ত্রস্ত হরিণী'র মতো যে নারী কেঁপেছে প্রতিরাত স্বামী সঙ্গমে সে দেখেনি ওই চোখে নিখাঁদ প্রেম, সে পায়নি আবেগী তৃষ্ণায় একফোঁটা শীতল জল ভেসে যেতে পারেনি সে সুখের শীৎকারে কোনোদিন! পতিব্রতা সতী'র দোহাই দিয়ে খুলে নিয়েছো তোমরা তার ইচ্ছার আবরণ শতরঞ্জি বিছায়ে কামনার পেয়ালায় সাজিয়েছো নিজের মনোরঞ্জন!
পৃথিবী'র মসৃণ পথ হাঁটতে পারেনি সে, দেখেনি সোনালী সূর্যের রঙ চাঁদের কণা গায়ে মাখেনি সে, শুনতে পায়নি কখনো বিশাল সমুদ্রের গর্জন আকাশের নীলে ডানা মেলেনি সে, ঝর্নার জলে ভেজায়নি চরণ! সে দেখেছে চারপাশে ভয়ার্ত সব চোখ, শুনেছে কান পেতে দেয়ালের গোপন কান্না জন্ম জন্মান্তর ধরে চলা বিভাজন দেখেছে সে দেখেছে ঘনীভূত হয়ে আসা আঁধারের প্রবল বন্যা!
স্বর্গের লোভ দেখিয়ে যারে করেছো তোমরা “অন্তঃপুরবাসিনী” অথচ প্রতিদিনই নরকের মাঝে তার বসবাস! চিৎকার করে বলে উঠে একদিন, “পোড়াও তোমরা আমায় আরও আগুণের লেলিহান শিখায় আমি সতী হতে চাই! আমি স্বর্গ চাই!” অবহেলার বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তার সকল অন্তর্বেদনা চাপা পড়ে যায় দেয়াল ঘেরা সবুজ শ্যাওলায়! এপাশটায় চিতা জ্বলে, ওপাশের দেয়ালে রঙ তুলির ছোঁয়া লাগে এভাবেই লেখা হয় আবার নতুন কোনো পতিব্রতা সতী'র গল্প!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।