই জন্যই তোর নাম দিয়েছি ক্ষ্যাপা।...........................................................................।
ক্ষ্যাপা, ক্ষ্যাপিস না শোন...
ছবিটা মেয়ের, কিন্তু কথা গুলো ছেলের মত? তাহলে কে হতে পারে?
আবার নামটা ছেলের, কিন্তু কথা গুলো মেয়ের মত?......... ?
মেয়ে/ছেলে/হিজড়া???
আচ্ছা বারবার লিঙ্গ বা নাম পরিবর্তন করলেই কি মানুষ পরিবর্তন হয়ে যায়? তাও আবার বাস্তবে নয়। ফেসবুকে।
আমি দেখেছি একমাত্র ফেসবুকে কতজন যে আছে(পুরুষ কিন্তু স্ত্রী লিঙ্গের, স্ত্রী কিন্তু পুরুষ লিঙ্গের, আবার লিঙ্গহীন মানে হিজড়া) তা মনেহয় স্বয়ং ফেসবুকের বাপ মার্ক জুকারবার্গ ও জানেন কি না সন্দেহ?
যিনি কখনো মহিলা, কখনো পুরুষ এবং কখনো হিজড়া তাকে এক কথায় কি বলে?-ফেলিঙ্গ/মালিঙ্গ/ জুকালিঙ্গ???
জানিনা কতটা ভালবাসলে মানুষকে চেনা যায়?তবে তুমি যতই পুরোনো বোতলে নতুন মলাট লাগাও না কেন? আমি তোমাকে চিনতে ভুল করিনি।
আরে! তুই ত দেখছি অভিনয় শিখছিস। এই দেখতো ভালভাবে-মোশারফ-টোশারফ অথবা সানিলিয়ন হতে পারিস কি না?
ওহ, সরি ক্ষ্যাপা, সানিলিয়ন ত মেয়ে। আরে ব্যাপার না। তাতে কি হইছে।
তবে তোর প্রোফাইল পিকচার গুলো দেখতে অনন্তজলিল এর মতই লাগে। দ্যাখ একবার পর্দায় ঢুকতে পারলে, অনেক টাকা কামাই করতে পারবি।
কথাটা খারাপ লাগল তাইনা?
ওরে ক্ষ্যাপা! ওরে পাগলা!
তোদের সাথেই ত মজা করব রে নাকি?
তোরাই ত আমার বায়ুর অক্সিজেন, আমার পানীয় জল।
তোদের মাথায় ত টকা মারব তাইনা?
তোদের গায়েই ত চিমটি কাটব তাইনা?
আমার মনের ইন্দ্রিয়গুলো এখনো মুকুলিত হয়নি রে। শুনেছি সম্ভাবনাও নাই। তুই ত জানিস আমার দুই বেলা যেমন অন্ন দরকার, তার চেয়ে বেশি দরকার তোদের হাসি ঠাট্টা,খুনসুটিরুপী মধ্যাহ্নভোজ।
তোরাই ত আমার মনের মুকুল, মনের খোরাক রে পাগলা।
তোরা না আসলে ক্যামনে হবে রে ফাজিল।
ওই পাগলা তুই ক?
তুই ক?
ভালবাসাটা আসলে যে কি? এ ব্যাপারে এখনো ধাঁধায় আছি। তবে তোকে এতটাই ভাল বেসেছি- তাই অন্তত তোর বুলি, তোর চালচলন, তোর পছন্দ-অপছন্দ গুলো আজো-
হ্যা রে পাগলা! হ্যা
আজো আমার ভাঙ্গা মনের ছত্রাক আচ্ছাদিত দেয়ালে চুনকালি দিয়ে লিখা। ভুলতে পারিনি রে ক্ষ্যাপা।
তোর সাথে বেশ কয়েক মাস হয়ে গেল কথা হয়না। তুই আগে ভালই কথা বলতিস-“দাদা আজকে কুষ্টিয়া, কালকে ঝিনাইদহে সংখ্যালঘুদের অত্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছে, আমরা লিফলেট, প্ল্যাকার্ড বানিয়েছি। আপনাকে আসতেই হবে দাদা”। দাদা আজকে অমুক কালকে তমুক মিটিং আছে....।
তোদের মুখে দাদা কথাটি শুনলে আমার দেহযন্ত্র অবশ হয়ে পড়ে। তখন আর তোমাদের কাছে জোড় করে হেরে যাই।
জানা নেই-বাবা-মা, দাদা-ভাইয়া, দিদি-আপু... এই ধ্বনি গুলোর মাঝে কি এক অদৃশ্য অদ্ভুত শক্তি লুক্কায়িত আছে। এসব ধ্বনি শুনলে যে কোন সুস্থ মস্থিস্কের মানুষ পরাজিত হতে বাধ্য। আর আমিও তো আরএক ক্ষ্যাপা। আমিও জিততে পারিনি।
আমার একটা ফালতু অভ্যাস আছে। সেটা হচ্ছে-সিনিয়র কেউ আমাকে আদেশ করলে সেটা ইনিয়ে বিনিয়ে আমি ফাঁকি দিতে পারি। কিন্তু জুনিয়র কেউ অনুরোধ করলে আমি ফাঁকি দিতে পারি না রে।
কারন তোরা ত দুষ্ট! পাজি! ফাজিল।
অভিমান করে বসে থাকবি।
খানা পিনা করবি না।
আর তোদের সেই মান ভাঙ্গানোর ওষুধ আমার কাছে নাইরে ভাই। তোদের অভিমান আমার সহ্য হয় না রে। তাই আসতে বাধ্য ছিলাম।
তখনি দেখেছি তোমার অন্তর এবং বাহিরে প্রতিবাদের উত্তাল বিপ্লবী ঢেউ। আমি তখন বলতাম- তোরাই পারবি। চালিয়ে যা। দেখিস একদিন-এই ক্যাম্পাস, এই জাতি,এই দেশ তোমার জন্ম এবং মৃত্যুদিবস বিনম্র শ্রদ্ধায় পালন করবে।
আমার দুরদর্শিতা কে মিথ্যে হতে দিস না?
তোর কান ধরে অনুরোধ করছি......।
সামনে এগিয়ে যা......।
থামিস না ......
আমি জানতাম, তুমি আমাকে ফেইক আইডি খুলে রিকুয়েস্ট পাঠাবে। আর আমার সাথেই কথা বলার জন্য তুমি সেই আইডিটা খুলেছ। আর এটাও জানি-তুমি এখন না স্বীকার করবে। দুষ্ট! পাজি! ফাজিল ভাইটি আমার।
বোকামো কাজ দিয়ে বোকা লোককেই বোকা বানানো যায়। তাইবলে আমি যে খুব চালাক তা কিন্তু নই।
না হলে কি হবে, অন্তত তোর দুষ্টামির কাছে আমি চালাক এবং বস। কারন আমি ত তোকে ছোটকাল(ক্যাম্পাস লাইফের) থেকে তোর দুষ্টামি দেখে আসছি। আর তুই তো অনেক চতুর তাই তোর চতুরামি দেখে অন্যরা চমকিত হলেও আমি খুব একটা ভড়কে যাইনি।
তোর দুষ্টামির ছন্দ-অলংকার-কারক-সমাস-লিঙ্গ সব মুখস্ত আমার।আমি জানি এমন দুষ্টামি তুই করবি।
একবার পুরুষ একবার মহিলা.........।
কত্ত রকম যে দুষ্টামি পারিস?
এই দুষ্ট!
এই পাজি!
এই ফাজিল এত্তসব কোন তে শিখছিস?
আমার মনে হয়-তুমি সায়েন্সে পড়লে, এতদিনে একটা বিজ্ঞানি হয়ে যেতে। কিন্তু তুমি ক্যান যে বিবিএ তে পড়ছ। যাক ভাই-ব্যাপার না। শুনেছি মনীষী মুখে-ঢেঁকি নাকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। আমি নিশ্চিত তুমি যেখানেই যাও, অনেক ভাল কিছু করবে।
তাছাড়া তোমার তরঙ্গ ঝংকিত কবিতা গুলি আমার খুব ভাল লাগে।আমার গর্ব বোধ হয় তোকে নিয়ে। তোমার জন্য শুভ কামনা রইল।তুই লিখবি। লিখেই যাবি।
ধ্যাত্তুরি! ভুলেই গেছি।
আমার এই পঁচামনের পঁচালেখার পাল্টা জবাবটা মনের খাতায় লিখে তোর নিষ্কলুষ মনের সুন্দর পাতাগুলি নষ্ট করিস না।
আমাকে ট্যাগ করিস আগের মতই।
কি করবি তো?
করবি না এইতো ?
আচ্ছা করিস না .........
ওহ হ্যা, খুব ভাল লাগে যে, তুমিই একমাত্র আমার স্ট্যাটাস গুলো ভালভাবে পড়। আগে আমার স্ট্যাটাসে তুমিই লাইক মারতে এবং কমেন্টস করতে। তখন আমার একশ জন ফ্রেন্ডের মধ্যে একটা লাইক পেতাম,আর সেটা হচ্ছে তোমার।
আর এখন ১০০ জনের মধ্যে ৯৯ লাইক পাই, একমাত্র তোমার লাইক পাচ্ছি না।
আমার ত বড্ড ভয় হচ্ছে।লাইক মারতে মারতে তোর আঙ্গুলে আবার ফসকা পরেনি ত?
আমার ত তাই মনে হচ্ছে।
ফসকা পড়লে মলম লাগিয়ে নিয়ো ভাইটি । চলমান গড়াই/রূপসা গাড়িতে হেনরি কিসিঞ্জারের মলম সুলভ্য মুল্যে পাওয়া যায় । মাত্র ১০টাকা দাম। লাগাতে পারলেই কাম।
কিন্তু তবুও তোমার মলম মাখা আঙ্গুল দিয়ে কষ্ট হলেও আবারো লাইক দিয়ো ভাইটি। তোর লাইক আমার খুব পছন্দ।
কি দেবে তো?
দিবি না এইতো?
আচ্ছা ইচ্ছে হলে দিস, না হলে দিস না......দুষ্ট! পাজি! ফাজিল।
আসলে তুই ঠিক বলেছিস- শ্রদ্ধা প্রেম গাছে ধরে না,
দেখছিস না, আমি কেমন জেহেলি ভিখারীর মত তোদের শ্রদ্ধামিশ্রিত ডাক শুনতে চাচ্ছি। তোদের শ্রদ্ধা পাওয়ার জন্য আমি উপযুক্ত অপাত্র।
ভালো থাকিস রে পাগলা, ক্ষ্যাপা আমার।
আর দাদা ডাকবি না এইতো?
আচ্ছা ডাকিস না......
ভুলে যাস......
ভুলে.........
যাস.....
ইতি
পাগলু দা

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রেজওয়ানা আলী তনিমা ভোট ও শুভেচ্ছা রেখে গেলাম।
ধন্যবাদ মন দিয়ে পড়া, কমেন্টস এবং ভোট দেয়ার জন্য
এফ, আই , জুয়েল # বেশ ভালো---, অনেক সুন্দর গল্প ।।
ধন্যবাদ মন দিয়ে পড়া এবং কমেন্টস করার জন্য

১৬ আগষ্ট - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী