এখন আমি রাস্তায়, ব্যস্ত লোকাল বাসে ঝুলছি, আর বুক পকেটে তোমার চিঠি। চিঠির নিচে থাকা আমার হৃদপিণ্ডটা কেন যেন আজ একটু বেশি লাফাচ্ছে, হয়তো বা তোমার স্পর্শ পেল বলে। মনটা আর মানছে না , ইচ্ছে করছে একবার পড়েই ফেলি, কিন্তু কিভাবে খুলি খামখানা, সবাই কেমন পাখির মত ঝুলছে, সঙ্গে আমিও। নাহ্ একবার পড়েই ফেলি...... ” অষ্টমীর দিন আসবে বলেছ আমি পথ চেয়ে থাকব, না এলে কিন্তু আড়ি আড়ি আড়ি। তুমি বড় মিথ্যেবাদী, এ মাসে সাতখানা চিঠি দিয়েছ আটখানা দেয়ার কথা ছিল।.....” যাহ্ পড়ব না এখন পাশের লোকটা কেমন উকি মারছে দেখ। বলি বাসে দাড়িয়ে কি চিঠি পড়তে নেই?
আমি এখন রাস্তায়, যানজটে আটকা আর বুক পকেটে তোমার চিঠিখানা।..... ”সত্যিই তোমার কথার কোন ঠিক নেই, এসে অবধি দিন গুনছি আর শেষে যদি না আস? আর পাশের বাড়ির মেয়েটার কথা ভেবে বড় হিংসে হচ্ছে, কেন জানো? সে যে তোমায় সকাল সন্ধে দেখে আমি তো দেখি না , এ ভারি অন্যায়। জানালাটা বন্ধ করে রেখ।......” ঐ দেখ এবার বড় বড় চোখে তাকিয়ে আছে এভাবে তাকানোর কি হল? না হয় একটু হেসেই দিয়েছি।
আমি এখন পার্কে, নির্জন জায়গা, আর বুক পকেটে তোমার চিঠিখানা । এখানে বসেই পড়ে ফেলি...... ”আর বেশি কি লেখব আমার কথাটি ফুরালো, আর অনেক বানানেও ভুল হল। আমি জানি তুমি হাসবে, তা হেসো, আমি তো বই লিখি না, চিঠির পক্ষে এই ঢের। তোমার শরীরের যত্ন নিও লক্ষ্মীটি। আমার শরীর ভাল, মনের অসুখ সারবে তুমি এলে, আসবে তো? না এলে কিন্তু আড়ি আড়ি আড়ি।”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।