কাপুরুষ

বর্ষা (আগষ্ট ২০১১)

রংধনু
  • ৫০
  • 0
  • ৩১
১।
রাত তখন সাড়ে নয় কি পৌঁণে দশ হবে, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে চারদিকে, রোজ যেখানে রাস্তার দু-পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লেম্পপোস্ট গুলো আলো হাতে সাদর-সম্ভাসন জানাতো (ঠিক যেমন করে কোমলমতি ছেলেমেয়েরা ফুল আর ব্যানার নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রহর গুনে মন্ত্রী মহাশয়ের আগমনের জন্য) সেখানে ঘন্টা তিনেক হল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় আজ সেগুলো আলো নিভিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে । আঁধারের তীব্রতা যেন বরাবরের চেয়ে একটু বেশিই বেশি, আর তাই ব্যস্ত ঢাকা শহরের এ অংশটাকে যেন হটাৎ করেই জনমানবহীন রাক্ষসপুরীর মত লাগছে আজ ।
রাক্ষসপুরীর কথা মনে পড়তেই গাঁ ছমছম করে উঠেছে তপুর, সাথে মৃদু বাতাস যোগ করেছে এক নতুন মাত্রা । মাঝে মাঝে আকাশ থেকে আসা বজ্রপাতের হুংকার সহসাই পিলে চমকে দিচ্ছে তার । এমনিতে স্রষ্টার প্রতি তার অগাদ বিশ্বাস তার উপর বিপদে পড়লে বিভিন্ন দোয়া তার মুখে অটোমেটিক চলে আসে । মিরপুর ১০ নম্বরে বছর চারেক হল একটি মাল্টি-ন্যাশনাল কোম্পানীতে চাকুরী করে আসছে সুপারভাইজার পদে । বেতন খুব একটা খারাপ নয় কিন্তু পরিবারের সদস্য অনুপাতে বেশি ও নয় ।আর তাই, ছা-পোষা মধ্যবিত্ত পরিবারের গন্ডিটা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারে নি সে আজ ও ।
বাতাসের চাপ ক্রমঃশ বেড়েই চলেছে, হাতের ছাতাটা এখন সামলে চলাটাই মুশকিল হয়ে দাড়িয়েছে । তার উপর টর্চ লাইট টিপে চলা যেন দুরুহ পর্বত আরোহন মিশন । রাস্তার বেশীর ভাগ অংশ তলিয়ে গেছে পানির আবরনে । ম্যানহোল কোথায় আছে কোথায় নেই সেটা বুঝার বিন্দুমাত্র অবকাশ নেই । আর তাই পা টিপে টিপে চলা ছাড়া ভিন্ন কোন পথ ও খোলা নেই তপুর সামনে । কিন্তু তপুর পা টিপে টিপে চলার কারন অবশ্য ভিন্ন আর তা হল বেশ ক’দিন হল শহরে ছিনতাই প্রকোপ বেড়েছে । কোনমতে কাজীপাড়ার ২৪/ডি, শহীদ গফুর সড়ক মিশনের শেষ চুঁড়ায় তপুকে পৌঁছাতে হবে কেননা সে সেখানে থাকে ।

২।
“কুমিল্লা ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ” এর সামনে কিছু লোকের ভীড় । মুহুর্তের মধ্যে মনের কোণে জমে থাকা ভীতির মেঘ সরে গিয়ে আনন্দের কিরণ ঠাঁই করে নিলো তপুর । কেন না ওটাই তার মেইন রাস্তা থেকে বাসায় যাওয়ার গলির মুখ । তপুর অজান্তেই পা দু-খানা যেন একটু বেশিই গতির সঞ্চার পেল । কিন্তু কপালে সবার তো আর সুখ সয় না । একি! সামনে দেখা দৃশ্যটাকে নিজের কাছেই অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে । সচরাচর যা বাংলা সিনেমাতে দেখা যায় বাস্তবে নয় । পাঁচ-সাতটা ছেলে একটা মেয়েকে নিয়ে টানা হেচ্ড়া করছে । তপুর উপস্থিতি যেন ছেলেগুলোর চলমান কর্মসাধনে বাঁধ সাধলো । তিনটি ছেলে এগিয়ে এসে ছাতা, মোবাইল ও সেই আমলের হাতঘড়ি কেঁড়ে নিল । এতদসত্তেও তপু কিছুই করতে পারলো না । কারন, একজনের হাতে চাইনিজ কোড়াল ও চাপাতি গোছের কিছু আর আরেক জনের কাছে তিন বাই পাঁচ সাইজের একটা রিভল্বার এবং অপর জনের হাতে ছুরি ও সাইকেলের চেইনের মত কিছু একটা । তাদের ই একজন ডানে-বায়ে না তাকিয়ে তপুকে সোজা রাস্তা মাপার কথা বলে অনুরোধ করলো । যদিও অনুরোধের ভাষা ও তরিকা সকল বখাটে ছেলেদের একই স্বভাবজাত । এদিকে মেয়েটা চিৎকার করে সাহায্য প্রার্থনা করছে তপু বরাবর । কিন্তু তপু নিরুপায় কেননা সে যে পেছনে না ফিরে সোজা চলার জন্য আদিষ্ট হয়েছে । সে খানিক্ষন ভাবেনি তা নয় কিন্তু কিংকর্তব্যবিমূঢ় তপুর মাথায় সানী দেওলের জায়গায় জনি লিভারের করনীয়টাই ভেসে উঠেছে বারংবার ।
৩।
কলিংবেল চেপে চেপে হয়রান হয়ে যাওয়ার পর ও ভিতর থেকে কোন সাড়া-শব্দ মিলছে না । বিরক্তি এবং ভয়ে বর্ষন মুখর দিনে ও তপুর কপালে ঘাম এর ছোট ছোট বিন্দু জমেই চলেছে । মিনিট তিনেক পরে তার মনে পড়লো বিদ্যুৎ নেই আর দিন দশেক হল কলিং বেল টা নষ্ট হয়ে পড়ে আছে । অতঃপর দরজায় করাঘাত করার মিনিট পরে রুমি দরজা খুলে ভিতরে চলে গেল । রুমি তপুর ছোট বোন, নবম শ্রেণীতে বানিজ্য বিভাগে পড়ে, ভীষন চটপটে, কারো ধার ধারে না , এক কথায় নিজের মাঝে গড়ে তুলেছে ভিন্ন এক জগৎ যেখানে সে নিজেই সাম্রাজ্যের একচ্ছত্র সম্রাজ্ঞী । তাই কে কখন এলো কে কখন গেল তা নিয়ে তার নূন্যতম মাথা ব্যথা নেই ।
চার রুমের ফ্লাটের সবচেয়ে ছোট রুমটা তপুর, একেবারে অন্ধকারের চাঁদরে আবৃত হয়ে আছে ঘরটা । কোনমতে হাতরে খাটের কিনারা খুঁজে পেতেই সম্পুর্ণ ক্লান্ত দেহটাকে লম্বা করে বিছানায় ছেড়ে দিল । মাথায় অসহ্য যন্ত্রনা শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে, ছোট্ট একটা সময়ের ব্যবধানে কি ঘটে গেল তা নিজের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হচ্ছে । নিজের জিনিষগুলো হারানোর আক্ষেপ আর অসহায় ভাবে আত্মসমর্পন তাকে বড্ড পীড়া দিচ্ছে । চোখের সামনে একটা মেয়ের আভ্রু লুন্ঠন হতে দেখে ও কিছুই করতে না পারাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না তপু । মেয়েটার চেহারার কোথায় যেন রুমির সাথে মিল আছে । হটাৎ দরজায় করা নাড়ার শব্দ ভাবনার জলে ঢিল ছুড়ল । আঁধারের গাঢ় ভাবটা আলোর কাছে ফিঁকে হয়ে গেলো । মা মরিয়ম বেগম মোমেরবাতি নিয়ে ঘরে প্রবেশ করলেন ।
মাঃ কিরে শরীর খারাপ ?
তপুঃ না মা, এমনি শুয়ে আছি ।
মাঃ না অফিস থেকে এসে সোজা বিছানায় যাওয়ার ছেলে তো তুই না বাবা । অফিসে কিছু হয়েছে?
তপুঃ আরে না মা ।
মাঃ তবে চল হাত মুখ ধুয়ে খাবি আয়, আমি তোকে খাইয়ে ঘুমাবো ।
তপুঃ তুমি ঘুমিয়ে যাও, আমি খাব না ।
মাঃ সত্যি করে বলতো বাবা তোর কি হয়েছে?
তপুঃ মা তুমি যাও তো ।
মাঃ আচ্ছা আমি যাচ্ছি, তুই খেয়ে নিস ।
মা চলে যাবার পর আবার নতুন করে ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতে শুরু করলো তপু কিন্তু ভাবনার কোন কিনারা খুঁজে পাচ্ছে না সে । কি করবে সে সিগারেট খাবে, সচরাচর সিগারেট খায় না সে কিন্তু আজ খুব ইচ্ছে করছে । কিন্তু পাবে কোথায়? বাবার ঘরে হানা দিলে হয়ত এক-আধটা পাওয়া গেলে ও যেতে পারে । কিন্তু সেটা আনবে কে? একমাত্র রুমি কে দিয়েই এই দুঃস্বাধ্য কাজ করা সম্ভব । কিন্তু রুমিকে বলা যে তার চেয়ে আরো বেশি দূরুহ । এদিকে সিগারেট খাওয়া ভিন্ন মাথার এ অসহ্য যন্ত্রনা বুঝি আর কিছুতে দুর হবার নয় ।

বাবার ঘরে মিটিমিটি আলো জলছে, ডাকতে গিয়ে ও না ডেকে সোজা পড়ে সে । বাবা মনোয়ার হোসেন অঘোরে ঘুমাচ্ছেন আর মা হয়তো রান্নাঘরে থালা বাসন ধুয়ে গোছাচ্ছেন । পা টিপে টিপে ঘরে ঢুকে হারিকেনের আলো টা বাড়িয়ে টেবিলের উপর থেকে সিগারেট নিয়ে দে ছুট…

৪।
দরজার ছিটকিনি লাগিয়ে মোমবাতির আগুনে সিগারেট জালালো তপু । সেগারেট টা মনে হচ্ছে পুঁতিয়ে গেছে টানতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে তার । প্রতি টানে মাথার ভিতর থেকে চিন্তা দুর হবার পরিবর্তে বাড়ছে । ধোঁয়ায় ঘর ভরে যাওয়ার ভয়ে জানালা খুলে দিল সে । সিগারেট পুঁড়ে ছাঁই হয়ে গেলে ও মনের যন্ত্রণা ভুলতে পারছে না । মাথাটা হটাৎ যেন একটু চক্কর কাঁটছে তাই আবার বিছানায় শুয়ে পরলো তপু । এলোমেলো ভাবনাগুলো মনের সাগরে উত্তাল তরঙ্গের সৃষ্টি করছে প্রতিনিয়ত ।
রাত তখন হয়ত দুইটা নাগাদ হবে, জানালাগুলো একটা অপরটাকে ধাক্কা দিচ্ছে । জানালার পর্দাগুলো পতপত করে উড়ছে । অজানা একটা ভয় তপুকে আষ্টে-পিষ্টে জড়িয়ে ধরেছে । কেউ যেন জানালার অপর পাস হতে তাকে হাত বাড়িয়ে ধরতে চাইছে । আর উড়ন্ত পর্দাগুলো যেন মাথা উচুঁ করে উড়ে চলেছে দুর্নীতি আর অনিয়মের প্রতীকি হয়ে আর তাচ্ছিল্লের হাসি হাসছে এক অমোঘ পরাজয়ের নায়ক কিংবা কৌতুক অভিনেতার পানে তাকিয়ে তাকিয়ে । অপমান আর লজ্জা ঢাকতে নাকে মুখে কাথা জড়িয়ে নিল তপু ।
৫।
দরজার করাঘাতের শব্দে ঘুম ভাংলো তপুর । রুমির গলা শুনতে পেল সে, যা প্রতিদিনের চেয়ে একটুখানি ব্যাতিক্রম । একে তো সে সবার আগে ঘুম থেকে উঠে তার উপর আবার দরজা লাগিয়ে ঘুমিয়েছে আজ । হটাৎ গতকাল রাতের কথা মনে হওয়ায় হন্তদন্ত হয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দরজ়া খোললো সে । রুমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তপুর দিকে, যেন কালকের ঘটনার সবটুকুই রুমির জানা ।
তপুঃ কিরে এভাবে তাকিয়ে আছিস কেন?
রুমিঃ দাদা তুমি কি বলোতো?
তপুঃ কেন কি হল আবার ?
রুমিঃ এত বড় একটা ঘটনা ঘটে গেল আর তুমি।
তপুঃ ঘটনা কি কি কিসের ঘটনা ?
রুমিঃ ঘটনা শোনার আগেই তোতলাচ্ছ আর শুনলে তো হাত পা ঠান্ডা হয়ে যাবে ।
তপুঃ আহ! হেয়ালি ছেড়ে মুল ঘতনা বলতো?
রুমিঃ গলির মোড়ে আমাদের পাশের গলির একটা মেয়ে নাম মেহজাবিন তার লাশ পড়ে আছে ।
তপুঃ (ঘুম কাতর চোখ দুটো বেশ বড় হয়ে গেল তপুর) কি বলিস।
রুমিঃ হুম, তবে আর বলছি কি, চল দেখে আসি । মাকে কতবার বললাম মা যেতে দিচ্ছে না তাই তো তোমাকে জাগাতে আসলাম ।
তপুঃ চল, দেখে আসি ।
প্রচন্ড বৃষ্টি হচ্ছে , পুলিশের লোকেরা চারদিকে ঘিরে আছে, তবু ও উৎসুক জনতার ঢল ভীড় ঠেলে ভেতরে ঢুকতে চাইছে । তপু ও রুমি দুজনে কোনমতে লাশের কাছে পৌঁছাল, লোকের মুখে শুনতে পেল মায়ের শ্বাস্-কষ্টের অষুধ কিনতে এলে কে বা কারা তাকে ধরে হিংস্র পশুর মত নিজেদের মনোবৃত্তি পুরণ করার পর গলায় উড়না পেচিয়ে হত্যা করেছে । তপু আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলো না, রুমিকে নিয়ে বাসার দিকে ফিরে আসতে লাগলো । রুমিকে ছাতা ধরিয়ে দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিল তপু । দৃষ্টিগোচর হল না কারো বৃষ্টির মাঝে তপুর চোখের জল ও মিশে যাচ্ছে এক এক করে অজস্র ফোঁটা । তপু হাঁটছে কিন্তু পা চলছে না, পিছন থেকে কেউ চিৎকার করে ধিক্কার দিয়ে বলে যাচ্ছে কাপুরুষ,কাপুরুষ কাপুরুষ…
তুই আমায় খুন করেছিছ তুই, ওরা শিয়াল- কুকুরের মত আমার দেহটা ছিঁড়েছে আর তুই তামাশা দেখেছিস । বৃষ্টি হচ্ছে বৃষ্টি হবে, তোর বোন ও বাড়ির বাইরে বেরোবে একা তখন কি করবি কাপুরুষ!!! নিচু মাথায় বাড়ির পথে ফিরছে তপু ভাবনারা ও ছুটছে তার পিছু পিছু…











আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
amar ami ভালোই লাগলো কিন্তু বাস্তবে আসলেই তপু রা কিছু করতে পারে কি ? কিছু করার চেষ্টা হলে মেহেজাবিনের পরিবর্তে তাকেই লাশ হত যে, এই সহজ হিসেব সবাই জানে .....
রংধনু Shahnaj Akter , আপনাকে আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...
রংধনু M.A.হালিম, ধন্যবাদ...
রংধনু শামীম আরা চৌধুরী, জী, আপনার সাথে আমি একমত...
Abu Umar Saifullah অনেক অনেক ভালো লাগলো
শাহ্‌নাজ আক্তার তপুর জায়গায় তপু ঠিক , কারন যে কেউ থাকলে ঐখানে এই কাজ ই করত ,, সমাজ থেকে এসব দুষিত ময়লা সরাতে হলে সবাই মিলে একসাথে রুখে দাড়াতে হবে, মেহজাবিন এর জন্য খুব খারাপ লাগছে ,,মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায় ? যদিও গল্প হিসেবে অসাধারণ ,, তবুও মনে হলো যেন সত্যি কোনো ঘটনা পেপার এ পড়লাম |
M.A.HALIM খুব ভালো। ভোট গৃহিত হলো।
শামীম আরা চৌধুরী কিছু নস্ট মানুষ নস্ট করছে সমাজটাকে। আর আমরা দোষ দেই সমাজের। ধন্যবাদ
রংধনু বিন আরফান. , এ আমি কাকে দেখছি , সত্যি কি আপনি নাকি অন্য এক আরফান , ভাই ইদানিং কিন্তু আপনি ও অনিয়মিত হয়ে গেছেন, পাশে পেয়ে ভালো লাগলো...
বিন আরফান. রাতটা ভালো কাটল. চমত্কার একটি গল্প পড়ে. আপনার তুলনা আপনি. ভালো থাকবেন. নিয়মত হলে বেশি ভালো লাগবে .

০৪ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪