মনোহারী বাংলা

বাংলার রূপ (এপ্রিল ২০১৪)

RAZAUL HAIDER CHOWDHURY
যাহাই আছে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বাংলার আনাচে-কানাচে
সবই হয় রত্ন মোদের মোহনে,
শতত কষ্টেও খুজে পাই বঙ্গজনায় রয়েছে বহিয়ে
সুখ সাচ্ছন্দের লালনে।

সজীব জীবনে কষ্ঠ-শিকস্তি বুকে অস্পটে কান্দুক করুণ বরাহের মত
তথাপি বাংলার সৌন্দর্য উকি দেয় যেন চিম্বুক নতুবা এক সবুজ পাহাড়ে,
তেমনি দিপেন ভরা স্বপ্ন শহর গুলো
দাঁড়িয়ে রয় দিপাবলীর আলোর বাহারে।

কাক ডাকা ভোরে কুয়াশা ঘেরা ভেজা ভেজা শুভ্রতার ছোঁয়ায়
সুন্দর সুন্দর ভাবনার উদয় জাগে,
প্রজ্জলিত রবির কিরণে শাকচিলের কলকাকলিতে
ভরে উঠে নবান্নের প্রান্তর আনন্দ উল্লাসে।

চাঁপাডাঙ্গা কিংবা কাঁঠাল ছায়ায় নতুবা কৃষ্ণচূড়ার লালে মাখা মাধুরে
কিশোর কিশোরীর দৌড়ছুট চড়ুইভাতি
আর নাহয় লাল পায়ী ঘুঙ্গুরের ছন্দতালেরা সাজায় বিনোধ মেলার,
এ যেন প্রেরনার চাদ হয়ে উকিতে ইশারায় ইশারা জানায়
সমুখ পানেয় এগিয়ে যাবার।

মাধুবীলতা ,সন্ধাতারা কিংবা সজন ডালের উদাশীনতায়
মৃদু প্রলেপে প্রশান্তিতে ভরিয়ে ভিঝিয়ে দেয় ভাবুক মনে,
ঐ দূরে ভাসা মুঠো মুঠো গোলাপের সতেজতা কখনো বা
ঐ নীলাকাশের এক ফালি বাঁকা চাঁদের স্নিগ্ধতার ছোঁয়ায়।

খোঁপায় ফুল গুঁজে বটবৃক্ষ ছায়া তলে
রেশ্মীর ঝুনুর ঝুনুর ঘুঙ্ঘুরের নিক্কণ ছন্দ রাগে আর দুপায়ে নূপুর বাজিয়ে
যেন উদাসী বসন্তে অচীন আতি মনোরোমা
ললনার মুখশ্রী ফুটে উঠে বাংলা মাটির পরতে পরতে প্রতিচ্ছবি হয়ে
প্রাকৃতিক নৈশর্গিক চিত্তাকর্ষী সোহাগ বিছানো রূপ লাবণ্য ছড়িয়ে
এক অপরূপ মায়া মমতা আর আদোর মাখা বাহুডোরে
যত্ন লালনে যেন তুমি শুধু মনোহারী বাংলা।
২৫-১২-২০০৯

নিপুণ আশাবহ্নির জয়ভেরি তপস্যায় তন্বীতনয়া মনোহারিনী কে উৎসর্গ ।

বি,দ্র ; লিখটা অন্য ভাবে দেয়া হয়েছিল ইতিপুর্বে
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর ও মনোরম একটি কবিতা ।।
লেখাটা পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ -হায়দার ভালো লেগেছে
রোদের ছায়া খুব ভালো লিখেছেন নিঃসন্দেহে । কিন্তু আমার চোখ কিছু শব্দ আটকাল, সেগুলো সঠিক কিনা বুঝতে পারছি না, আপনি যদি একটু সাহায্য করেন ভালো হয় যেমন - - শতত, কষ্ঠ, চাদ, পানেয় ,উদাশীনতা্‌ রেশ্মীর, আতি।
শুভেচ্ছা জানবেন,এই ক্ষুদ্র মানের মানুষের লেখাটা আপনি পড়েছিলেন এবং মন্তব্য করেছিলেন সাথে কিছু সংশোধণীর কোথাও বলেছিলেন ,,ভালো লাগলো আপনার উপস্থিতি এবং মন্তব্য। আমি এই লেখা দেবার পর হটাৎ করে লিংকটি ভুলে যাই ,,,,,,, অতি বিস্ময়ের ব্যাপার হল আজকে নেটে ঘুর ঘুর করতে করতে এই লিংকটি আমার নজরে আসে ,,অনেক চেষ্টা করে আমার লগ ইন পাস্ ওয়ার্ড এক্টিভ করতে পেরেছি এবং নিচের সংশোধনীগুলো দিলাম ,ভালো থাকবেন , শুভাশীষ নিরন্তর। ধন্যবাদ। -হায়দার। প্যারিস ফ্রান্স। ০৩/১১/২০১৯
সংশোধনী শতত = সতত , কষ্ঠ=কষ্ট-সিকস্তি চাদ =চাঁদ , পানেয় =পানে, উদাশীনতা্‌=উদাসীনতা, রেশ্মীর=রেশমীর বা রেশমী চুড়ীর, আতি =আতিথেয়তা বা আতিথ্য অর্থে ব্যবহার করলাম শব্দটি ।
আপেল মাহমুদ মন্তব্য করার সাহস পেলাম না! তবুও বলতে ইচ্ছে করছে - অসাধারন।
লেখাটা পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ -হায়দার ভালো লেগেছে
ওসমান সজীব চাঁপাডাঙ্গা কিংবা কাঁঠাল ছায়ায় নতুবা কৃষ্ণচূড়ার লালে মাখা মাধুরে কিশোর কিশোরীর দৌড়ছুট চড়ুইভাতি আর নাহয় লাল পায়ী ঘুঙ্গুরের ছন্দতালেরা সাজায় বিনোধ মেলার, এ যেন প্রেরনার চাদ হয়ে উকিতে ইশারায় ইশারা জানায় সমুখ পানেয় এগিয়ে যাবার।খুব সুন্দর কবিতা
মোঃ মহিউদ্দীন সান্‌তু মাধুবীলতা ,সন্ধাতারা কিংবা সজন ডালের উদাশীনতায় মৃদু প্রলেপে প্রশান্তিতে ভরিয়ে ভিঝিয়ে দেয় ভাবুক মনে, ঐ দূরে ভাসা মুঠো মুঠো গোলাপের সতেজতা কখনো বা ঐ নীলাকাশের এক ফালি বাঁকা চাঁদের স্নিগ্ধতার ছোঁয়ায়। চমৎকার লিখেছেন শ্রদ্ধেয় কবি, পুরো কবিতা জুড়েই মুগ্ধতা, খুবভালো লাগলো কবিতাটি, অনেক অনেক শুভকামনা।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু প্রজ্জলিত রবির কিরণে শাকচিলের কলকাকলিতে ভরে উঠে নবান্নের প্রান্তর আনন্দ উল্লাসে। চমৎকার লিখেছেন। শ্রদ্ধা জানবেন।
এই থ্রেডে আপনাকে দেখে ভালই লাগছে, লেখাটা পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন আপনাকে অনেক ধন্যবাদ -হায়দার
মিলন বনিক উৎসর্গটা চমৎকার...মনের মাধুরী মিশিয়ে কবিতার পূর্ণতা দিয়েছেন..খুব ভালো লাগলো
লেখাটা পড়ার জন্য এবং মন্তব্য করেছেন পেলাম যেন অনুপ্রেরনা থাকল অশেষ ধন্যবাদ। -হায়দার
কবিরুল ইসলাম কঙ্ক এক অপরূপ মায়া মমতা আর আদোর মাখা বাহুডোরে যত্ন লালনে যেন তুমি শুধু মনোহারী বাংলা। ---- ভালো লাগলো....শুভ কামনা...
এই ক্ষুদ লেখাটা নজরে পড়ল এবং ভাল লাগল লিখ্লেন।।অপুরন্ত ভাল লাগল আমার শুভেচ্ছা জানবেন ! -হায়দার
গুণটানা নৌকা পড়ে মজা পেলাম । কবির জন্য একরাশ শুভকামনা রেখে গেলাম ।
ভাল লাগল আপনাদের উপস্থিতি । আপনাদের দেয়া উৎসাহ উদ্দিপনা আমাকে অনুপ্রেরনা যোগাবে ... আশীর্বাদ প্রার্থী হয়ে থাকলাম । -হায়দার

১৯ ফেব্রুয়ারী - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪