সারাটা দিন অবিশ্রান্ত বৃষ্টির পর সন্ধ্যার একটু আগেই বৃষ্টির ধারা হঠাৎ থেমে গেল। ছোট্ট পিকু যেন কেমন মনমরা হয়ে আছে। যতই হোক বন্ধুদের সাথে বিকেলের খেলাটা একেবারেই মাটি হয়ে গেল। তার উপর আবার রাত পোহালেই অঙ্ক পরীক্ষা। পিকু যে কি করবে তা ভেবে উঠতেই পারছে না। একটা সময় তার দুচোখ ভরে জল এসে যায়--। এখনও তার বেশীরভাগ অঙ্কই প্র্যাকটিস করতে বাকী রয়ে গেছে। ওদিকে মা তো তাড়া দিতেই আছে পড়াশুনার জন্য - 'পিকু-উ-উ-উ। ও পিকু-উ। বাবা আর একটু হাত চালিয়ে অঙ্কগুলো করে সে সোনা'। কথাগুলো যেন বালক পিকুর কানে তীরের মতো এসে বাঁধে। বরাবরই পিকু অন্য সব বিষয়গুলোর থেকে অঙ্কে একটু কাঁচা। যেন অব্যক্ত একটা যন্ত্রণা তার ভিতরকার অস্থি-পেশীকে অবশ করে দেয়। এ অনুভূতি কারো কাছেই সে শেয়ার করতে পারে না। অবুঝ মনটা যেন ছট্ ফট্ করে এক ছুটে চলে যেতে চায় পড়াশুনার গণ্ডী পার হয়ে বহুদূরে কোন এক নির্জন স্থানে- যেখানে সে একাই নিজের মনে যা ইচ্ছা খুশি করতে পারবে। এদিকে সময়ের ব্যবধানে রাত একটু করে এগিয়ে চলে- আর পিকু যেন একরাশ হতাশা আস্তে আস্তে গ্রাস করতে থাকে। ভাবতে ভাকতে এক সময় সে ঘুমের দেশে পাড়ি দেয়। সকাল না হতেই মায়ের চিরপরিচিত কণ্ঠস্বরে পিকুর ঘুম ভেঙে যায়। চোখে-মুখে হতাশার, বেদনার চিহ্ন তখনও ম্লান হয়নি। নিতান্ত অনিচ্ছাসত্ত্বেও পরীক্ষার জন্য সে তৈরি হয়। যথা সময়ে বিদ্যালয়ে গিয়ে পরীক্ষা দিলেও পরীক্ষা কিন্তু মনের মত হয়নি। আসলে না পারার বেদনা যে সে কাইকে বলতে পারবে না - কেননা এ ব্যথা তো তার একান্তই নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যাপার।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক
ছোট্ট...শিশুতোষ গল্প...শিশু মনের আকুতিটা ধরা পড়েছে....ভালো লাগলো...শুভকামনা ভাই...
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।