আমার মা

শিক্ষা / শিক্ষক (নভেম্বর ২০১৫)

শেষ আলো
আমি দিবা, আমি একজন উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা । সমাজে একটা সম্মান জনক অবস্থানে আছি । বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে ভালই দিন কেটে যাচ্ছে ।আজ অফিস থেকে আস্তে দেরি হচ্ছে বাইরে অনেক ঝড় বাতাস হচ্ছে আমার মা বার বার ফোন দিচ্ছে আমি টের পাইনি গাড়িতে ছিলামত। মা ছাতা নিয়ে বার বার গলির মাথাই আসছে আমাকে নেওয়ার জন্য । আমি গলিতে ঢুকে দেখি আমার মা ছাতা নিয়ে দারিয়ে আছে, বলল ফোন ধরিসনা কেন? আমি বললাম বুঝতে পারি নাই মা বলল ফোন তা একটু বের করে দেখবিনা আমাকে নিয়ে বাসায় ফিরল । আমার মার অনেক বয়স হয়ে গেছে শরীরেও বয়সের ছাপ দুর্বল হয়ে গেছে তাও সে আমার জন্য বাইরে বের হয়েছে । আসলে মা এমনি হয় সন্তানের জন্য নিজের কষ্ট ভুলে যায় ।এখনও আমার মা আমাকে খাওয়ায়ে দেয় আমি যদি বলি খেতে ইচ্ছা করছেনা আমার মা হাজার কষ্ট হলেও শোয়া থেকে উঠে আমাকে খাওয়ান । মায়ের হাতে খেলে যত বিস্বাদ খাবার হক ভাল লাগে , আমার তরকারী পছন্দ না হলে মা আমাকে ভাতের প্লেটে কচা মরিচ আর পেয়াজ কাটা ছাড়া প্লেটে রেখে হাত দিয়ে চাপ দিয়ে ভেঙ্গে ভাত মাখিয়ে দেন এটা আমার খুব মজা লাগে ।কাল ছুটির দিন তাই আজ আর ঘুমাবার তারা নাই তাই খেয়ে একটু জানালার কাছে বসলাম । বাইরে খুব ঝড় বৃষ্টি হচ্ছে আমি এক পলকে তাকিয়ে আছি কি বাতাস আর ব্জ্রপাত আর মুসল ধারে বৃষ্টি।

সে দিন ও এমন ঝড় বৃষ্টি হচ্ছিল।সেদিন আমি ওর সাথে ছিলাম । ওই দিন আমরা ঘুরতে বের হয়েছিলাম বেঈমানটাকে আমি একদম অন্ধের মত বিশ্বাস করতাম । আসলে যে আমার জন্য মরতে যেয়ে ফিরে এসেছে তাকে বিশ্বাস না করে থাকা যায় ।সে আমার জন্য সব করতে পারে । অই দিন আমার বাসায় ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায় বাসার সবাই অনেক রাগারগি করে । বাসায় একটু জানিজানি হয়ে গেছিল আমাদের বিষয়ে বাসা থেকে মানা করেছিল আমাকে অর সাথে মিশতে কারন ও একটু উগ্র ছিল । তার পর আমি এই রাতে দেরি করে বাসায় ফিরেছি যা হবার তাই হল আমাকে আব্বা অনেক রাগারাগি করল তখন আমার বাবা বেঁচে ছিল , আমি তখন অনার্স প্রথম বর্ষে পড়ি বোনরাও আমাকে রাগারাগি করছিল বলছিল বাসা থেকে বের হয়ে যা। আমিও তখন রেগে বের হয়ে পরছিলাম আমার তখন মনে হচ্ছিল আমার তো যাওয়ার জায়গা আছে আমার তো ওঁ আছে । সবাই আমার উপর রেগে ছিল কেউ আমাকে বাধা দিচ্ছিলনা আর বেশি করে বকা দিচ্ছিল ।হয়ত সেদিনই আমি আমার সর্বনাশের পথে হেটেই চলেছিলাম না কিন্তু এক জন মহামানবি আমাকে বাধা দিলেন সেও আমাকে ধরে রাখ তে পারছিলেননা কারন আমি ছোট বেলা থেকে খুব জেদি ছোট মেয়ে হলে যা হয়, আমকে জড়িয়ে ধরে বিছানাই শুয়ে ছিল একটা বার এর জন্য আমাকে ছারেনি । মা আমাকে বলেছিল জেদ করতে নাই জেদ মানুষের ক্ষতি করে , মেয়ে মানুষ রাগ করে ঘরের বাইরে গেলে সেটা বিপদ ডেকে আনে তুমি সমস্যা কে সমনে থেকে মকাবেলা কর পালিয়ে নই গুরুজনের রগেও আশিরবাদ থাকে গুরু জন কখনও খারাপ চায় না । আমার মা যদি আমাকে সেদিন ওই ভাবে বুকে আগলে না রাখত হয়ত আমার জীবন টা কি হত আমি জানিনা আমার হয়তবা কথাও দাঁড়ানোর জায়গা থাকতনা । কারন আমি জার উপর বিশ্বাস ও ভরসা করে যেতেচেয়েছিলাম সে যে বড় এক জন অভিনেতা ছিল বুঝেছি অনেক পরে এসে । মনটা ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হওয়ার পরে । সেদিন বের হয়ে যাইনি তবে সবার বারন সর্তে আমি ওকে ভালবেসে গেছি অন্ধের মত ।যা বলত তাই বিশ্বাস করতাম কারন সেজে পাকা অভিনেতা ছিল বুঝতে পারি নাই । আসলে ভালবাসা তো কখন বিচার বিবেচনা করেনা । সব সময় ভালবাসার পরীক্ষা দিতে হয়েছে আমাকে । আমার ফোন কল লিস্ট চেক করত অফিস থেকে । আমার এলাকায় লোক রাখত আমার খবর রাখার জন্য ।আমার ভাল লাগত মনে হত আমাকে কেয়ার করে আমি অর কাছে অনেক স্পেসাল । কারন তার মনোযোগ সবসময় আমার প্রতি । আমাকে আমার বন্ধুদের সাথে মিশতে দিত না ।আমিও সব মানতাম আমি ভাবতাম আমাকে অনেক ভালবাসে তাই এমন করে । অহেতুক কথা নিয়ে ঝগড়া করত বলত আমি যদি ঝগড়া নাকরি তাহলে তো তোমার সাথে আমার বেশি কথা হবেনা তাই ঝগড়া করি । আমাকে ছেলেদের সাথে কথা বলতে মানা করত আমি বলতামনা । অন্যদের কথা শুনে সন্ধেও করত , অর বন্ধুরা ভাল ছিলনা । কথায় কথায় আমকে শুধু তার নিজের ক্ষতি করার হুমকি দিত আবার তা করত । কয়একবার সে মরতে গেছে যা আমাকে তার প্রতি আর দুর্বল করেছে ।


সেই কিনা আমাকে মাঝ রাস্তায় একা ফেলে চলে গেছে আর এক জনের কাছে। যাওয়ার আগে আকবর ও ভাবেনি আমার কি হবে একবারও ফিরে তাকাইনি । কত কেদেছি মিনতি করেছি কিছুই হই নাই হবে কিভাবে ভালবাসলে তো হবে সে তো অভিনেতা ছিল । মানুষ কি ভাবে এভাবে খেলতে পারে মানুষ আর জীবন নিয়ে । আমিতো আগে থেকে ওর কাছে যাই নি , অই তো ভালবেসে আমাকে বাধ্য করেছিল । সব কিছু কি ভুল ছিল আমার জন্য কি বিন্দু মাত্র ভালবাসা ছিলনা অর ? যাক ওই বেঈমান এর কথা আর মনে করতে চাই না । অর নাম অ আমি মুখে আনতে চাইনা । আমার নিজের উপর নিজের ঘ্রনা হয় আমি একটা বেঈমান প্রতারক বিকৃত মানসিকতার মানুষ রুপি পশুকে অন্ধের মত বিশ্বাস করে ভালবেসে গেছি , যে আমাকে কোনদিন ভালবাসেনই শুধু অভিনয় করে গেছে আর আমাকে মানসিক চাপে রেখেছে কখন নিজের ক্ষতি করে । অন্য কাউকে কি সে সত্যি ভালবাসছে, এরা কি কাউকে ভালবাসতে পারে ?

ওই বেঈমানকে আমি এত ঘ্রনা করি যে আমি ওর হাতের একবিন্দু জল পেলে বেচে যাব সেই বিন্দু জলও নিবনা , ওর মারার সময় শেষ বিন্দু জল আমি ওকে দিবনা ।
এখান থেকে আমি একটা জিনিস খুব ভালভাবে শিখেছি যে নিজেকে ভালবাসতে জনানেনা , যে কথায় কথায় নিজের ক্ষতি করে সে কোন দিন অন্য কাউকে ভালবাসতে পারেনা । এই সব লোকদের কাছ থেকে দূরে থাকা উচিত ।কারন আমি কারো জন্য কষ্ট পাই তাই তাকে ভালবাসি ।অতএব আমি নিজের কষ্টের তাগিতেই তাকে ভাল রাখতে চাই ভালবাসি।আমি যদি নিজেকে আঘা্ত করতে ভয় না পাই তবে অন্যর কষ্ট বুঝব কি ভাবে ।
আজ আমি ভাবি সেদিন যদি আমি ঘর থেকে বেরিয়ে যেতাম তবে আমার জীবনে কি দুর্ভোগটাই হত আমি আত্নহত্য করে খবরের শিরনাম হয়ে যেতাম ।আমি এখন বুঝি মা কি জিনিস মা তার সন্তান কে কখনও ফেলে না । মা আমি তমাকে আমি অনেক ভালবাসি যা বোঝানো সম্ভব না। আগেও ভালবাসতাম কিন্তু সেটা নাবুঝে তোমার ভালবাসাটা অনুভব করতে পারতাম না । এখন বুঝি তোমাদের ভালবাসা বাদ দিয়ে অন্য কারো ভালবাসা নয় ।আমি তাকেই ভালবাসব যে আমার সবাইকে ভালবাসবে আপন করে নিবে আমাকে কাউকে ছারতে বলবেনা ।এখন কষ্ট পেলে তোমার বুকে কাদতে পারি ভরশা পাই । এখন আমার পাশে সবাই আছে আমার পরিবার আমার ফ্রেন্ডস ।

কিন্তু একদিন যার কথাই আমি সবাইকে বাদ দিয়েছিলাম সেই আমার পাশে নাই আমাকে অথই পাথারে ভাসিয়ে নিজে সুখের জীবন যাপন করছে একবার ও ভাবেনি আমি যার সব কেরে নিয়েছি সে কিভাবে বেঁচে থাকবে । অনেক কেঁদেছি নিঃশ্বাস নিতে পারিনি এক মুহূর্ত তাকে মনে না করে থাকতে পারিনি চলে যাওয়ার পরে কত কষ্টে ছিলাম কাউকে বলে বোঝান সম্ভব না কিন্তু কখনও তার খারাপ চাইতে পারিনি । এখনো মনে পরে তবে ঘ্রনায় ভুল মানুষ কে ভালবাসার জন্য কষ্ট হয় যে আমাকে কে কোন দিন ভালবাসেনই তাকে আমি বিশ্বাস করেছি ভালবেসেছি । মিথ্যা বলেছে আমকে দোষী করেছে । শেষ পর্যন্ত আমি সত্যটা জানতেপেড়েছি কষ্ট হয়েছে কিন্তু সত্যর আলো অন্য রকম ।কারন কোন ভাঙ্গা সেতু থাকা থেকে হয় সেটা পাড় হওয়া নইত পরে যাও , কর নইত মর আমি সেতু থেকে পড়ে গেছি কোন মিথ্যা আসায় বেঁচে নেই ।


মা এসে বলল কিরে ঘুমাবিনা ? আমার মা কাছে এসে বসল আমি মাকে জড়িয়ে ধরে বুকে মাথা রাখলাম চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করছিল আর বলতে ইচ্ছা করছিল মা তোমাকে অনেক ধন্যবাদ আমি তোমার কাছে চির ক্রতজ্ঞ ওই দিন ফিরানোর জন্য আর আমাকে একটি সুস্থ জীবন দেওয়ার জন্য, তোমাকে অনেক ভালবাসি মা তোমার জন্য সব করতে পারি , কিন্তু মাকে বলা হল না মায়ের বুকে মুখ গুজে চোখ দিয়ে শুধু পানি গড়িয়ে পড়ল নিজেই মুছে নিলাম মাকে বুঝতে দিলাম না মা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন ঘুমপারাবার জন্য ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল অনেক সুন্দর একটি গল্প ।।
ধন্যবাদ দোয়া করবেন !
এশরার লতিফ ভালো লাগলো গল্পটি. অনেক শুভকামনা.
আপনার জন্যও শুভ কামনা ধন্যবাদ !
শামীম খান ভালই লিখেছেন । বানানের ব্যাপারে অন্য পাঠক ইতিমধ্যে বলেছেন । এগিয়ে চলুন । শুভ কামনা আর ভোট রইল ।
রেজওয়ানা আলী তনিমা ভাল লাগলো। ভোট রেখে গেলাম।শুভেচ্ছা।
ফয়সল সৈয়দ পড়ে ভাল লাগলো। ভোট রেখে গেলাম।
মোহাম্মদ সানাউল্লাহ্ গল্পটা খুবই সুন্দর ! তবে বানান এবং প্রসঙ্গটা -----। তবু ভোট রেখে গেলাম গল্পটা ভাল লাগল বলে ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ । বানান টা আসলে সেভ করতে ভুল হয়েছে বোধহয়, চেষ্টা করব যাতে বানান ঠিক থাকে । আর প্রসঙ্গ মানুষ তো তার জীবনের চলার পথের যে কোন ক্ষেত্র থেকে শিক্ষা নিতে পারে। কারন দোলনা থেকে কবর পর্যন্তও তো মানুষের শিক্ষা শেষ হয়না । দোয়া করবেন আমার জন্য আমি যেন ভাল লিখতে পারি !
হুমায়ূন কবির ভালোলাগল। বানানের প্রতি খেয়াল রাখবেন।
অবশ্যই খেয়াল রাখব দোয়া করবেন ।
দীপঙ্কর বেরা খুব ভালো
দোয়া করবেন আমি যেন আরও ভাল লিখতে পারি !

০১ আগষ্ট - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪