সারপ্রাইজ

বাবা (জুন ২০১২)

Mohammad Alvi
  • ২০
  • ৮১
এক.
‘তুমি কোন কাননের ফুল, কোন গগনের তারা.........’, সারগম করছে রিমঝিম।মেয়েটা চমৎকার গায়,মাত্র বারো বছর বয়সেই।সাঈদ হোসেন মেয়েকে নিয়ে গর্ব অনুভব করে।খুব ভাল ছাত্রী,চমৎকার গানের গলা,দেখতেও বেশ ভাল। যদিওমেয়ের মুখের আদল অনেকটা ওর মায়ের মতো, সাইদের চেহারার ছাপ তাতে খুব একটা নেই।তাতে কি? ‘আমার মেয়ে’ চিন্তা করে তৃপ্তির সাথে বিছানা থেকে উঠে বসেসাঈদ।শুক্রবারের অলস সকাল।সকালের এক ফালি রোদ বারান্দায় এসে পড়েছে।বারান্দায় নাফিসা বসে,হাতে চা। বিছানা থেকে উঠে বারান্দার দরজায় দাঁড়ালো সাঈদ।
‘রিমঝিম আজ কোচিঙেযাবেনা?’‘আজ কোচিঙে ক্লাস নেই’ ঘাড় না ঘুরিয়েই উত্তর দিলো নাফিসা।
কোচিঙে যে আজ ক্লাস নেই,তা খুব ভাল করেই জানা আছে সাঈদের।তারপরও সে প্রশ্ন করে,নাফিসার কাছ থেকে প্রয়োজনের বাইরে,দায়িত্বের বাইরে কিছু শোনার আশায়। কিন্তু হায়, নাফিসা যে প্রয়োজনের বাইরে,দায়িত্ব ছাড়া একটি কথাও বলেনি এই তেরো বছরের সংসার জীবনে।তারপরও সাঈদ প্রশ্ন করা থামায় নি।নিজের অধ্যাবসায় দেখে মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যায় সে।
নাশতা করে এসে বারান্দায়বসলো সাঈদ।নিপুণ হাতে চা বানিয়ে দিল নাফিসা।চমৎকার চা,প্রথম চুমুক দিয়ে ভাবে সাঈদ।আড়চোখে তাকালো নাফিসার দিকে।যেন এক আবেগহীন মূর্তিমান পাথর;যার মধ্যে রাগ,দুঃখ,ভালবাসা কোন কিছুরই স্থান নেই।চা শেষ হওয়ারপরও কিছুক্ষন নিশ্চুপ বসে থাকেসাঈদ,অপেক্ষাই সার।
বারান্দাথেকে উঠে ডাইনিং রুমে আসলো সাঈদ।রিমঝিমের সারগম সম্ভবতঃ আজকের মত শেষ।বাসার ঠিক মাঝে দাঁড়িয়ে চারদিকে চোখ বোলালো।কি নেই তার চারপাশে? বিয়ের পর শ্বশুরের কাছ থেকে পাওয়া সামান্য ব্যবসা থেকে সে সাম্রাজ্য বানিয়েছে ।এখন তার অনেক টাকা,ঘরে সুন্দরী স্ত্রী ;মেধাবি,লক্ষ্মী একটি মেয়ে। মনে মনে গর্ব অনুভব করে। নিজের ঢোল নিজেকে পেটাতে হয়না। সত্যি কথা বলতে, লোকে তাকে হিংসে করে। তার গর্ব নিজের বৈভব নিয়ে, এই ছবির মতো সুন্দর বাড়ি নিয়ে,স্ত্রী আর নিজের মেয়েকে নিয়ে। এতো কিছুর মাঝে অপ্রাপ্তি ঐ একটাই। বাইরে থেকে কেউ কিন্তু নাফিসার সামান্য ত্রুটি ধরতে পারবেনা। আসলে তার কোন ত্রুটি নেইও। আদর্শ মা,দক্ষ গৃহকর্ত্রী,দায়িত্ববান স্ত্রী,আনন্দদায়ী শয্যাসঙ্গিনী- কিন্তু দায়িত্বের বাইরে সাঈদের সাথে তারযেন কোন সম্পর্কই নেই।প্রথমে সাঈদ আদর ভালবাসা দিয়ে নাফিসাকে স্বাভাবিক করতে চেষ্টা করেছিলো। তাতে কাজ না হওয়াতে মানসিক চাপ দিয়েএমনকি দু’একবার গায়ে হাত তুলে নাফিসাকে জোর করে কথা বলানোর চেষ্টা করেছিল। কোন লাভ হয়নি, নাফিসা নির্বিকার। অথচ নাফিসার জন্য সাঈদ কি করেনি। হ্যাঁ, এটা ঠিক যে তাদের বিয়েটা অনেকটা নাফিসার অমতেই হয়েছিল,কিন্তু সে তো বহুদিন আগের কথা।
আরিফ মাহমুদ সাঈদের খুব ভালো বন্ধু ছিল। নাফিসার সাথে আরিফেরমন দেওয়া-নেওয়া চলছিল। ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সাথে প্রেমিকার পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই নাফিসাদের বাড়িতে সাঈদকে নিয়ে গিয়েছিল আরিফ, তারপর থেকে নিয়মিত যাতায়াত। আর সেটাই হলো কাল। নাফিসাদের বাড়িতে সাঈদই ছিল বেশি সমাদৃত। একদিকে মেধাবী, সুদর্শন,ঢাকায় স্থায়ী সাঈদ আর অন্য দিকে HSC পাশের পর গ্রাম থেকে আসা মৃদুভাষী আরিফ। সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করল সাঈদ,বেঈমানি করল বন্ধুর সাথে।নাফিসাকে সামান্যতম আভাস না দিয়ে সরাসরি ওর বাবা-মায়ের সাথে কথা বললো,সাঈদের প্রস্তাব পাওয়ার পর দ্বিতীয় কোন চিন্তা করেননি তাঁরা। বিয়ের আগে নাফিসা একবার দেখা করতে চেয়েছিল,রাজি হয়নি সাঈদ। এমনকি দেখা করেনি আরিফের সাথেও।ভয় হয়েছিলো ওদের যুক্তি এবং আবেগের কাছে হয়তো হেরে যাবে।বিয়ের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই কোল জুড়ে রিমঝিম। তারপর শুধুই উর্ধ্বমুখি গতি,কিন্তু নাফিসা যেন তার জায়গাতেই অটল ।
আরিফের সাথে শেষ দেখা হয়েছিল ও আমেরিকা চলে যাওয়ার আগের দিন,খুব অস্বস্তিকর ছিল সেই ১৫-২০ টা মিনিট। বিদায় নেওয়ার সময় হঠাৎকরে সাঈদ বলে উঠলো‘দোস্ত রাগ করে থাকিস না।’ বলেই চিন্তা করলো এবার না মেরে বসে আরিফ।তাকে অবাক করে দিয়ে আরিফ বলল, ‘আরে নাহ, শুনিসনি Everything is fair in love & war’। সবচাইতে বিস্ময়কর ছিল আরিফের মুখের হাসি। কিছুক্ষণ খচখচ করল ভেতরটা, তবে ব্যাপারটা ভুলে যেতেও খুব বেশী সময় লাগেনি।
দিন দুই আগে ফোন করেছিলো আরিফ। দেশে এসেছে । তাদের সাথে দেখা করার জন্য আসতে চায়। আপত্তির কোন কারণ দেখেনি সাঈদ।

দুই.
সকালে ঘুম ভেঙে রুম থেকে বের হতেই রিমঝিম এসে বুকে ঝাঁপিয়ে পড়লো। রিমঝিমকে জড়িয়ে ধরে আড়চোখে নাফিসার দিকে তাকালো সাঈদ। নাফিসার সাথে রিমঝিম কখনো এরকম করেনা। বাবার সাথেই যেন তার যত আবদার। নাফিসাকে সাঈদ বুঝিয়ে দিতে চায় অন্তত মেয়ের ভালবাসা পাওয়ার দিক দিয়ে সে এগিয়ে আছে, নিতান্তই ছেলেমানুষি চিন্তাভাবনা। কিন্তু নাফিসা থোড়াই কেয়ার করে এসবের।
‘আই লাভ ইউ বাবা, হ্যাপি ফাদার’স ডে।’
মেয়ের কপালে আলতো করে চুমু খেলোসাঈদ।‘অনেক ধন্যবাদ মা, আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি।’
‘চারিদিকে একটু তাকিয়ে দেখো।’
চারপাশে চোখ বোলাতেই প্রচুর ফুল দেখতে পেলো সাঈদ।
‘আমি এগুলো নিজে কিনেছি। আর রাতে তুমি ঘুমিয়ে যাওয়ার পর সব সাজিয়েছি। কেমন হয়েছে বাবা?’
‘অসম্ভব সুন্দর হয়েছে মামণি, মেয়ের চুলে হাত বুলিয়ে দেয় সাঈদ।’
‘মা বলেছে সন্ধ্যায় তোমার জন্য আরও বড় একটা সারপ্রাইজ আছে। তবে সারাদিন আর এটা নিয়ে কোন কথা বলা যাবেনা।’
‘তাই নাকি?’ নাফিসার দিকে তাকায় সাঈদ।
না তাকিয়েই নাফিসা বলল, ‘আরিফ আসছে আজ সন্ধ্যায়। সময়মতো চলে এসো।’
মুখটা তেতো হয়ে গেলো সাঈদের, ভুলেই গিয়েছিলো যে আজ আরিফের আসার কথা।
‘এটাই কি তোমার বড় সারপ্রাইজ নাকি?’
কোন কথা বললোনা নাফিসা।

তিন।
মাত্র সন্ধ্যা হল। আরিফ এসে ড্রইংরুমে বসে আছে। তার সাথে দেখা করাটা যত সোজা হবে ভেবেছিলো এখন আর ততটা সোজা মনে হচ্ছেনা।আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণরিহার্স্যাল করে নিলো সাঈদ। তারপর ড্রইংরুমেঢুকতেই দেখলো রিমঝিম আরিফের পাশে বসা। সেই পুরনো দিনের মতো একে অপরকে দেখে উচ্ছ্বাসিত হয়ে উঠলো, কিংবা বলা ভালো উচ্ছ্বাসিত হওয়ার ভান করলো। আরিফের সাথে হ্যান্ডশেক করে কুশল বিনিময় শেষে চিন্তিত মুখে সোফায় বসলো সাঈদ।কিছু একটা অসঙ্গতি এইমাত্র তার চোখে পড়েছে,কিন্তু কিছুতেই সেটা ধরতে পারছে না। বিভিন্ন ব্যাপারে আরিফের সাথে কথা হচ্ছে,কিন্তু কোন কথাতেই সাঈদ মন দিতে পারছেননা।রিমঝিমের বন্ধুর বার্থডে পার্টি, নাফিসাও যাবে তার সাথে। বের হওয়ার আগে বিদায় নিতে এলো রিমঝিম। আরিফ রিমঝিমের কপালে চুমু খেলো। সাঈদ চোখে ভুল দেখলো কিনা কে জানে- নাফিসা যেন তার দিকে তাকিয়ে বিদ্রুপের হাসি হাসল।
রিমঝিম বের হয়ে যাওয়ার পর আরিফ বলল ‘আমার মেয়েটা এই বয়সের’ ‘ও ‘আচ্ছা। বিয়ে কবে করলি, তোর ওয়াইফ কোথায়, জানাই তো হলনা।’
আরিফ যেন সে কথা হেসেই উড়িয়ে দিতে চাইল। সাঈদ চিন্তা করলো হয়তো বলতে চাচ্ছেনা, তাই এড়িয়ে যাচ্ছে। সেও আর বেশি ঘাটালো নাএটা নিয়ে।একথা সে কথায় সময় পার হয়ে যাচ্ছে। বলতে গেলে আরিফ একা একাই কথা বলে চলেছে। আমেরিকাযাওয়ার পর থেকে তার জীবনে কি কি ঘটল সেই ফিরিস্তি। সাঈদের ঘুম আসছে, খুব বিরক্ত লাগছে। তবে যাই হোক বেচারা এতদিন পরে এসেছে, তাই তার সাথে যতটা সম্ভব ভদ্র ব্যাবহার করতেই হবে। তাই সাঈদ খুব মন দিয়ে সব কিছু শোনার ভান করছে।
আরিফ তাকে একটা ম্যাগাজিন দিলো। আমেরিকার কোন একটা ছোট শহরের স্থানীয় একটা ম্যাগাজিন । প্রচ্ছদে আরিফের ছবি। আরিফকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে বছরের শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে। সাঈদ যতটুকু ধরতে পারলো আরিফের কথা থেকে যে আরিফ নিজের সাফল্য এবং অর্জন নিয়ে গর্ব করে যাচ্ছে।
হঠাৎ করেই যেন মাথায় আগুন জ্বলে উঠলো। মনে মনে চিন্তা করলো, আরে ব্যাটা ভদ্রতা করে তোকে আসতে বলেছি বলে কি মাথা কিনে নিয়েছিস নাকি। তুই গর্ব করিস কোন মুখে, গর্ব তো করব আমি। তোর মুখের সামনে থেকে তোর প্রেমিকাকে কেড়ে নিয়েছি। সামান্য ব্যাবসা থেকে সাম্রাজ্য গড়েছি। কি নেই আজ আমার-গাড়ি-বাড়ি, স্ত্রী এবং মেয়েকে নিয়ে সুখী পরিবার। এসবই তোর হতে পারতো। হয়নি,কারণ আমি ছিলাম যোগ্যতর।
তবে মুখে তো আর এভাবে বলা যায়না। মুখে যতটা ভদ্রভাবে সম্ভব আরিফকে অপমান করলেো সাঈদ। সব পুরানো কথা গুলো আরিফকে মনে করিয়ে দিলো, আরিফ যা জানত এবং যা জানতোনা সব। নাফিসার সাথে পরিচয় থেকে শুরু করে তাদের বিয়ে এমনকি হানিমুন পর্যন্ত। হানিমুনের কথা আসতেই যেন আগ্রহী হয়ে উঠলো আরিফ। অনেক কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জানতে চাইল। সাঈদও খুব আগ্রহ নিয়ে সব বলল। সেসময়ই জানতে পারলো যে আরিফও তাদের হানিমুনের সময়টাতে কক্সসবাজার ছিল।
বিদ্রুপের হাসি হেসে সাঈদ বললো, ‘কো-ইন্সিডেন্স,নিশ্চয়ই মনের জ্বালা মেটাতে সাগরপাড়ে গিয়েছিলি সে সময়। তবে যাই হোক দোস্ত এখন সব কিছু ভুলে যাওয়াই সবার জন্য ভাল। আর তুই নিজেই তো বলেছিলি যে Everything is fair in love & war’।
একথা-সেকথার পর আরিফ চলে যাওয়ার জন্য উঠলো ‘হ্যাঁ দোস্ত, কথাটা তোর জন্য যেমন সত্যি তেমনি আমার জন্যও ।তবে একই ঘটনা কারও জন্য love, কারও জন্য war। আর war এর আরেক অর্থ কিন্তু প্রতিশোধ।’
অস্বস্তিকর নিরবতা ড্রইংরুমে।
‘আচ্ছা, চলি তবে। ভাল থাকিস।’
আরিফকে বিদায় দিয়ে সোফায় এসে বসলো সাঈদ। আরিফের আচরণ কেমন যেন অদ্ভুত লাগলো। যেন যেচে পড়ে অপমানিত হতে এসেছে। আবার শেষের দিকের কথাগুলো যেন বিদ্রুপাত্মক। তবে সাঈদযেমন অনেক কিছু রঙ চড়িয়ে বলেছে, তেমনি অনেক কথাই বলেনি। যেমন আরিফকে সে জানায়নি যে হানিমুনে গিয়েনাফিসাকে বিছানায় নিতে কত কষ্ট করতে হয়েছিলো তাকে। তার সবচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিলো, পুরো হানিমুনে নাফিসা তাকে কাছে ঘেঁসতে দেয়নি। এমনকি তার সাথে ঘুরতেও বের হয়নি। একা একাই সাঈদ টেকনাফ,হিমছড়ি থেকে ঘুরে এসেছিলো। আর পুরো সময়টা নাফিসা একা হোটেল রুমে বসে ছিল। তবে চলে আসার আগের দিন নাফিসা নিজেই তাকে বিছানায় নিয়ে গিয়েছিলো। ঐ প্রথম ভালবাসা-বাসির ফসলই রিমঝিম। তার জন্ম তারিখ সে কথাই বলে।
অনেকটা আনমনে আরিফের দেওয়া ম্যাগাজিনটা হাতে নিলো সাঈদ। টিভির পাশেই দেয়ালে ঝোলানো রিমঝিমের একটা ছবি। ছবিটার দিকে চোখ পরতেই ভূত দেখার মতো চমকে উঠলো সাঈদ। আবার তাকালো ম্যাগাজিনটার প্রচ্ছদে দেওয়া আরিফের ছবির দিকে। যেচে আরিফের অপমানিত হতে আসার কারণ কি তাহলে এই? এই ব্যাপারে তাকে ধারণা দেওয়া? সব কিছুই যেন খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে। হানিমুনের সময় সে যখন একা একা ঘুরে বেড়াচ্ছিল তখন কি তবে আরিফ আর নাফিসা ....নিশ্চয়ই ওদের পূর্বপরিকল্পনা ছিল। আর শেষ দিনে শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে নাফিসার অতি আগ্রহ ছিল নিজেকে সন্দেহমুক্ত রাখার চেষ্টা......তাই নয় কি?
রিমঝিমের ছবিটা খুলে এনে ম্যাগাজিনটার পাশে রাখল সাঈদ। যে কোন আকাট মূর্খকে ছবি দুটো ধরিয়ে দিলেও সে বলতে পারবে এদের মধ্যে কি সম্পর্ক।
হায় খোদা!এরকম নির্মম প্রতিশোধ!!বাবা দিবসে এরকম ভয়ংকর সারপ্রাইজ!!!
হাঁটু ভেঙ্গে পড়ে যাওয়ার সময়ও সাঈদের কানে বাজছিল ‘Everything is fair in ..................’ ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
Sisir kumar gain ভালো গল্প লিখেছেন।ধন্যবাদ।
বিদিতা রানি সুন্দর গল্প, ভালো।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি choto golper sarthok rupayon......khub valo laglo .............ALVI....... dhonnobad....
দিপা নূরী চমৎকার বর্ণনায় ভালো লিখেছেন।
স্বাধীন যদিওমেয়ের মুখের আদল অনেকটা ওর মায়ের মতো, সাইদের চেহারার ছাপ তাতে খুব একটা নেই।তাতে কি? ‘আমার মেয়ে’ চিন্তা করে তৃপ্তির সাথে বিছানা থেকে উঠে বসেসাঈদ।---------------- এ বাক্যগুলোর জন্য শেষটা আগেই আঁচ করতে পারা যায়, গল্পের বুনট অনেক ভাল হয়েছে।
জসীম উদ্দীন মুহম্মদ চমৎকার গল্প ভাইজান । বর্ণনা ও ভাষার লালিত্য মুগ্ধ করেছে আমায় ।
Lutful Bari Panna আরে চমৎকার সব হাত এসে ক্রমেই ভিড় জমাচ্ছে গল্পকবিতায়। খুব ভাল লাগছে এই বিষয়টা।
জাফর পাঠাণ নাফিসার ভুমিকাটি এখানে আমার কাছে ঘৃনিত মনে হয়েছে।আর সুবোধ ছেলে আরিফের কেন কূবোধ জাগলো এমন চোর ও কাপুরুষি ষ্টাইলে ? এভাবে অনেক মেয়েই মন একজনকে আর দেহ আরেকজনকে দিয়ে প্রকারান্তরে চারটি জীবনকে বিষিয়ে তুলছে পাশাপাশি ঔরষজাত প্রজন্মকে অবহেলিত ও ঘৃনার পাত্র করে দিচ্ছে।কবির গল্পের চিত্রাঙ্কনে চিত্রটিটি বেশ ভালোভাবে ফুটে উঠেছে ।পরিশেষে কবিকে বলছি-Everything is fair in love & war .
আহমাদ মুকুল বড় নির্মম সারপ্রাইজ! তবে বাবা-মেয়ের বর্তমান সম্পর্ক ভেবে শুধু মেয়েটার কথা কল্পনা করে বিষয়টি এভাবে না আনলে কি পারতো না, আরিফ-নাফিসা? খুবই সুলিখিত গল্প।
প্রতিশোধের নেশার কাছে আর সব কিছুই গৌণ হয়ে গেছে...ধন্যবাদ

০৪ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪