মাথাভাঙ্গা নদী

দেশপ্রেম (ডিসেম্বর ২০২১)

পারভেজ রাকসান্দ কামাল
  • 0
  • ৫৬৪
আমার নানী বাড়ির পাশ দিয়ে একটি নদী বয়ে চলেছে;
নদীর নাম মাথাভাঙ্গা।
সেই নদী দিয়ে একসময় রংবেরঙের পাল তোলা, ছই ঘেরা নৌকা চলত।
ছেলেবেলায় কতদিন নদীর ঘাটে দাঁড়িয়ে দেখেছি সেসব
যেন ছবির মত দৃশ্য।

পাড়ার বৌ-ঝিরা নদীর ঘাটে বাসন মাজত, কাপড় কাঁচত;
পুরুষেরা ভোরে নদীর পবিত্র জলে স্নান করে বাজারে যেত;
আমরা ছুটোছুটি করতাম;
আর,
সেই নদীতে নৌকা ভাসিয়ে যেত মাঝি-
নানান রঙের পাল তোলা, হরেক রকম নৌকা।
নৌকার মাঝির সাথে আমরা চিৎকার দিয়ে কত কথা বলতাম!
মাঝিও উত্তর দিত;
কিন্তু উত্তাল বাতাসে কেউ কারোর কথা বোধহয় শুনতে পেত না।
তবুও ভাব বিনিময় চলত।

বহুদিন পর আজ বড়বেলায় সেই নদীর তীরে গিয়েছিলাম;
শুধু একটি নৌকা দেখবার জন্য।
সারাদিন ঠাঁই দাঁড়িয়ে ছিলাম।
কিন্তু কোন নৌকা এলো না - গেলও না।

আমি নদীর জলকে শুধালাম,
“কই সেই মাঝি বাওয়া নৌকা?
কোথায় সেই রঙিন স্বপ্নের মত পাল
আর ছইয়ের মত ঘর?”
নদী বলল, “ওরা আর আসে না।”
আমি বললাম, “কেন?”
নদী চুপ করে থাকল;
তারপর বলল, “তুমি বড় হয়ে চলে গেলে শহরে;
নদীর ধারে আসা নিত্যদিনের চেনামুখ এক এক করে হারিয়ে যেতে লাগল;
কেউ বিদায় নিল দুনিয়া থেকে,
কেউবা তোমার মত বিদেশে পাড়ি দিল,
আর আমার বুকের জল একটু একটু করে শুকিয়ে যেতে লাগল;
নৌকার মাঝি নৌকা নিয়ে আর আসতে চাইল না।
তিনি শুধু সেই পুরোনো দিনের চেনামুখ আর সুখ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে রইলেন -
তোমার মত যারা নদীর কাছে ফিরে এসেছ তাঁদের মনে।”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নিজাম গাজী বাহ! অনবদ্য ব্যতিক্রমী লেখনী। ভোট রেখে গেলাম প্রিয় কবি। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইল। অসংখ্য ধন্যবাদ ও শুভকামনা নিরন্তর।
ফয়জুল মহী খুব সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ।

লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য

বিদেশ বিভুঁইয়ে থেকে দেশের জন্য মন কেমন করে. কিন্তু দেশের সেই ফেলে আসা সুখ স্মৃতি নিয়ে বেশ থাকে অনেক মানুষ. এটাই দেশপ্রেম. সারা পৃথিবীর বহু নদীর পাশে বসে থেকেছি এবং অনেক সমুদ্র সৈকতে সময় কাটিয়েছি. কিন্তু নিজের গ্রামের বাড়ির ছোট্ট নদীর তীরে সময় কাটানোর মত কোন তুলনা হয়না.

১৩ এপ্রিল - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ১৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪