‘খবরটা একদম হাতেগরম ওস্তাদ। অরবিন্দ পল্লির মেয়েটা কাল রাতে পাখার সাথে লটকে গেছে। সকালে পুলিশ . এসে বডি থানায় নিয়ে গেছে। গুবলা হাঁপাতে হাঁপাতে খবরটাতাপ্পিরকানে চালান করে দেয়।
কাঁচাঘুমে তাপ্পির সার্কিটটা ঠিকমতাে কাজ করে না। অন্যমনস্ক হয়ে পড়ে। এই তাে মাত্র কয়েকটা মাস আগের ঘটনা। সেদিন সক্কাল সক্কাল ওকেই খুঁজতে হিরােইন মার্কা মেয়েটা বন্ধুর চায়ের দোকানে পৌঁছে যায়। ঘুমচোখে তাপ্পি চায়ের ভঁড়ে টোস্টটা ডােবাতেই হোঁচট খায়, গরম চাচলকে আঙুলে লাগে।
“দাদা, এখানে একটা ফ্ল্যাট ভাড়া পাওয়া যাবে? আমি কোলকাতা থেকে আসছি।'
একটু দুরেই ওর কালােকাচে ঢাকা রাজহাঁসের মতাে প্রকাণ্ড গাড়িটা তখনও স্টার্ট বন্ধ করেনি।
এই সময় বন্ধুর চায়ের দোকানের বাইরে বেশীরভাগই লুঙ্গিমার্কা ভ্যারান্ডাবাজগুলাে গুলতানি মারে। মেয়েটার গা থেকে দামি সেন্টের গন্ধ ভেসে আসছিল। গােটা শরীরটাই ক্রিমপালিশ করা তবে বেশীরভাগটাই খােলাখুলি। সবার। শ্যেনদৃষ্টি ফাঁকফোকর খুঁজছিল। একসময় এই অঞ্চলে ফ্ল্যাটবাড়ির দালালিতে তাপ্পি ছিল বেতাজ বাদসা। কেউকেউ ওকে ছেড়াতাপ্লিবলেও চিনতাে।হঠাৎই ওই ধান্ধায় নানান ক্যাচাল শুরু হল। রামমােহন কলােনির বেশ কিছু উড়ােখই চলে এলাে মুখ মারতে। ভাগাড়ে গরু পড়লে চিল শকুনের মতাে সবকটা ডানা ঝাপটাতাে। বাধ্য হয়েই ওয়াকওভার দিয়ে তাপ্পি গুবলাকে নিয়ে শুরু করলাে নতুন ধান্ধা।
সকাল সকাল যাচা ভাত পায়ে ঠেলতে মন চায় না তাপ্পির। তাছাড়া মেয়েটাকে একটু উপকার করার লােভও সামলাতে পারেনা। দু-এক জায়গায় ফোন লাগাতেই হাতে হাতে ফল পেয়ে যায়।
‘ম্যাডাম, অরবিন্দ পল্লিতে সেকেন্ড ফ্লোরে একটা ফ্ল্যাট ভাড়ায় আছে। দক্ষিণ খােলা, লিষ্ট আছে। আট হাজার ভাড়া, পঞ্চাস এ্যাডভান্স, দুমাসেরদালালি।তাপ্পি মুখস্থর মতােউগরে দেয়।
নতুন কারবারটা তাপ্পি বন্টাই আর ভজনের থেকে পায়। বারাসাত অঞ্চলে বহুবছর ধরেই ওরা এই কাজে ফিল্ডিং করছে। একটাও ক্যাচ মিস নেই। হাতে হাতে নগদনারান পাওয়া যায়।
‘আরে স্রিফ চুনা লাগানাে। নেতারা জনতাকে চুনা লাগায় আর আমরা নেতাদের। বন্টাই আর ভজন ওদের বারসাতের ঠেকে পার্টি দিয়েছিল। তাপ্পি গুলাকে নিয়ে সন্ধ্যের আগেই হাজির। দেশী মদের সাথে চিকেন তন্দুরি। দু-চার পেগ সাফ করেবন্টাই ভাটুকতে শুরু করে দিলাে।।
‘আরে সাতপাক ঘুরিয়ে মারবিনাকটোকে দেখাবি?’তাপ্পির ত্বর সয় না। পুরােটা এখনই শুনতে চায়। “তবে শােন এবার। সেকেন্ড হাফ ভজনই শুরু করলাে, আরে এখনকার নেতারা কি চায় বল.........?”
তাপ্পি আর গুলা ক্যাচ ফসকে যায় দেখে নিজেই আবার বলতে শুরু করে, ‘আরে মানুষ মানুষ। বােবা, কালা, ল্যাংড়া, লুলা সব চলবে। শুধু ব্রিগেড ভরাও। তােতা পাখির মতাে যা শেখাবে তাই বলবে। ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, পােস্টার, ঝান্ডা, মােমবাতি যার যতবড় মিছিল সে তত বড় নেতা। এছাড়া সত্যনারান পুজোর মতাে অবরােধ লেগেই আছে। কারখানার গেটে, রাস্তায়, ট্রেন লাইনে পান থেকে চুন খসলেই অবরােধ। আরে এতাে লােক পাবে কোথায় বলতাে? মাগনায় কে খাটবে? ফেলাে কড়ি মাখাে তেল।
একনাগাড়ে কথাগুলাে শেষ করে ভজন। দুটো গ্লাস পরপর খালি করে, তারপর এক টুকরাে চিকেন তন্দুরি মুখে দিয়ে মৌজ করে চিবােতে থাকে।
তাপ্পি আর গুবলা একদম স্পিকটি নট। ভজনই আবার বলতে শুরু করে, ‘পার পিস পঞ্চাশ টাকা। যাওয়া আসা, খাওয়াদাওয়া আলাদা।তিরিশ টাকা পার্টির আর কুড়ি টাকা দালালি। শুধুমুরগি ধরাে। যত মুরগি তত টাকা।
তাপ্পিরও নেশাটা বেশ চড়েছিল। আবছা দৃষ্টির সামনে শুধুই ভনভন করছিল লােক। লােকে লােকারণ্য। রামমােহন কলােনী, দালালপুকুর, রেলবস্তি, হাঁসখালি, কেঠোপুল – হাড় হাভাতেগুলাে হাঁ-মুখে বসে আছে টোপ গিলবেবলে।সবার মাথায় লাল লালকুড়ি টাকার নােটগুলাে পত পত করে উড়ছে।টপটপ তােল আর পকেটে ভরাে।
ইদানিং তাপ্পির টিউনিংটা একটু বিগড়ে গেছে। একটু বেশী নেশা করলেই ওই হিরােইন মার্কা মেয়েটা কপাল বেয়ে নেমে চোখের পাতার ওপর বসে পড়ে, যাওয়ার নাম নেয় না।
‘আমার নাম আলেয়া, এটা আমার হবু স্বামী ভরত।সেদিন এক দেখাতেই ফ্ল্যাটটা পছন্দ হয়ে গিয়েছিলাে। ভরত ছেলেটার আলুভাতে মার্কা চেহারা দেখেই বড়লােক মনে হচ্ছিল। যা হােক আর বেশী কচকচালিতে না গিয়ে তাপ্পি দালালিটা পকেটস্থ করে ধাঁ হয়েছিল।
এরপর পরপর এক মাসের মধ্যে বেশ কয়েকটা মােটা অর্ডার হাতে এসে গেলাে। ব্রিগেড চলাে, শহিদ মিনার চলাে, ধর্মতলা চলাে – দশ গাড়ির নিচে কোনটাই ছিলাে না। সব ম্যানেজ করতে তাপ্পি আর গুবলার কালঘাম ছুটছিলাে। বিশুর গ্যারেজে একটা পুরনাে মপেড অনেকদিন ধরে জং খাচ্ছিলাে। মাসিক পাঁচশাে টাকা কিস্তিতে তাপ্পি সেটাকে রাস্তায় নামায়। গুবলাকে পিছনে বসিয়ে বস্তিগুলাে রােজ কভার করতে হতাে। মেন রােডের ধারে শিতলা মন্দিরের সামনে তাপ্পি একাই ফিল্ডিং করতাে, গুবলা সবাইকে ডেকেডেকে ওখানে হাজির করতাে। তারপর বাস, ম্যাটাডাের, লরি যা সামনে আসতাে মাথাগুনে তুলে দাও আর নির্দিষ্ট জায়গায় নামিয়ে দালালি বুঝে নাও।
“আরে দাদন দিয়ে রাখ।নাহলে কোনদিন নেপােয় দই মেরে পালাবে।"
বন্টাইয়ের কথাটা তাপ্পি উড়িয়ে দিতে পারে নি। যদিও এলাকার বস্তিগুলােয় তাপ্পির ছােট থেকেই অবাধ যাতায়াত ছিল। সম্রায়ের মুখঝামটায় অতিষ্ঠ হয়ে এইসব বস্তিগুলােয় সবার ফাইফরমাস খেটে বড় হয়েছে। বীনামাসি, সিধু কাকা,ফকরে জ্যেঠু, কল্পনা মাসি এমন অজস্র সম্পর্কের বেড়াজালে নিজেকে কোনদিনও একলা মনে হয়নি ওর।
সেদিন অরবিন্দ পল্লিতে হঠাৎই দেখা হয়ে গেলাে মেয়েটার সাথে। পরদিন একটা বড় অর্ডারের জন্যে তাপ্পি একাইমপেডটা ছুটিয়ে রেলবস্তি যাচ্ছিলাে। হঠাই মনে হল কেউ যেন ডাকছে।
‘চলুন, আমার ফ্ল্যাটটা কেমন গুছিয়েছি দেখে যাবেন।
একপ্রকার জোর করেই তাপ্পিকে নিজের ফ্ল্যাটে নিয়ে গেলাে। শাড়ি পরে মেয়েটাকে বেশ ভালােই লাগছিলাে তাপ্পির। ফ্ল্যাটটাকেও বেশ গুছিয়ে ফেলেছে। চারদিকে দামি দামি আসবাবে ঠাসা। তাপ্পি একটু ইতস্তত করলেও আলেয়া ওকে জোর করে সােফায় বসায়।
‘একটা কথা বলবাে কিছু মনে করবেন না? আপনার এই ছেড়াতাপ্পি নামটা পাল্টান। চেঁচিয়ে ডাকলে সবাই তাকায়।
এত আপনি, আজ্ঞে শুনে এমনিতেই তাপ্পি বেশ ব্যাকফুটে ছিলাে এখন সরাসরি টিকিতে টান। জবাব দিতেই
হয়।
‘আসলে আমার নামটা একমাত্র ভগবানের মােবাইলে সেভ করা আছে, একবার ডিলিট হলে আর নেটওয়ার্ক পাবাে না।”
ইতিমধ্যে সন্ধ্যে নেমেছিল। আলেয়া একগাদা খাবার ট্রেতে সাজিয়ে তাপ্পির সামনে রাখে। ‘এসব আমি নিজের হাতে বানিয়েছি।
এরকম একটা পরিবেশেতাপ্পির অস্বস্তি বাড়ছিলাে।
‘আপনার স্বামী?’একটু প্রসঙ্গ পাল্টায়।
‘স্বামী নয় বলুন হবু স্বামী। বাইরে গেছে। দু-চার দিন পর ফিরবে।
এরপর যেটা ঘটেছিল সেটা ভুলতে তাপ্পির বেশ সময় লেগেছিলাে। কথায় কথায় রাত বােড়ছিলাে। আলােয়া ততই নাছােড়বান্দা। এরই মধ্যে হঠাৎ ও একটা বিলিতি মদের বােতল বার করে গ্লাসে ঢালতে শুরু করে, তাপ্পিকেও খেতে বলে। ক্লায়েন্টের সাথে এমন ঘােলমেল তাপ্পির পছন্দ নয়। সােজাসুজি ‘না’বলে দেয়।
এরপর আলেয়া অনর্গল নিজের কথায় মশগুল হয়ে যায়। একের পর এক মদের গ্লাস খালি হচ্ছিলাে। এই সবের মধ্যেই তাপ্পির মজাটা পুরােপুরি লােডসেডিং হয়ে যায়।
‘আমাদের মালদার আমবাগানে সবে যখন বউল ধরছে তখনই শালা আমার মা বাপটা আমায় বেচে দিলাে। হাত ফিরে চলে এলাম সােনাগাছিতে। তখন সবে কচিকুষ্টি আম ধরেছে। মাসি কাউকে কাছে ঘেঁসতে দিতাে না। পাছে কেউ এঁটো করে দেয় আমাকে।
ওর চোখদুটো লাল টকটকে, নেশায় বারবার কথার খেই হারিয়ে ফেলছিল।
‘তারপর গায়ে গতরে যতই শশালাে হলাম ততই রসালাে। চেটেপটে কজি ডুবিয়ে খাও। কত লােক আসতাে খেতাে। কেউ কেউ তােহাত না ধুয়েই পালাতাে।সবশেষে ভরত এলাে,বললাে, 'আমায় বিয়ে করবে?
শেষের কথাগুলাে জড়িয়ে আসছিল। তারপর একসময় সােফায় এলিয়ে যায়। ঘড়ির কাটা রাত বারােটার ঘরে। দরজাটা টেনেতাপ্পি নিঃশব্দে বাইরে বেরিয়ে পড়ে।
এরপর অনেকদিন আলেয়ার কোন খবর ছিলাে না। তাপ্পিও নিজের ধান্ধায় বিন্দাস ছিলাে। সেদিন হঠাৎই বন্টাই আর ভজন সােজা চলে এলাে তাপ্পির ঠেকে। পঞ্চাশজন আর্জেন্ট ডেলিভারি আছে। খাস কোলকাতায় রাতে ভদ্র লােকেদের মােমবাতি মিছিল।
‘আরে তাের ওইসব ঝি চাকর মার্কা মাল চলবে না। একটু পুরুষ্টু আর ভদ্রসভ্য দরকার। টু বাই টু এসি বাস থাকবে। দরকার হলে তেল সাবান সেন্টের জন্যে এক্সট্রা দিয়ে দে।'বন্টাইকে উত্তেজিত লাগছিলাে সঙ্গে দরাজও।
লােগ্লা ক্যাচটা তাপ্পি ছাড়ে না। ওখান থেকে মাত্র মাইল দুয়েক দুরেই একটা ছেলেদের হােস্টেলে দু-এক জনকেও চিনতাে।তাপ্পি নিশ্চিত ছিলাে পাঁইটের দাম পেলে ওরা যেতে রাজি হয়ে যাবে।
থানার বড়বাবুতাপ্পিকে একটু সমীহ করতাে। ইদানিং নেতাদের সাথে মেলামেশা ছিলাে বলেই হয়তাে।
‘তুই জানিস না, মেয়েটার চরিত্র ভালাে ছিলাে না। ওই আবাসনের সব্বাই বলেছে। রােজ রাতে ড্রিঙ্ক করতাে, আর নতুন নতুন লােকের সাথে রাত কাটাতাে।
‘তাহলে আপনি ভরতকে গ্রেফতার করবেন না?’তাপ্পির গলায় একটা প্রচ্ছন্ন ধমকির ঝাঝস্পষ্ট ছিলাে। ‘আরে পােষ্টমর্টেম রিপাের্টটাতাে আসতে দে। থানা থেকে বেরিয়ে তাপ্পি কিছুটা অন্যমনস্ক হয়ে যায়। আগের দিন বিকেলেই আলেয়ার ফোন পেয়েছিল।
‘আমায় বাঁচান। এরা আমায় মেরে ফেলবে। ভরত মিথ্যেকথা বলেছে। ও আমায় বিয়ে করবে না। আমায় কোথাও নিয়ে চলুন। কথার মাঝেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাে।
“সেদিন আপনাকে সবকিছু লজ্জায় বলতে পারিনি। রােজ রাতে টাকা নিয়ে আমার ঘরে লােক ঢােকায়। সারা রাত
ওরা আমার ওপর অত্যাচার করে। আপনি প্লিজ আমায় সাহায্য করুন। আলেয়ার কাতরক্তিটা তাপ্পির মনে মিয়ানাে ছুঁচোবাজির মতােই একটু ধুয়া ছড়িয়ে হঠাৎই নিভে গিয়েছিলাে। নিজের ওজনটা বইতেই হাঁপিয়ে উঠছিলাে। এরপর অন্য কারাে, ভাবতেই পারলােনা।
***
আজ অন্ধকার থাকতেই গুবলাকে নিয়ে তাপ্পি পৌঁছে গেছে মেন রােডের ধারে শেতলা মন্দিরের সামনে। দুজনেই নিঃশ্বাস চেপে কোন কিছুর অপেক্ষা করছে। গুবলা জানে তাপ্পি কাল সারাটা রাত ঘুমােয় নি। মপেডটা নিয়ে একাই বস্তিতে বস্তিতে ঘুরেছে। ক্লান্ত হয়ে ফিরে সােজা এখানে। এখান থেকে অনেকটা দুর পর্যন্ত দেখা যাচ্ছিলাে। চারদিকটাই শুনশান ছিলাে কিন্তু হঠাৎই পাল্টে গেলাে গােটা দৃশ্যপটটা। তাপ্পির চোখদুটোয় আশার আলাে জ্বললাে আর গুবলার মুখে হাসি।।
প্রথমে রামমােহন কলােনী, তারপর রেলবস্তি, এক এক করে দালালপুকুর, হাঁসখালি, কেঠো পুল -ঝক ঝক কালােকালােমাথা সারিবদ্ধভাবে এগিয়ে আসছে। আজ কারাের মাথায় লাল কুড়ি টাকার নােট উড়ছেনা।ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন, পােস্টার, ঝান্ডা, মােমবাতি কিছুই নেই। বজ্রকঠীন অভিব্যক্তিতে স্বতস্ফূর্ত দাবী দোষীর শাস্তি চাই।
আপাতত ওদের গন্তব্য থানা।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
আমার গল্পের মূল চরিত্রের নাম ছেঁড়া তাপ্পি।নামের সাথে সামঞ্জস্য রেখেই ও কাঠখোট্টা প্রকৃতির।ইহকাল পরকালের চিন্তা নেই,যখন যা পায় তাই খায়,যা ঠিক মনে হয় তাই করে।এমনই একটা কাঠখোট্টা ছেলের অবচেতন মনেরর গভীরে হঠাৎ করেই প্রেমের ছোঁয়ালাগে। ব্য্যক্ত নয়,অব্যক্ত । তার সেই প্রেমে কোন চাওয়া পাওয়া ছিল না ,ছিল শুধুই দায়বদ্ধতা।যে বাউন্ডুলে কঠখোট্টা প্রকৃতির ছেলেটা অর্থের বিনিময়ে অন্যের মিছিলের লোক যোগাড় করে বেড়াতো একদিন শুধুমাত্র দায়বদ্ধতার স্বার্থে সেই একটা অন্য মিছিলের নেতৃত্ব দিয়ে বসলো। কাঠখোট্টা ছেলেটা রাতারাতি হয়ে উঠলো মহান ।
১৭ জুন - ২০১৪
গল্প/কবিতা:
২৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪