একজন ছিল, সে রূপসম্রাজ্ঞী; আমি তার প্রেমে ডুবেছিলাম। ঘোরের মধ্যে ফেলেই আমাকে রেখে গেছে সে। এ চোখে আর ধরা দেয় না এখন কারো রূপ; সেই থেকে শীতল হয়ে আছি; কোন নামেই ডাকিনি আমি তারে। সেই সব শীতে, রিক্ত করে নিয়ে গেছে সে আমার মুগ্ধতা সব; এখন আর কেউরেই মনে হয়না তার মত...
ফের জন রাজকন্যা--- তার প্রেমের ঐশ্বর্যে শাসন করে গেছে, ভালোবেসেই গেছে আমায়; আমি প্রেমে পড়িনি; কারো প্রেমে পড়িনি আর ...এত বড় শঠতা কেন রে রূপ!
কাঁচা-হলুদ-বাটা মুখে মেখে, যে মেয়েরা যায় গ্রামের বনের পাশ কেটে, ও বাড়ির উঠোন পেরিয়ে যাওয়ার সময় বেণী-খোলা-চুলে ডালিম ফুল খ'সে পড়ে। জল-শুকনো নদীতে কাদা ভেঙে নেমে যায় দল বেঁধে--- গোসল করে, কলস ভরে পানি নিয়ে বাড়ি যায়, আমার ফিরে দেখা হয়নি তাদের দিকে। খালি পায়ে বাড়ি ফেরে ওরা; শুকনো পাতা পায়ের তলে খস্-খসে-নরম হয়। মনে পড়ে সেই সব শীতের রাত... কুয়াশা ঠেকাতে তালের পাতার ছাউনী আর লতায়-পাতায় তিন দিক ঘেরা গাঙ-কুলেই ঘুমাতাম। খেঁজুর ফুলের ঘ্রাণ আর রাতকানা পাখীর ঘোঙর; দক্ষিণে খোলা মাথার কাছে শীত-জড়িয়ে নেমে আসতো চাঁদ। আমার ঘুমঘোর চোখে চাঁদের আলো পড়ে ঘুম ভাঙতো। মনে হতো কেমন যেন কেবলি জ্বালানো সর জমানো লালচে--- গরম দুধের ঘ্রাণ এসে নাকে লেগেছে।
সব চেয়ে বেশিই মনে হয় কথা বলেছি সেই সব শীতে, আমি আর ঘুম-ভাঙানো সেই চাঁদ।... তবে কি শরীর ছাপিয়ে গেল সে? আর সেই সম্রাজ্ঞীর রূপ?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।