কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে যেতে চেয়েছিলে, পাহাড়চূড়ায় জমে থাকা শুভ্র বরফের অটল গাম্ভীর্যের মাঝে; দিগন্ত রেখায় ছুঁয়ে থাকা নিষ্পাপ মেঘের ভীরু লাজনম্র স্পর্শের শিহরণ। তুমিও সাক্ষী হতে চেয়েছিলে তাদের একান্তে কাটানো মোহাবিষ্ট সময়গুলোর। প্রাণভরে নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছিলে প্রাণদায়ী শীতল বায়ুতে ফুসফুসের অলিতে গলিতে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিলে অতিপ্রিয় জীবনের আবাহন। আজন্ম যুদ্ধে জয়ী হওয়া তুমি, ভূবনভুলানো বাঁকা হাসিতে ভুলিয়ে দিতে চেয়েছিল মরণব্যাধির তীব্র ভ্রুকুঞ্চন। তবুও নিঃশব্দ আততায়ীর বেশে ঠিকঠাক হানা দিল একদিন; শেষ ছোবলটুকু মারার আগে অজানা করুনাবশত বুঝি সরে এসেছিল দু’পা। হাত ধরে মিনতি জানালে, শুধু একটিবার যেতে চাও সেথায়। হয়তো ভেবেছিলে আমাকে ভোলাবে কোন মিথ্যে প্রবোধে; লুকিয়ে নেবে মনের খুব গভীরে চুপিসারে লুকিয়ে রাখা সুপ্ত আশাটাকে, পাছে আমারও করুনার পাত্রী হও। সেই স্পর্ধাটুকু দেখানোর আর সুযোগ হয়নি আমার। তোমার শেষ আকুতির কাছে আত্মসমর্পণকারী আমার অপারগতাকে আজ বিসর্জন দিতে এসেছি এই কাঞ্চনজঙ্ঘায়। দিগন্তরেখার তীর ছুঁয়ে বলতে এসেছি...ভালোবাসি... এই একটি সত্যকে রেখে দিতে চাই নিজের খুব কাছে; আমার শেষ নিঃশ্বাসের সাথেই তার বিসর্জন হোক।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।