বলা হলো না তারে

বৈরিতা (জুন ২০১৫)

মারুফ হায়দার
  • ১০
আমি সবকিছুই গুছিয়ে নিচ্ছি । ছোট্ট একটা ঘর হবে আমাদের। দেয়াল ভর্তি আমার আকাঁনো ছবি,মাটির রকমারি জিনিস,ফুলের টব।
প্রতিদিন দেখাকরতেই হবে। নিজের চেয়ে যেন তাকেই বেশী প্রাধান্য দিয়েছি|
কিছু না কিছু হাতে নিয়েই যেতে হয়।
অনেক দোকান ঘুরে একটা ঘড়ি কিনলাম, আজ রিমাকে এই ছোট্ট উপহারটা দেব। রিমার কি এটা পছন্দ হবে?
যেই মনে করলাম তাকে মোবাইলটা বেজে উঠল, দেখি রিমা।
-আসসালামু আলাইকুম। জনি ! তুমি কি ফ্রি আছো?
ওয়ালাইকুম সালাম, হ্যা আমি ফ্রি আছি ।
_আমার কিছু সফট্যার ইন্সটল করা লাগবে ,তোমার সময় হবে?
সময় তো হবেই!সে যে আমার কাছে কত দামি এটা কেন বোঝে না? যতই কাজ থাকুক না কেন তার চেয়ে আর কি দামি কাজ আছে?
আমি যথা সময়ে হাজির হয়ে তাকে উপহারটা দিলাম।
কি আছে ভিতরে?
খুলে দেখো!
-না !রুমে গিয়ে দেখবো। আমি আর তেমন জোর দিলাম না।
অনেক রকম সফটয়ার ইন্সটল করে দিয়ে দুজনেই বিদায় নিলাম।পরের দিন রিমা আমাকে ফোন দিয়ে টি বাঁধের কাছে আসতে বলে।প্রতিবার দেখা করার সময় কিছু না কিছু নিয়ে যায়! আজ জীবন্ত কিছু নিয়ে যাব!
তাই একটা তাজা গোলাপ ফুলের গাছ নিয়ে গেলাম।
রিমা টিবাধের কড়ই গাছের পাশে বসে আছে।আমি কাছে গিয়ে ডাক দিলাম।
রিমা!
ও আমার দিকে ফিরে তাকাল।এই যে মিস্টি মেয়ে দেরি হয়ে গেল কি? তোমার জন্য একটা ছোট উপহার নিয়ে এসেছি।যদিও দামটা একটু কম তবুও এটা কিন্তু ভালবাসায় পূর্ন। প্লিজ অবহেলা করো না।বলেই গোলাপ ফুলের গাছটা হাতে ধরিয়ে দিলাম।
-(কিছুক্ষন ভেবে) জনি? সবাই ফুল উপহার দেয় আর তুমি ফুলের গাছ?
আমি একটু আলাদা তো তাই।
-জনি চলো নদীর ওপারে যাই। এসে বসতেই পারলাম না উদ্ভট চিন্তা( একটা পাগলী)।
কি যাবে না!এত ভাবার কি আছে? আমি গেলাম, বলেই হাটতে শুরু করল। একটু দুরেই অনেক গুলো নৌকা । উপারে নৌকায় যেতে হয় সে নৌকায় উঠে গেলে আমি সুবোধ বালকের মত তার সাথে নৌকায় উঠে ওর বাম পাশে বসলাম। রিমার দিকে তাকিয়ে আছি, নদী আর বিকেলের পড়ন্ত রোদের সৌ্ন্দয্য যেন তার কাছে কিছুই না।
কেন এত ভালোলাগে, তারও কি আমায় ভালোলাগে,না তাকে আমাকে হারাতে হবে?
…ভয় পেয়ে বুকটা কেঁপে উঠে।
-জনি কি ভাবছো?উঠে এসো।
পদ্মার ওপারে বালু চরে হাটছি, রিমা দৌড় দিয়ে অনেক দূরে যাচ্ছে আবার আমার দিকে এসে ধাক্কা দিয়ে দৌড় দিচ্ছে। আমি তার পাগলামী খুব উপভোগ করছি।
আশে পাশে তেমন মানূষ নেই, এই প্রথম লাজুক মুখে তার হাত ধরলাম। আমার ভেতরের অনুভূতি যেন জেগে উঠলো’ ভাবছি হাত ধরাতেই এত মজা?
কাগজের শপিং ব্যাগে আমার দেওয়া ফুলের গাছ।
তোমার ব্যাগে কি রিমা?
- খুব কাঁটা’ তাই ব্যাগে নিয়েছি ব্যাগে আমার পূরনো জুতা।
বুকের ভেতরে মোচড় দিয়ে উঠলো,পারলো কি করে জুতার সংগে আমার দেওয়া ফুল গাছ রাখতে?
তুমি রাখতে পারবে না তো আমায় দিলে না? আমার হাতে কাঁটা ফুটতো’ আমাকে আর আমার দেয়া উপহারের এই মুল্য তোমার কাছে?
-জনি ! ভালবাসা পেতে হলে ভালবাসার মনের মত চলতে হয়|
( রেগে গিয়ে অনেক কথাই বলে ফেললাম)
রিমা কিছু না বলে চলে গেলো,তার দিকে চেয়ে রইলাম পেছন ফিরে একবারের জন্যও তাকাল না।
এর পর থেকে আমিও আর ফোন দিলাম না ও কোন ফোন দিলনা।
এভাবে অনেক দিন কেটে গেলো। লজ্জা না করে ফোন দিলাম। ফোন বন্ধ’বুকের ভেতরটা কেঁদে উঠল। আজ তিন মাস হচ্ছে তার সাথে কথা হয় না। রিমা!কোথায় আছো কেমন আছো খুব জানতে ইচ্ছে করে,জানো রিমা সেই ফুলের গাছে না তিনটা ফুল ফুটেছিলো তার মধ্যে একটি নস্ট হয়েগেছে।
রিমা! এখন চুল এলোমেলো হয়ে থাকলেও কেও আর বলে না,কেও আর আর রাস্তা পার হবার সময় আমার হাত চেপে ধরে না, একটু দেরি করে আসলে আমার জন্য আইসক্রিম নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে না।
রিমা আজ বড় বেশি নিজেকে একা মনে হয়।মনে হলেই কি হবে? এই পৃথিবীতে একাই এসেছি আবার একাই যেতে হবে। বৈরিতা রাগ অভিমান জ়ীবনকে অনেক ছোট করে দেয়।বেচে থাকার আকুলতা হারিয়ে ফেলে। কোথাও বিরিহের গান শুনলে মনে হয় যেন লেখা গুলো আমাকে নিয়েই ।
রিমা,তোমাকে অনেকবার বলতে গিয়েও বলতে পারিনি,বোঝাতে গিয়েও বোঝাতে পারিনি, ভিশন ভিশনই ভালোবাসি…
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সাদিক ইসলাম ভালো লাগলো . . .সুন্দর কাহিনী . . . আমার পাতায় অমন্ত্রণ রইলো
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক বেশ ভালো লাগলো। ভোট রইলো। শুভেচ্ছা রইলো।
তাপস চট্টোপাধ্যায় খুব ভালো লাগলো. আমার পাতায় আমন্ত্রণ.
ফয়সল সৈয়দ ভাল।প্রেমের গল্প। রোমান্টিকও বটে । তবে আবেদন কম। পড়তে পড়তে গল্প লিখার কৌশলটি জব্দ করতে পারবেন আশা করি। আমার ভেতরের অনুভূতি যেন জেগে উঠলো’ ভাবছি হাত ধরাতেই এত মজা? যেমন বাক্যটি আপনার মত করে রেখে আমি জাষ্ট গুছিয়ে লিখলাম, তার স্পর্শে আমার ভেতরের নতুন করে অনুভূতির চর জেগে উঠল।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ,আমার জন্য দোয়া করবেন ভাইয়া
সরল পথিক মারুফ সাহেব, আপনার লিখা গল্প গল্প পড়ে নিজের জীবনের গল্পের কথা মনে পড়ে গেলো। সত্তিই ভাই , ভালোবাসার মূল্য কজন রাখে? রিমা আপুকে ফিরে আসার অনুরোধ রইল। আর আপনার প্রাপ্য ভোট দিলাম।আরো এমন জীবনের গল্প চাই।
আপনার সুন্দর মতামতের জন্য আপনাএ অনেক অনেক ধন্যবাদ
আবুযর গিফারী ভালো। ভোট রেখে গেলাম।
গোবিন্দ বীন অন্যরকম গল্প ভাল লাগল।পাতায় আমন্ত্রন রইল।

২৫ মে - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী