সাত পাকে প্রায়শ্চিত্ত

প্রায়শ্চিত্ত (জুন ২০১৬)

শাহ আজিজ
  • ১৪
ঘর্মাক্ত চৈত্রের রাতে বাশবাগানের নিচে আঁধারের চাদরে ঢাকা জমিনে বিছানো গামছায় মিথুন ক্রিয়া শেষ করে মুখ ঘুরিয়ে পূর্ণ চাঁদে ঝলমল গ্রামের দিকে তাকিয়ে রইলাম। বীর্যপাতের পর কেন জানি একটা অপরাধবোধ জেগে ওঠে , কেন জানিনে আজতক।
ওপাশ থেকে নমিতা চাপা ডুকরে কেঁদে উঠল। আবার পিছনে শুয়ে পড়লাম।
ফিসফিস করে নমিতা বলল ‘আমি নষ্ট হয়ে গেলাম , আমি এখন নষ্টা কুলটা নারী’। নমিতার খোপা খোলা চুলে আঙ্গুল চালিয়ে বললাম নষ্ট হবার সময়ে আমার কোমর পেঁচিয়ে আমায় টেনে নামিয়ে আমার ঠোট কামড়ে নিশ্চল পড়ে ছিলে , তখন নষ্টের বোধ জেগে ওঠেনি?
যেন আরও বেড়ে গেল কাঁদার প্রহর।
কি করি এখন? মেয়েলোক এভাবে কাঁদলে আমার বড্ড অসহায় বোধ হয়, অপরাধবোধে ভুগি ।
আমি আবারো বুকে টেনে নিয়ে বললাম ‘নমিতা , তোমায় পবিত্র করতে কি করব এখন’?
নমিতা কাঁদাকাটা ছেড়ে আমার মুখের দিকে তাকিয়ে তারপর কাপড় ঠিক করল , এবার আমার হাত ধরে মেঠো রাস্তার দিকে এগুলো । একটু এগিয়ে আমি থেমে গেলাম।
নমিতা , আমরা কোথায় যাচ্ছি?
মন্দিরে । নমিতার দৃঢ় ও স্পষ্ট উত্তর।
কৈশোরে এবং আজ সকালেও কার্ল মার্ক্স জপেছি । ঠিক এই মুহূর্তে নমিতার বাহুর শক্ত বাঁধনে মা দুর্গা আর কালীর নাম জপছি।
ক্ষনিক আনন্দের প্রতিদানে সাতপাকের প্রায়শ্চিত্ত শুরু হল বাকি জীবনের তরে।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোজাম্মেল কবির টেনেটুনে আরও একটু লম্বা করা যেতো... তবে বেশ ভালো লেগেছে। চিহ্ন রেখে গেলাম...
লম্বা করলে এই তাৎক্ষণিক অনুভুতি পাওয়া যেত না। লম্বা গল্পে আরও চরিত্র সংযোজন হত তখন বিয়ে নামের সারা জীবনের প্রায়শ্চিত্ত অনুভুতিতে আসত না। ধন্যবাদ।
শরীফ উল্লাহ জীবনের শেষ প্রান্তে এসে বোধদয় মন্দিরে যাওয়া ঠিক হবে। মসজিদ সর্ব উত্তম, হা হা হা। খুব ভালো একটি গল্প হয়েছে। মন ভরে পড়েছি। তৃপ্তিও পেয়েছি। ভাল লেগেছে।
হিন্দুদের বিয়ে সাধারনত মন্দিরেই হয়, পুরোহিত পড়ায়। সাত পাক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় । মসজিদে তা হয়না কেননা এরকম নিয়ম আমাদের নেই। সে ক্ষেত্রে পৃথিবীর বিভিন্ন জাতিসত্তার বিচিত্র অলঙ্করন সামাজিক প্রথা আমার লেখার উপজীব্য। এখানে দেশকাল পাত্র মুখ্য নয়।
রুহুল আমীন রাজু sundor vabnar golpo....anek valo laglo. amar patai amontron roilo.
ধন্যবাদ,দেখব লেখা----
ইমরানুল হক বেলাল golpota choto hole o tar vumikha ache onek. lekhati Boro hole aro sondor kore sajano jeto, donnobad Dada.
সাম্প্রতিক কালে ছোট গল্পে ফিরে এসেছি। আমার বেশ কটি বড় গল্প আছে যা অপ্রকাশিত । ছোট গল্পের মধ্যে প্রতীকী বিষয় আশয় দিয়ে পাঠককে আনন্দ দেয়া যায়। বড় গল্পে প্রয়োজনীয় চরিত্র ও তার ভুমিকা গঠনে বেশ সময় দিতে হয়। ধন্যবাদ।
কেতকী এখন ভোট দিতে পারলাম ।
শাহ আজিজ হা হা হা , দেখব তোমার লেখা ।
কেতকী শেষ লাইনটাই আসল। আনন্দ নেবার সুযোগ নেয়া পুরুষগুলোকে এভাবে বিয়ে করিয়ে দিতে পারলে ভালোই হতো। ভোটিং এখনও খোলেনি মনে হলো। ভোট দেবার সুযোগ শুরু হলে পরে এসে ভোট দিয়ে যাব। আমার গল্পটা এবার আগের বারের চেয়ে খানিকটা বড় হয়েছে। আপনার মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
আহা রুবন বাঁশবাগানের নিচে গেলে তো বাঁশ খেতে হতেই পারে! সুন্দর অনু গল্প।
হা হা হা, অনেককেই জীবনে এরকম বাশ খেতে হয়েছে । ধন্যবাদ ।

০৮ মে - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ৮১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪