অমসৃণ পথ হেঁটে যেতে যেতে একদিন নিমন্ত্রণ জানিয়েছিল তোকে যে মৃত্তিকা, সে মৃত্তিকার ঘ্রাণ মেখে মেখে প্রজাপতি ডানা মেলেছিস তুই নরোম রোদের উষ্ণতায় দিয়েছি তোকে একআকাশ নির্ভরতা; সাথে উদারতা শেষ বিকেলের অবসরেও ছিল যত ব্যস্ততা! কুহকী পূর্ণিমায় ভেসে যেতিস তুই পরীদের রাজ্যে অথবা ঘুমপাড়ানি মাসি- পিসি এসে বসতো তোর দু'চোখে! মমতার ঝাঁপি খুলে তোকে কি সযত্নেইনা লালন করেছে এই মৃত্তিকা।
আজ এই মৃত্তিকার বুকে উত্তাল হয় একসমুদ্র নোনাজল তোর জাহাজের নোঙ্গর ভিড়েনা এখন এই একলা বন্দরে! এভাবেই থেমে যাবে হয়ত জীবনের যত লেনদেন শূণ্য এই বন্দরের ব্যথা গাঢ় থেকে আরও গাঢ় হবে এক আকাশ বিরহ নিয়ে উড়ে যাবে ডানাভাঙ্গা গাঙচিল তবুও আঁকড়ে ধরে থাকবে এই মৃত্তিকা যত অদেখা মায়া!
কচি দুটি হাত দিয়ে মা'কে যখন “মৃত্তিকা” বলে গলা জড়িয়েছিলি; সেই ছোঁয়াটুকুই আমাকে এখন প্রবোধ দেয়। কোন প্রশ্নের উত্তর চাইনি; কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেও যাইনি ভয় পাচ্ছি এইভেবে, তোর জীবনেও যদি ভাঙ্গনের গান শুনি! ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা, যেন এই বৃদ্ধাশ্রম তোকেও বেলাশেষে নিমন্ত্রণ না পাঠায়!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।