নীহার প্রভাতে শীতল চোখ ছুঁয়ে এক দিন প্রিয়তমা বলেছিল- চাও যদি সখা ভাবনা সন্ধ্যে হবো, এনে দাও শুধু এক মুঠো উচ্ছ্বাস। আমি হন্যে হয়ে খুঁজেছি উচ্ছ্বাস সেদিন থেকে, ধানের শীষে শিশির বিন্দু থেকে মহা সমুদ্রের রৌদ্র চমকিত জলে কখনো পুবের বাঁশ ঝাড়ে রাতের আঁধারে মুঠো মুঠো জোনাকীর ভীরে।
বোধ করি, পৃথিবীও জানে না কতটা উচ্ছ্বাস সে লুকিয়ে রেখেছে বুকে পাহাড়ে - জংলায়, শিরায় উপশিরায়। প্রিয়তমার জন্য এক মুঠো উচ্ছ্বাস খুঁজতে গিয়ে আমি ও উচ্ছ্বসিত ঢের, উতলা আঁধারে, অবাধ জ্যোৎস্নার মায়াবী প্রহরে, জ্যোতিকা চন্দ্রের শিয়রে। এত রুপ - সুধা, ভাস্বর অবিনশ্বর ক্ষুধা, তবুও আহা, এক মুঠো উচ্ছ্বাস, অপালা প্রভাতের নীহারে পলাতক জীবনের যত অবিশ্বাস - দীর্ঘশ্বাস।
শ্রাবণ মেঘের মুক্ত কোলাহলে কি মলিন চন্দ্রের স্নিগ্ধ ছায়ায় - আহা কি উচ্ছ্বাস, অবুঝ প্রিয়তমার বিরামহীন অপেক্ষার শান্ত নির্মল নির্যাস। বহুকাল ধরে সায়ানাইডে ক্ষয়ে যাওয়া হৃদয় আজ বিদায় দিয়েছে কাঁটা দিবাকর, যেন মহাকাল খুঁজে পেয়েছে যৌবনের অমৃত সরোবর।
যদি কখনো স্রোতস্বিনী নদী হয়ে জীবন বাঁধ ভেঙে দেয় বিশ্বাসের - আশ্বাসের - অপরাধের, উচ্ছ্বাস এসে দেয় না ধরা দেয়, বাঁক নেয় না যদি - শুধু যেন ডাকে, এসো, ভুলে যাও বিষাদ উচ্ছ্বাসের প্রলয়ে।
প্রিয়তমার তৃষ্ণার জল হয়ে - যেদিন থেকে আমি অরণ্য - জনাকীর্ণ পৃথিবীর পথে হেঁটেছি উচ্ছ্বাসের সন্ধানে, একটা চড়ুই পাখি আমার সঙ্গী ছিল বহুদিন, সেদিন জেনেছি - পাখিরাও পৃথিবীর সন্তান, ওরা ও আকাশে উড়ে বিমূর্ত সুন্দরের নান্দনিক প্রকাশের তাড়নে।
এর পর বুক জুড়ে কখনোই ছিল না বোধ মহাকাশ বিষাদের, পৃথিবীর বুকে তন্ন তন্ন খুঁজে এনেছি শুধুই এক মুঠো উচ্ছ্বাস প্রিয়তমার তরে। তার তৃপ্ত চপলা হরিণী চোখে অবশেষে দেখেছি এক নয় শুধু - মুঠো মুঠো উচ্ছ্বাস, আমার ক্লান্তি ভোলা বিস্ময় - ভরা উজ্জ্বলন্ত মুখে যে অনুভব, বোধকরি সেটাও উচ্ছ্বাস।।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।