ভালবাসা যুগে যুগে নিজস্ব রূপে পাড়ি দিয়েছে হৃদয়ের তেপান্তর চলুন দেখে আসি আজ কেমন ছিল ভালবাসার সেই যুগীয় রুপান্তর?
একটা সময় ছিল যখন কেউ ভালবাসার জন্য 'দুরন্ত ষাড়ের চোখে লাল রুমাল' বেঁধে দিতেও দ্বিধা করেনি। 'প্রেয়সীর জন্য 'বিশ্বসংসার তন্নতন্ন করে খুঁজে এনেছে ১০১ টি নীল পদ্ম'! সেই ভালোবাসা এখন ডিজিটাল যুগের ভার্চুয়াল জগতে এসে ধুঁকছে অবিরত!
আমাদের অ্যানালগ সময়ে নীল খামে নীল কাগজে হৃদয়ের কথাগুলো যরীন হরফে লেখা থাকত! কুহকী প্রহর অণুক্ষণ উদ্বেগ উৎকন্ঠায় ভেসে ভেসে পাশের বাড়ির সেই মেয়েটির ছবি হৃদয়েই কেবলি আকত!
অব্যক্ত কথাগুলো প্রকাশের সেই দৃষ্টিভঙ্গি এখন বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছে! বিনিদ্র রজনী জেগে জেগে প্রিয়াকে এখন ভালবাসার পংক্তিগুলো আর লেখা হয় না অনিশ্চযতার দুরু দুরু বুকের কাঁপুনি এখন এসএমএস আর ইনবক্সে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে।
এখন আর বাড়ীর ছাদে কিংবা খোলা মাঠের বিস্তীর্ণ ধানি ফসলের ভিতর দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে- প্রেয়সীর খোঁপায় জড়ানো বেলী ফুলের তাজা নির্যাস মনকে আকূল করার সময় পায় না। চিঠি চালাচালির সেই উত্তেজনা এখন অ্যানালগ যুগের দামী এন্টিকস! প্রেয়সীর বুকের সাথে সাময়িক মিশে থাকা সেই নীল খাম প্রিয়ার পরিচিত সুবাস এখন আর বয়ে বেড়ায় না।
এখন মাংসল হৃদয়ের যান্ত্রিক কথাবার্তা কী-বোর্ডের ইলেক্ট্রনিক ঘ্রাণকে সাথে নিয়ে স্কাইপের দ্বারস্থ! কালো অক্ষরে হৃদয়ের লাল অনুভূতি এখন ভালবাসার সিম্বোলিক কনভার্সনেই তৃপ্তির স্বাদ আস্বাদনে ব্যস্ত! দামী রেস্টুরেন্টে উচ্চ কোলেষ্টরেল যুক্ত খাবার আর দামী গিফট এর পিছনে নিরন্তর ছুটে চলে ডিজিটাল ভালবাসা।
প্রযুক্তি স্থানিক দূরত্বকে কমালেও মনের দূরত্বকে বাড়িয়েছে দু'জনের কাছে আসাটা আগে ছিল বড্ড কঠিন! তবে মনের দূরত্ব ছিল না সেথায় একটুও। এখন সহজে কাছে আসে হৃদয়গুলি দুই মেরুতে অবস্থান ও নেয় পলকে। মেকি সিম্বোলিক ভালবাসার ভিতর এখন প্রেয়সীর বুকের চাঁপা ফুলের ঘ্রাণ নেই! সেখানে শুধুই যান্ত্রিক ঘ্রাণ আর ছলনার ইতিহাস।
এখন কবিগুরু ও নেই ভালোবাসাও এখন তাঁর মতো ছন্দে ছান্দসিক নয়। ভালোবাসা কি? এর উত্তরে বলেছিলেন তিনি- "ভালবাসার কোন কথার কি বা অর্থ-মানে? ভালো যারা বেসেছিল তারাই ভালো জানে"। ভালোবাসা এখন যারা ভালোবাসেন তাঁদের নিজস্ব নিগুঢ় অর্থে দীপ্তমান! বহুরূপী ছদ্মবেশী ডিজিটাল ভালবাসা নিরন্তর পোড়াতে জানে কেবলি জাগায় না কোনও আশা! এখন.. কেবলি মিথ্যে এ ভালবাসা।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আল মামুন খান
যারা আমাকে ভোট দিয়েছেন এবং কবিতাটির ভালো=মন্দ মন্তব্যে জানিয়েছেন, সকলকে এবং বিচারক প্যানেলের সবাইকে অনেক ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা। ভালো থাকুন সবাই।
কবি এবং হিমু
বহুরূপী ছদ্মবেশী ডিজিটাল ভালবাসা
নিরন্তর পোড়াতে জানে কেবলি
জাগায় না কোনও আশা!
এখন.. কেবলি মিথ্যে এ ভালবাসা।।
-----চমৎকার একটি কবিতা।অনেক সুন্দর করে রুপান্তরটা বুঝিয়ে দিলেন।বেশ লাগলো পড়ে।ভোটিং এ ৫ এর উপর আর ও কোন সংখ্যা থাকেল ভাল হতো
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।