আমি কখনই এই বিদ্যুতায়িত ট্রলি বাসে চড়িনি বা এই রাস্তা ব্যাবহার করিনি । যাহোক বাওলি আমায় বলে দিয়েছে বলে সহজ হচ্ছে তাছাড়া আমি স্টেশনগুলোর নাম পড়তে পারি কিছুটা আর স্টপেজ গুনতে থাকি । একান্ত বিপদ হলে পাশের কাউকে জিজ্ঞাসা করি। ছুটির দিন সকাল বলে ভিড় নেই । আকাঙ্ক্ষিত বেইহাই পার্কে পৌঁছে গেলাম। আমার জন্য অপেক্ষায় থাকা বাওলিকে দেখে উত্তেজনা অনুভব করলাম। পার্কে ঢুকে গেলাম । লেকে বোটের জন্য বিশাল লাইন দেখে বাদ দিলাম বোটে চড়ার প্ল্যান। ব্রিজের দুদিকে পদ্ম ফুলের সমাহারে মনটা ফুরফুর করে উঠল। পার্কের মাঝখানে একটা বৌদ্ধ মন্দির আছে । বিশাল কৃত্রিম পাহাড় বানিয়ে রাজারা এই মন্দির বানিয়েছিল । আমার রঙ ইউরোপীয়দের মত সাদা নয় বলে দৃষ্টি আকর্ষণ করছি না , তাতে সুবিধাই হয়েছে টিকটিকি পুলিশের নজর এড়ানোর । আমরা নির্ভয়ে দুজন দুজনার হাত ধরে লেক পাড়ের দেওয়াল ঘেঁষে হাঁটছি । বাওলি আশ্বাস দিল নজরদারি বিকেলে শুরু হয় । ক্রমশ আমরা ছোট ছোট গাছের নিচ দিয়ে উঠছি ওপরের দিকে । অসমতল পাথর আর মাটির পাহাড় । এই জায়গাতে শুধুই খবরের কাগজ দেখতে পাচ্ছি তাও দুমড়ানো মোচড়ানো । আমার সতর্ক কৌতূহলী দৃষ্টি দেখে বাওলি বলল একদিন সন্ধ্যার পর এসো এবং দেখে যেও চীনের যৌবন বিপ্লব । প্রেমের সব বাধন এখানে উন্মুক্ত হয়, না রাষ্ট্র না সমাজ কাউকে কেয়ার করেনা এই বিপ্লবী যুবক যুবতীরা। পুলিশ আসেনা এখানে? আসে, টুপি খুলে সেও মত্ত হয় প্রেম সাধনায় । বাহ বাহ , কি শোনালে । মদের ছোট খালি বোতল দেখছি । হ্যা, ছেলে মেয়েদের অনেকেই খায় এক নেশার সাথে আরেকটি মেশাতে । আমরাও একদিন আসব বিয়ার সাথে নিয়ে । বাওলির চোখে উত্তেজনার দৃষ্টি । আমি নিশ্চুপ হাসছি । চীনে বিদেশি- চীনা যুবতীদের প্রেমের সবচে বড় বাধা পুলিশ ।
আমি বেশ রোমাঞ্চিত হচ্ছিলাম না দেখা সন্ধ্যা রাতের সম্ভাব্য দৃশ্যপট মনে একে। পাহাড়ের গুহামুখে দাড়িয়ে আমরা, ঘেমে গেছি দুজনেই । এই পথ বিভিন্ন দিক দিয়ে বেরিয়েছে । আমি কিছুটা বিচলিত আর একটু টেনশন হচ্ছে। এখান থেকে লেক দেখা যায়না শুধু আকাশ ছাড়া । আমার বিচলিত ভাবকে ছিন্ন করে বাওলি হাত টেনে গুহায় ঢুকল । খুব চাপা , বড়জোর একজন সহজেই চলাফেরা করতে পারে। ক্রমশ ঘন অন্ধকার আমাকে দাড়াতে বাধ্য করল এবং সাথে থাকা ম্যাচ জ্বালিয়ে নিশ্চিত হলাম গুহাটি কেমন। সিমেন্ট দিয়ে অসমতল প্রলেপে গুহা ভাব এনেছে। কাঠি নিভে গেল এবং মনে হল অন্ধকার আরও জেকে বসেছে। আমরা ধীরলয়ে হাঁটছি । আবারো ম্যাচ কাঠি জ্বালালাম । এবার বাওলি ঝটকায় ম্যাচ কাঠি ফেলে দিয়ে শক্ত করে আমার কাঁধ ধরে টেনে নিলো ওর তপ্ত দুঠোটের মাঝে আমার ঠোটখানি। আমিও সক্রিয় হলাম এবং একসমুদ্দুরের ফেনায়িত ঢেউয়ের প্রেমময় আখ্যানে তমসা থেকে তমসাঘন জীবনে হারিয়ে গেলাম। প্রেম স্বর্গীয় , তাই মনে হয় সর্বদা ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
থাকতে পারে বুদ্ধদেবের ফ্লেভার তবে আমি পড়িনি । বিস্তৃত বয়ানে গেলে মজা থাকেনা বরং পাঠক চাতক পাখীর মত চেয়ে থাকুক যার জন্য জায়গামত হিজাব টেনে দিয়েছি । তোমার গল্পটা মনে হয় পড়া হয়নি, পড়ব।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।