ভুত-পরীদের সাথে কিছুক্ষণ

ভৌতিক (নভেম্বর ২০১৪)

মালেক জোমাদ্দার
  • ১১
এক.
আমরা তিন ভাই । আমি সবার ছোট । আমাকে ঘরের সবাই খুব আদর করে। আমার দাদি আমাকে তলানী আর দাদু পাতিল মোছা বলেও ডাকে। একটু বুঝিয়ে বলি । তলানী মানে কোন পাত্রে পানি রাখলে পানির নিচে বা শেষের দিকে যে ময়লা বা গাদ জমে তাকে তলানী আর পাতিল মোছা মানে খাবার শেষ হয়ে গেলে যে খাবার টুকুন থাকে । প্রথম দিকে বুঝতাম না তাই খুব রেগে যেতাম। পরে বুঝলাম মানেও ঠিক আছে আর দাদা দাদি তো আদর করেই ডাকে। তলানী হিসেবে আমাকেই সবার কাজে লাগে । দাদু কোথাও গেলে আমাকে সাথে নিবে আর দাদি ও তাই । আমাকে তারা বন্ধুর মত সব কথা বলে। বুড়া-বুড়ির সাথে থাকতে থাকতে আমি একটি ইচরে পাকা হয়ে গেছি ।সারাক্ষণ ওনাদের জ্বালাই আর তাদের খাবার সাবার করি তবে তাতে তারা কিছু মনে করে না ।একদিন বিকেল বেলা দাদুর একটি সালিস বিচারের আমন্ত্রন আছে । লাঠি বাহক হিসেবে আমাকে নিলো ।বিচার কাজ শেষে । বেশ খাবার দাবারের আয়োজন ছিল । তখন রাত প্রায় দশটা ।কনকনে শীতের রাত । আমাদের বাড়ি থেকে সে গ্রামের বাড়ির দূর তিন থেকে সাড়ে তিন মাইল । রাস্তার ধারে তাল গাছ , বাঁশে ঝোপ-ঝাড় । কতক্ষণ পর পর খালের উপর বাঁশের সাঁকো পার হতে হয় । বাড়ি ফিরতে রাত হবে তাই দাদু একটি টর্চ লাইট সাথে রাখে কিন্তু লাইট সাথে নিতে ভুলে গেছেন । যে বাড়িতে বিচার সালিস হলো তারা একটি হ্যারিকেন বাতি আমাদের দিল । আমারা ধীরে ধীরে বাড়ির দিকে আগাচ্ছিলাম। একটি বাগান বাড়ির মাঝ দিয়ে হাটছিলাম এমন সয়ম শীতল বাতাস বইলো যেন সারা শরীর শীতল হয়ে গেল। কাপুনি দিল সারা শরীর । আমার সারা শরীররের পশম দাঁড়িয়ে গেল। খুব ভয় লাগছিল। হাটছি আর মনে হচ্ছে আমার সামনে পিছনে কে যেন হাটছে । মাঝে মাঝে চিকা/ইদুর দৌড় দেয় আর ঝরা পাতা গুলো মচমচ শব্দ হয় । মনের ভিতর বেশ ভয় । দাদু বুঝতে পারলো আমি ভয়ে হাটতে পাড়ছি না । দাদু আগে আর আমি তার পিছনে । কেউ যেন আমার পিছে পিছে হাটছে । এই বুঝি হাত ধরে টান দিয়ে জঙ্গলে নিয়ে যায়। হাত পা আর চলছে না । মাটির পথ, রাস্তা উচু নিচু । হঠাৎ করে আমার পা পিছলে গেল, পড়ে গেলাম রাস্তার পাশে ।হাতের হ্যারিকেনটির কাঁচ ভেঙ্গে গেল। নিভু নিভু জ্বলছে কিন্তু তাড়াতাড়ি হাটলে বা একটু বাতাস আসলেই বাতি নিভে যাবে ।তাই ধীরে ধীরে চলছি । আমরা একটি বাঁশ বাগানের পাশ দিয়ে চলছি এমন সময় বাঁশ বাগান ভিতর ভুত হাটছে আর গাছ ধরে নাড়ছে । আমি দাদুর হাত ধলাম, সেও ভয় ভয় হাটছে । শয়তান না ভুত দাদু ? আরে না বলে এক ধমক দিল। উচ্চস্বরে কথা বলে সাহস দিল আমাকে । বাগানের মাঝা মাঝি আসতেই বিকট শব্দ “ধপ্পাস”। আমাদের সামনে একটি বড় আকারের কালো তাল পড়ল । আবার "ধপ্পাস" এবার একটি আধা পাকা চালতে ফল। কোন তাল গাছ ও বা চালতে গাছ দেখতে পেলাম না । মনের ভিতর ভীষণ ভয় নিয়ে চলছি কিন্ত পথ যেন শেষ হয় না । একটি সাঁকোর কাছে এলাম । চার দিক বেশ অন্ধকার । কুয়াশার চাঁদর মুড়ি দিয়ে সব গাছ পালা যেন ঘুমায় , হ্যারিকেনের আলো এক হাত দূরেও যায় না । সাঁকোর মাঝামাঝি আসতেই আলো নিভে গেলো। সাঁকোটি বেশ নড়ছে। একে অপরের হাত বেশ শক্ত করে ধরলাম । আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি বেশ লম্বা সাদা কাপড় পড়া দু’জন লোক । আমি দেখে ভয় পেয়ে হাত ছেড়ে দিলাম । ধপ্পাস করে পানিতে পড়ে গেল দাদু । আমি তাকে খুঁজতে পানিতে ঝাপ দিলাম ।দাদুর হাতের লাঠি ভাসতে ভাসতে কোথায় যে চলে গেল খুঁজে পেলাম না । আমি চোখ খুলি আর বন্ধ করি। শীতে কাপতে কাপতে সাঁকোর ওপার উঠতেই দেখি সেই দুই জন আমাদের সামনে দাড়ানো । এ যেন বিশাল দৈত্য। ওদের দেখে জ্ঞান হারিয়ে ফেললো দাদু ।আমি জোরে চিৎকার দিয়ে কাঁদছি । দাদু আমার কান্না শুনে জেগে উঠলেন। আবার হাটা শুরু করলাম একটু সামনে আসতেই রাস্তার মাঝখানে এক বুড়ি ঘোমটা দিয়ে কাঁদছে। দাদু- কে তুমি ? কাঁদছো কেন ? আমি পেত্নি হা হা হা করে অট্রোহাসি দিয়ে আমার হাত ধরে এক টান মেরে রাস্তার পাশের জঙ্গলে নিয়ে শুধু চর থাপ্পর মারতে লাগলো।মনে হলো বাতাসের বেগে আমাকে একটি গাছের মগডালে নিয়ে উঠলো।আমি ও বেশ হাল্কা হয়ে গাছের পাতায় বসলাম ।ওদের মধ্যে একটি অল্প বয়সী রুপসী আমাকে খুব কাছে নিয়ে জড়িয়ে ধরলো। গায়ে হাত বুলিয়ে দিয়ে ওদের ধবধবে সাদা পোষাক পড়তে দিল । ও আমাকে হরের রকম খাবার দিল।সে যে কী সুঘ্রাণ। আমি যেদিকে তাকাই সেদিকেই শুন্দরী পরিদের আনাগোনা । আমাকে নিয়ে টানাটানি । ঝাকে ঝাকে আসে আর যায়। হঠাত দেখি আমার সামনে অনেক ছেলেদের ওরা নিয়ে এসেছে । সব কম বয়সের বালক । ওদের একজন আমাকে সারা জীবন রেখে দিবে আমি রাজি কিনা জিঞ্জেস করল আর আমি না বলতেই এক থাপ্পর মেরে নিচে ফেলে দিল।হঠাৎ চোখ মেলে দেখি দাদু আমাকে ধরে কাঁদছে । আমি বললাম দাদু কি হয়েছে ? তুমি কাঁদছো কেন ? ওরা আমাকে ও পাশে ফেলে বেশ মেরেছে আর তোকে এই মাত্র পেলাম । কিছু পথিক সে পথ দিয়ে যাওয়ার সময় আমাদের একটি বাড়িতে নিয়ে যায় । গরম কাপড় দিয়ে সাহায্য করল। আমরা সে রাত গ্রামের একটি বাড়িতে থেকে গেলাম ।দাদু গত টার্মের ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিল তাই রাতে আমাদের বেশ খাতির-যত্ন করলো সে বাড়ির লোকজন এবং ভালো ঘরে থাকার ব্যাবস্হাও করলো ।
চোখে ঘুম আসছে না। ভুত আর শয়তান চিন্তা । বাঁশ বাগানের পাতা নড়া, শীতল বাতাস প্রবাহ, সামনে তাল … সাঁকো নাড়ানো আবার আমাদের খালে ফেলে দেওয়া এ সব ই ভুতের কাজ । দাদু ও দেখছি এপিঠ ওপিঠ করছে, নির্ঘুম ।
দাদু কি ভাবছো ?
-ভাবছি বদমাশ দুটির কথা ।
দাদু ওরা কি ছেলে ভুত না মেয়ে ভুত?
-ছেলে ভুত।
আরে না, আমাকে তো এক সুন্দরী নিয়ে ছিল।
-ওমা, তাই নাকি? আমি তো দেখলাম ছেলে ভুত।
-আরে না, ওরা কোন ভুত না ।
তুমি যে কি বীর তা তো দেখলামই, তুমি খালে পড়ে গেলা কেন ? আর আমাকে যে ওরা নিয়ে গেল তুমি ধরে রাখতে পারলা না? আমি আর তোমার সাথে কোথাও যাব না।
-আরে আমি কি বুঝতে পারছিলাম যে তুই আমার হাত ছাড়বি । আমি তো মনে করছিলাম ওরা তোকে ফেলে দিয়েছে। এমন শাস্তি দেব না হাড়ে হাড়ে টের পাবে।
দাদু তুমি ভুতদের কিভাবে শাস্তি দেবে ?
-আরে কিসের ভুত ওরা মানুষ, ওরা দিনে বিচারে যারা হারলো ওরা ভুত সেজে আমাদের ভয় দেখিয়ে ছিল।
-তাই? না আমি বিশ্বাস করি না। ওরা ভুত ও না শয়তান ও না ওরা পরী।
-হুম, আমার ভুল হয়েছে কাউকে সাথে না নিয়ে আসা ।কেউ থাকলে ওরা এ সাহস পেতো না ।
-দাদু তুমি ঠিক বলছো ।
-হ্যা,এখন ঘুমা।
আমরা কখন যেন ঘুমিয়ে পড়লাম । সকালে উঠে দেখি এলাহি কান্ড। গরম ভাত মুরগী মাংস রান্না করে রেখেছে আমাদের জন্য । ঘন্টা খানেকের মাথায় বাড়ি পৌঁছালাম । বাড়িতে আলোড়ন পড়ে গেল যে " চেয়াম্যান কে ভুতে ধরেছে" একের পর এক লোক আসে আর দাদুর দিকে উকি মারে আর চলে যায় । আমাকে সবাই খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে জিজ্ঞেস করে কি হয়েছিল । মনে হয় আমি হিমালয়ের চূড়ায় উঠেছিলাম ।এত লোক বাড়িতে দেখে দাদু এক ধমক দিল, সবাই সুর সুর করে চলে গেল । সেই রাতের ভয়াল অভিজ্ঞতা যেন আমাকে মাঝে মাঝেই বাঁশ বাগানের ভিতর থেকে আসাস শীতল হাওয়া, খালের ঠান্ডা পানির ছোঁয়া শরীরে শিহরণ তুলে দেয় ।
দুই.
ফুফু, ফুফাত ভাই-বোন সব রিংকুর বাড়িতে গ্রীস্মের ছুটিতে বেড়াতে এসেছে । রিংকুর এক ফুফাত ভাই খুবই দুষ্টু । নানার হাতের কানমলা প্রায়ই হজম করতে হয় দুষ্টুমীর জন্য । প্লান করে রেখেছে সে একদিন তার প্রতিশোধ নিবে। সে রিংকুর সাহায্য চাইল । রিংকু আমাকে সব খুলে বললো আর আমার সাহায্য ও চাইল , আমি তো ভয়ে কাঁপছি যদি দাদু টের পায় তা হলে খবর আছে । আমাদের গ্রামে হাট বসে বিকেল বেলা । বাড়ি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে । প্রতি সোম আর বৃস্পতিবার বিকেল বেলা হাট বসে । এক বৃস্পতিবার আমরা সবাই মিলে হাটতে হাটতে বাজারে গেলাম । বাজারের বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে ক্লান্ত । মেজ কাকা দাদু অনেক বাজার সওদা কিনেছে । একজন দিনমজুর ও সাথে নিল কিন্তু আরো লোক দরকার । আমরা তো তাদের বাজার টানতে চাইবো না । কি করা যায় । আমারা আরো কুলি খুঁজলাম কিন্ত পেলাম না ।সেই দুষ্টু ভাইটা বললো নানা ভাই ঠিক আছে আমরা সব মালামাল নিয়ে যাব যদি তুমি আমাদের সাথে সাথে যাও । সে ও রাজি । ইচ্ছে করেই একটু দেরি করে রওয়ানা দিলাম । মাগরিবের আযান শুনছি , চারিদিক আঁধারে ঢেকে যাচ্ছে ধীরে ধীরে হাটছি ।আমাদের দাদুর হাতে ছিল বেশ বড় আকারের একহালি তাজা ইলিশ মাছ ।নদী থেকে বিকেল বেলাই জেলেরা তুলে বাজারে এনেছেন। বাজারে বসেই সে ইলিশ মাছ গুলো কলাপাতা দিয়ে মুড়িয়ে প্যাক করেছিল ।রিংকু দাদু কে জিজ্ঞেসে করছিল - দাদু ইলিশ মাছ গুলো কলাপাতা দিয়ে মুড়িয়ে প্যাক করছ কেন?
দাদু- ভুতে ধরতে পারে।
-তাই বুঝি ? ভাই একথা শুনে হাসছে আর মনে মনে দুস্টু বুদ্ধি আটছে। আমি ভাইয়াকে জিজ্ঞেসে করলাম হাসছো কেন ? ও তুই বুঝবিনা তোকে আমি পরে বলছি। আমরা কিছু দূর আসার পরে বিল্টু (দুষ্টু) ভাই একটা ভান ধরলো তার পেট ব্যাথা করছে ।সে রাস্তার পাশে বসে পড়লো । তার হাতের ব্যাগটা দাদুর হাতে ধরিয়ে দিল। মেজ কাকার একটু আগে আগেই চলে গেছে । দাদু ও একটু বিশ্রাম নিতে বসলো । আমি রিংকু আর দাদু রত্তয়ানা দিলাম । বিল্টু ভাইয়া বসেই থাকলো । বিশ পঁচিশ মিনিট হাটার পর একটি কবর স্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছি এমন সময় আমাদের সামনে কে যে ঢিল ঝুড়ছে মনে হয় ঢিল বৃষ্টি ।কবরের পাশ দিয়ে রাতে এমনিতেই সবার ভয় থাকে ।তার মধ্যে অঝরে গায়ের উপর ঢিল পরছে চোখে যেন শর্ষে ফুল দেখচি । দাদু মাছ গুলো শক্ত করে ধরে হাটছে। দোয়া পড়ছে আর হাটছে। আমরা ও ভয়ে ভয়ে হাটছি। অন্ধকারে হাটছি তার মাঝে এলো শুরু গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি । কাদা মাটির শুকনো রাস্তায় বৃষ্টি হওয়ায় পা পিছলে যাচ্ছে। একবার আমি পড়ি একবার দাদু একবার দাদু পড়ে একবার রিংকু । এ যেন আমরা আছার খাওয়ার প্রতিযোগিতায় নামছি । আমরা পড়ছি আর উঠছি ।একবার দাদু পা পিছলে রাস্তার পাশে ধান খেতে পড়ে গেল। হাতের মাছ গুলো ধান খেতের পানিতে ডুবে গেল। দৌড়ে গিয়ে তুললাম। মনে হবে এই মাত্র ধান খাত থেকে মাছ ধরলাম । কলাপাতা মোড়ান আর নেই। প্রায় বাড়ির দুই মাইল কাছা কাছি এসেছি এমন সময় কে যেন রাস্তার পাশে ঝোপের আড়ালে কাঁদছে । "তুমি আমাকে নিয়ে যাও, চেয়ারম্যান তুমি আমাকে নিয়ে যাও" চেয়ারম্যান শুনে একটু দাড়াতে পিছন থেকে তার মাছ গুলো নিয়ে এক দৌড় । এখন আর সেই কান্নার শব্দ নেই। রিংকু দাদুকে -দাদু তোমার মাছ কোথায় ?
দাদু -যা ভাবছিলাম তাই হয়েছে ।নিয়ে গেল,আজকেরটা পেত্নি হবে। দেখলি না মহিলা কান্না কাটি করলো । পেত্নি নিয়ে গেছে। আমি তো ভয়ে আর হাটছি না । দাদুর মনে হচ্ছে ভয়ের চেয়ে বেশি ক্ষেপে আছে তার ছেলের উপর কেন ফেলে আগে আগে চলে গেল। আমরা বাড়ির কাছে এসে দেখলাম সবার শরীরে কাঁদায় ভরা যেন আমরা কাবাডি খেলে আসছি । আমরা পুকুরে গোসল করে ভিজা কাপড়ে ঘরে ঢুকলাম । ঘর ভর্তি মেহমান । দাদু লজ্জায় কোন কথা বলতে পারছে না । আমার সেই ফুফাত ভাই আমাদের প্রায় আধা ঘন্টা আগেই এসে পৌঁছেছে । আমরা কাপড় চেইন্স করে বসেছি।
দুষ্টু ফুফাত ভাই – কি সেকালের চেয়ারম্যান ভুত কেমন ?
দাদু - কিসের ভুত ?
সেকালের চেয়ারম্যান আজকের ভুত, তোমার মাছ কোথায় ?
দাদু- মুখ ভার করে বসে আছে । চুপ তোর নানুকে কিছু বলিস না।
সেকালের চেয়ারম্যান কেন বলবো না ? নানু নানু শোন...।
ওদিক থেকে নানু কি হয়েছে ?
দাদু- না, কিছু হয়নি। তুমি ভিতরে যাও । খাবার দাও ক্ষুধা পেয়েছে ।
রিংকু -নানা ভাই কি দিয়ে ভাত খাবে ? ইলিশ কোথায় ?
চুপ কর শয়তান বলে দাদু দিল এক ধমক । দাদি গরম ভাত, ইলিশ ভাঁজা দিয়ে সবাইকে খাবার দিল । দাদু দিকে ও দিক তাকায় । একি আজব আমাদের ইলিশ নিয়ে গেল ভুতে আর বাসায় ইলিশ !! দাদি জিজ্ঞেস করলো- কি সমস্যা ? রান্না ভালো হয়নি?
দাদু-ভাল হয়েছে তবে ইলিশ পেলে কোথায় ?
-কেন ?তোমরা আনলে
-আমরা কখন আনলাম ?
-না বিল্টু নিয়ে এসেছে ।
বিল্টু (দুষ্টু)-কে আমরা খুঁজছি সে ও খাবার টেবিলে নেই। হঠাৎ টিনের চালে "ধপ্পাস" আওয়াজ আর ঘরের পিছনে যেন সত্যিই ভয়ানক শব্দ "আমার মাছ আমাকে ফিরিয়ে দে" না হলে বিল্টুকে নিয়ে যাব। সবাই তো বিস্ময় ! এ কি করে হয়!! সবাই খাওয়া বন্ধ করে দিল । পেত্নির মাছ কি খাওয়া যায় । বিল্টুকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না। দুষ্টু বিল্টু ঘরের চালায় উঠে মুখ কালো কাপড়ে ঢেকে সেই আওয়াজ করছে । আমাকে এখানে মাছ দিয়ে যা আর বিল্টুকে নিয়ে যা্‌ হা- হা -হা -হা, হো হো হো... সাথে সাথে টিনের মচমচ শব্দ করছে আর বলছে জলদি কর না হলে চেয়ারম্যানকে নিয়ে যাব... , হঠাৎ ঘরের লাইট নিভে গেলে । সবাই ভয়ে চিৎকার শুরু করলো । এই সুযোগে বিল্টু ঘরের চালা থেকে নেমে খাবার টেবিলে বাতি জালিয়ে দিল । সবাই হতবাক !! বিল্টু তুই এতক্ষণ কোথায় ছিলে ? বিল্টু কে ধরে সবাই কান্নাকাটি শুরু কিন্তু বিল্টু হেসে গড়াগড়ি...ভুত-পরীরা উড়ে গেল ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
গোবিন্দ বীন বেশ ভাল চমৎকার।। "আমার চলতি সংখ্যায় কবিতা গুলো পড়ার আমন্ত্রণ করে গেলাম। আশা করি আমার পাতায় আসবেন "
ধন্যবাদ Gobindo Bin ভাইকে।
Arif Billah অনবদ্য রচনা। খুব ভাল। শ্রদ্ধা জানবেন।
আরিফ বিল্লাহ ভাই আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
মুহাম্মাদ লুকমান রাকীব বেশ সুন্দর এবং পছন্দনীয় হল। শুভকামনা। "আমার এ সংখ্যায় প্রকাশিত গল্প কবিতা পড়ার জন্য আমন্ত্রণ করে গেলাম। আসলে ধণ্য হব হে প্রিয় কবি বন্ধু।।"
ধন্যবাদ রাকীব ভাই , আসবো ইনশ আল্লাহ।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি ভীষণ ভাল ..... নিজের মতো করে প্রাণ খুলে লেখা যা আশা জাগানিয়া হয়ে আগামীর পথ আলোকিত করবে.....অনেক ধন্যবাদ মালেক ভাইকে......
ধন্যবাদ জ্যোতি ভাই,শুভেচ্ছা রইল।
শাহ্ আলম শেখ শান্ত ভাল লাগল গল্পটি । আমার লেখায় আপনাকে আমন্ত্রণ । আশা করছি আসবেন ।
ধন্যবাদ শান্তভাই , আসবো ইনশ আল্লাহ।
মাহমুদ হাসান পারভেজ দাদু-নাতিদের খুনসুটিপূর্ণ সম্পর্কটা চমৎকার ভাবে বর্ণনা করেছেন এবং সুখপাঠ্যও হয়েছে। ভালো লেগেছে আপনার ধারাবর্ণনা। তবে উত্তম পুরুষে গল্পটির নায়ক ‘আমি’ এর বয়সটা পাঠক হিসেবে অনুমান করতে একটু বেগ পেতে হয়েছে -সম্ভবত বারো কি তেরো বছর বয়সের ছেলে; তাই কি?
মাহমুদ হাসান পারভেজ ভাই ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য। আর আপনি ঠিক ধরেছেন।
ruma hamid অনেক হাসলাম, ধন্যবাদ ।
তাই আপু !! শুভেচ্ছা আপু।
আফরান মোল্লা হাহাহা,খুব ভালো।ভোট এবং শুভকামনা রইল।

০২ জুন - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪