দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের কোন সীমান্ত থেকে ছেড়ে আসা মালগাড়িটির থেমে যাওয়া হুইসেল শেষবারের মত বেজে ওঠারও কয়েক ঘণ্টা পর যখন মেয়েটির ঘুম ভাঙল তখন বৈশাখের খরায় কাঁচা কলার গাদি ভর্তি মালবগির ভেতরটা বেশ তাতিয়ে উঠেছিল। সেখানে লুকিয়ে থাকা মধ্য-যৈবতি মেয়েটি যখন সতর্ক ভঙ্গিতে বগি থেকে নেমে আসছিল প্লাটফরমের দিকে- উসখুস পায়চারিরত এক বেওয়ারিশ ‘পাগলী’ বয়স্ক বুড়ি- কোথ্থেকে এসে যেন ভয়ঙ্কর খসখসে গলায় তাকে স্বাগত জানালো- ‘সব খাইছষ! আর কি দিমু! যাহ্!’ জোড়া ছয়েক পরিত্যক্ত রেল লাইন আর সদ্য এসে দাঁড়ানো যাত্রীবোঝাই ট্রেনটা মাড়িয়ে মেয়েটা যখন অপরিচিত এই নগরের জনাকীর্ণ আর কোলাহলমুখর স্টেশনের প্লাটফরমটায় এসে উঠল তখন সে ছিল একদম একা- প্রতিদিনের মতই এই নগরে যুক্ত হওয়া আরো একজন ‘ঘর নাই’ মানুষ। তার নাম শিখা। লক্ষ্যহীনভাবে এদিক সেদিক হাঁটাহাঁটির পর যখন সে স্টেশনের বহিঃদ্বারটি আবিষ্কার করতে পেরেছিল তখন সে খুব দ্রুত বাইরে বের হয়ে আসার চেষ্টা করল। আর সেখানেই সে প্রথম হোঁচট খেল। ‘টিকিট?’ ইউনিফরম পরা কেউ একজন তার পথ আটকালো।আর সে ধরা পড়া ও নিয়মমাফিক জরিমানা গুণতে না পারা অন্যান্য অসহায় গরীব যাত্রীদের মতই দ্বারের একপাশে ইউনিফরম পরা লোকটির কৃপাদৃষ্টির আশায় দাড়িয়ে থাকল। দাঁড়ানো ট্রেনটি হুইসেল বাজিয়ে স্টেশন ছেড়ে যাবার পর যখন ভিড় অনেক কমে এলো তখনই কেবল সে ইউনিফরমও’লা লোকটির কাছে হাত পাতল সজল দৃষ্টিতে। লোকটিও খুব বিরক্তিকরভাবে তাকে ধমকাল।তার হাতটা খপ করে ধরে টেনে হিঁচড়ে মাস্টার বা রেলপুলিশের কামরার দিকে জোর করে নিতে চেষ্টা করল।যখন সে প্রাণপণে খামচে ধরা হাতটা ছাড়াতে চেষ্টা করে যাচ্ছিল ততক্ষণে উৎসুক সবাই বুঝতে পেরেছিল যে মেয়েটি বোবা-স্বরে হাউমাউ করে কাঁদছে। আসলে সে ছিল বাক প্রতিবন্ধী।এটা বুঝতে পেরেই হয়তো লোকটা তার শক্ত করে ধরা হাতটি ছেড়ে দিল এবং বিড়বিড় করতে করতে তাকে স্টেশনের বাইরে ঠেলে দিল। স্টেশনের বাইরে এসে যেন গন্তব্যহীন গন্তব্যে শিখা চলতে থাকল মুক্ত নগরীর পথে পথে ।বহুবছর বাদে প্রথম খোলা আকাশ দেখার নেশায় যেন তাকে পেয়ে বসল।সে দেখতে পেল অনেক উঁচু উঁচু দেয়াল।দেয়ালের পাশঘেঁষা হাজাররকমের রঙবেরঙের দোকানপাট। রাস্তাজুড়ে আটকে থাকা জ্যাম।গাড়ীর জটলা।আরো দুরে অনেক উঁচু উঁচু দালানবাড়ি।তারও ওপর ধোঁয়াটে আকাশ- শূন্য। কদাচিৎ সেখানে শিকারি ‘চিলা’র পাছে-সাথে থাকা দু’চারটা ‘চামচা’ কাককেও সে দেখতে পেল। সে অদ্ভুতভাবে উড়োজাহাজ এর ওঠানামা আর বর্ণিল সাজসজ্জার বড় বড় রংবাহারি ছবি পোস্টারগুলোও দেখল। যেমনটি সে আর আগে কখনও দেখেনি। আরও চারপাশে দেখতে পেল কেতাদুরস্ত বাহারি সব লোকেরা তাদের স্ত্রী অথবা স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের সাথে নিয়ে অথবা একা বা দলবেঁধে নিজ নিজ গন্তব্যে চলছিল হেঁটে-স্কুটারে বা বাসে-গাড়িতে যে যার মতন! এইসব পুরুষগুলোর অনেকেরই চেহারা আর চাল-চলনে মেলানো যায় সেইসব লোকদের সাথে যাদেরকে সে আগেই দেখেছিল বলে মনে হলো- ‘বড়মায়ের মহল্লা’য় বাইরের দেশ-পাড়া-গাঁ থেকে ফুর্তি করতে আসা ‘মিলি সর্দারনীর গলি’ পার হয়ে দম বন্ধ করা তার ছোট্ট খুপরিটাতে। যেটিকে দেশের অন্যতম বড় পতিতাপল্লী হিসেবেই সবাই চিনত।যেখানে একরাত আগে পর্যন্ত ‘নদী’ বেশ জৌলুসভরা ও বিলাসী এবং নকল ও অসহ্য জীবন কাটিয়ে দিয়েছিল বিগত কুড়িটা বছর ধরে। যদিও সেখানকার জীবন ছিল চির পরাধীন আর প্রতিদিনের স্বপ্নভঙ্গের মত।যেটাকে কেবল ‘প্রতিদিনের মৃত্যু’ই বলা যেতে পারে।যদিও সেটা ছিল খুবই নিশ্চিত জীবনযাত্রা।অন্তত আজকের মত এত অনিশ্চিত, অবহেলার নয় কোনমতেই। মায়ের কাছ থেকে ফুসলিয়ে এনে সেখানে মিলি সর্দারনীর কাছে বেচে দিয়েছিল তার লম্পট ও খুনি সৎবাবা। যেখানে শরীরে যৌবন আসার আগেই একাত্তরে যোদ্ধা বাবার দেওয়া ‘শিখা’ নামটা মুছে দিয়ে প্রথম ধর্ষক খদ্দেরটা তার নকল নামটি রেখে দিয়েছিল- উফ! ঘেন্না! কী বীভৎস সেই দিন! এবং নিয়ম মাফিক গতকাল পর্যন্তও তাকে সে নামেই ডাকা হয়েছে- ‘নদী’। আর সেই বীভৎস দিনেরও আগে সদ্য হাইস্কুলে ভর্তি হওয়া মেয়েটার জন্য কেবলই ‘দুর্ভাগ্য’ সারাজীবনের জন্য সঙ্গী হয়ে গিয়েছিল যখন দেশের রাজনৈতিক কোন গোলযোগে শিখাকে নিয়ে স্কুল থেকে ফেরার পথে ‘বাবা’কে বিরোধীরা মফস্বল শহরের রাস্তায় পিটিয়ে মেরে ফেলেছিলি একদল নির্বিকার পুলিশের সামনেই আর তার হত্যাকারীদেরই নেতা যখন ‘মা’ কে জোর করে বিয়ে করেছিল মামলা থেকে বাঁচার জন্য। সেইদিনগুলো থেকেই শিখা আর একটি কথাও উচ্চারণ করতে পারেনি। একবার ও ডাকেনি ‘বাবা’ বা ‘মা’ বলে। আর ঘুমে দুঃস্বপ্নের ঘোরে সঙ্গী হয়ে ছিল শুধুই ভয়ার্ত গোঙানি। আর জেগে থাকলে নিরীহ শুষ্ক চোখের বোবা চাহনি।
কি এক অদৃশ্য কারণে শহরের প্রভাবশালীরা ‘নদী’দের মহল্লাটাতে আগুন ধরিয়ে দিল! জ্বালিয়ে দিল ভেতরের দোকান পাট-বাজার আর বেশ্যা-পুত্র-কন্যাদের ঘরবাড়ি, বই, খেলনা সবকিছুই। সবকিছু ভেঙে চুরমার করে দিল। কেন? শিখার মাথায় সেটা কোন ভাবেই আসেনা।অথচ বন্দী জীবনে সে কতবার ভেবেছিল সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার কথা। অথচ গতদিন বাইরের লোকেরা যখন দলবেঁধে এসে বসতিটা জ্বালিয়ে দিয়ে গেল। তাদেরকে ‘নষ্ট’ ‘ধর্মহীন’ বলে উচ্ছেদ করল তখন ঐ দজ্জাল মিলি সর্দারনীর হাউমাউ কান্না আর আর্তনাদে শিখার বোবা বুকটা চিরে কান্না এসেছিল।কেন? সেটাও শিখা বুঝে উঠতে পারেনা।যদিও সে অন্তত এতটুকু বুঝতে পেরেছিল যে আর যেখানেই হোক অন্তত সে তার মায়ের কাছে আর কোনদিন ফিরে যেতে পারবেনা।এমনকি মিলি সর্দারনী গতরাতে যখন তাকে মুক্ত করে দিয়ে বলেছিল ‘যা বেটি, তোর মায়ের কাছে ফির্যা যা’। কিন্তু নীরব নিথর শিখা ভেতরে ভেতরে প্রতিউত্তর করেছিল, ‘নিজের রোজগারেই প্যাটেরটারে মানুষ করমু’।
আজ সে মুক্ত হয়েও যেন বন্দী হয়েই রইল। আরো বড় কোন মহল্লায়। যেখানে তার খুপরিঘর ঠিক কতটা বড় সে বিষয়ে কারো কোন ধারণাই নাই। গনগনে রাস্তার পাশ ঘেঁষে খালি পায়ে হেঁটে চলা পা দুটো যখন আর একটুও চলতে চাইছিলনা তখনই শিখা টের পেল এক্ষুনি যা দরকার তা হল- অন্তত এক ফোঁটা পানি।গত দিন দুই ধরে উপোষ-শরীরে সবচেয়ে দরকারি জিনিস। নিজের থেকেও বেশী দরকার তার জীবনের ভেতরে থাকা আরেকটা জীবনের জন্য।যাকে গর্ভে অন্তত আরো কয়েকটা মাস বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করতেই হবে।যদিও তার অনাগত ভবিষ্যৎ সম্পর্কে শিখা এখনো কিছুই ভাবে নাই। তাকে বাঁচাতে হবে যে করেই হোক- এর বাইরে তার ভাববার মত আর কিছু অবশিষ্টও নাই- যদিও যন্ত্রণাকাতর এক ভীষণ ‘অতীত’ তাকে তাড়িয়ে নিয়ে এসেছে এই অজানা অচেনা নগরী তিলোত্তমায়।যে নগরীর নাম ঢাকা। পানির খোঁজে সে যখন ফুটপাতের ধারেই একটা ছোট্ট চা দোকানের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন হঠাৎ করেই যেন দুনিয়াটা দুলে উঠলো।আর ঝাপসা আলোর শেষ রেখাটিও অন্ধকারে পরিণত হওয়ার মুহূর্ত পর্যন্ত সে কিছু একটা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিল যেটা আসলে ‘নিরুত্তর’ একটা বৈদ্যুতিক খাম্বা।
মাঝরাতে যখন তার জ্ঞান ফিরল তখন সে ঢাকা মেডিকেলের বারান্দায় মেঝেতে শোয়া।আর স্যালাইনের অবশিষ্ট ফোঁটাটাও ততক্ষণে হাতে ফোঁড়ানো সূঁচ নিংড়ে শরীরে ঢুকে গিয়েছে।রাতের অপেক্ষায় থাকা শিখা হাতে গেঁথে রাখা সূঁচটা এক ঝটকায় টেনে ছুড়ে ফেলে দিল। সে জানেনা ঠিক কি ঘটেছিল দুপুরে। হয়ত কোন একজন সহৃদয়বান রিক্সা চালক বা অন্য কেউ ‘আধ-মরা’ শিখাকে রাস্তা থেকে তুলে এনেছিল বলেই সে এখনও বেঁচে আছে।এটা নেহাৎ ভাগ্য। তবে এখানে টিকে থাকার জন্য সবচে’ জরুরী জিনিস ‘টাকা’ যেটা কামাই করতেই হবে।গত অনেকগুলো বছরের একমাত্র জানা পথ ধরেই। ‘জানা’ পথের আশায় সে ঢাকা মেডিকেলের গেট পার হয়ে বেরিয়ে পড়লো যখন, তখন রাত দুটো পার হয়েছে। বড় মায়ের মহল্লা থেকে এক কাপড়ে চলে আসা শিখার পেশাগত সাজসজ্জা বলতে এখন কিছু নেই।তবু মাঝ রাতের প্রথম খদ্দের এক আধ-বয়স্ক উস্কুখুস্কু পথচারীকে বাগে আনতে তার খুব বেশী বেগ পেতে হল না।যে কোন পুরুষাঙ্গ আকর্ষণ করার মত যথেষ্ট যৌবন এখনও আছে তবে বাড়তি সাজ পোশাক হলে হয়তো আরো বেশী দরে ভাল কোন খদ্দের পাওয়া যেত।
মেডিকেলের গেট পেরিয়ে বেশ কিছুদূর হাঁটার পর সে যখন লোকটার উরুতে হাতের পরশ ছুঁয়ে দিল বিদ্যুৎগতিতে সে সাড়া পেল- ‘কত?’ নিরুত্তর চাহনিতে সে বাড়তি কোন চাহিদা না দেখিয়েই তার হাতে হাত মেলালো। লোকটার পাশে পাশে হাঁটতে থাকল। আর ইশারায় একটু দুরের একটা ভাসমান খাবারের দোকান দেখিয়ে দিল। খদ্দেরটি সহজেই ইশারা বুঝল আর সেদিকেই এগিয়ে গেল।সেখানে শিখা পেটপুরে গোগ্রাসে একটা পারুটি আর কলা খেয়ে নিল, যদিও লোকটি তখন সিগারেট ফুঁকতে ফুঁকতে আড়চোখে শিখার কালো কুচকুচে শরীরের চলনসই আকর্ষণগুলো রাস্তার নিয়ন আলোয় পাকা ক্রেতার মতই পরখ করে দেখছিল। এরপর দুজনে আরো কিছুদূর হাঁটার পর আধো-অন্ধকারে মোড়ানো লোহার গ্রিল ফটক ধরে শীতল একটা ছায়াবনে ঢুকে পড়ল কোন কথোপকথন ছাড়া একে অপরের নিশ্চিত সঙ্গী হয়েই।যেখানে গাছের ছায়ারা বাঁধানো রাস্তার ওপর গড়াতে থাকা জোসনার ঢেউয়ের বদলে কেবলই অন্ধকার। আর কড়া কোন মাদক মেশানো সিগারেটের ধোঁয়ায় বেসুরো গান-গল্পের দু’চারটা আসর-জটলা তখনও সেখানে জেগে-বসে ছিল। যখন জটলাগুলোর ভেতর থেকে কেউ একজন জড়ানো গলায় তাচ্ছিল্যের হাসিতে বলে উঠলো ‘নাগরিক চোদন’! ততক্ষণে সে পাশটাও তারা নিঃশব্দে হেঁটে পেরিয়ে গেল। শিখা যে বোবা- লোকটি ততক্ষণে আবিষ্কার করে ফেলেছিল। মেয়েটি যে শহরে একেবারে নতুন, এমনকি এই এলাকায়ও আনকোরা মাল- সে বিষয়ে নিশ্চিত হয়েই লোকটি এদিক ওদিক তাকিয়ে শিখার হাতটা নিজের থাবায় ধরে নিয়ে আরো অন্ধকারে চলে এলো। যেখানে বেশক’টি লম্বা পাম গাছের সারি দাঁড়ানো তার তলায়। খুব দ্রুতই ‘কাজ’ সেরে লোকটি চলে গেল।শিখা তখনও সেখানেই চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকল। খানিক পর যখন সে চোখ মেলল তখন সে দেখতে পেল ঘন অন্ধকার ফুঁড়ে বেশ দুরে উঁচু লাল বেষ্টনী ঘেরা একটা জায়গায় আগুনের লেলিহান শিখা -জ্বলছে তো জ্বলছেই- আর তখনই সে তার গর্ভের শিশুটির প্রথম নড়াচড়া টের পেল খুব স্পষ্টভাবেই। বহু বছরের পুরনো যন্ত্রণা আর ক্ষোভের জ্বালানিতে জ্বলতে থাকা তার উজ্জ্বল চোখের বোবা তারায় যে শিখাটির প্রতিবিম্ব তখনও প্রজ্বলিত, তারও নাম দেওয়া যায়- শিখা চিরন্তন!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মনজুরুল ইসলাম
your art of used word is mind blowing.feeling better but i think your story is more descriptive.however wishing betterment in every touch of your creative work.
Dear, Thank you so much indeed. I think so; the story is more descriptive where I have to tune my story telling for next. Your comment was very helpful for me.
সেলিনা ইসলাম
সমাজের বাস্তব চিত্রটি খুব সুন্দর ও দক্ষতার সাথে গল্পে উঠে এসেছে...একজন মুক্তিযোদ্ধা বাবার সন্তান হয়েও এই স্বাধীন দেশে কি মানবেতর জীবন শিখা পেয়েছে! আর একজন মুক্তিযোদ্ধাকে কেমন করে হত্যা করেছে স্বদেশের শকুনেরা! কেমন করে বাবার আদুরিনি মেয়ে শিখা থেকে নদী হয়েছে! এতোসব কষ্টকে জয় করেও শিখা সন্তানকে ঘিরে বেঁচে থাকার অদম্য বাসনা করে! অনির্বাণ শিখাকে নির্বিকার জ্বলতে দেখে অনুপ্রাণিত হয় সহিষ্ণুতার আনন্দে,জয়ী হয় মাতৃত্বের গর্বে! গল্পের থিম অসাধারণ লাগল। গল্পের ধারাবিহিকতাও অনেক ভাল হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।শুভকামনা রইল।
মিলন বনিক
আপনার এই নিয়ে দু’টো গল্পই পড়লাম...আর কেবল ভাবছি...আপনি নিজের মত করে বাংলা সাহিত্যে একটা স্থান করে নিতে পারবেন...গল্পের কাহিনী. চরিত্র চিত্রণ, বুনন-এ পেশাদার লেখকের ছাপ পেলাম....অনেক অনেক শুভকামনা.....প্রিয়তে রাখলাম...
এভাবে সাহস দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। অসম্ভব অনুভুতি হচ্ছে! এবং মনে হচ্ছে সবকিছু ঠিকমতই এগুচ্ছে। তারপরও একদিন সব ভুল অতিক্রম করব। একসাথে এই পথচলা অটুট রেখেই। আপনার জন্যও শুভকামনা নিরন্তর।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।