একটি জোছনা রাতের গল্প

রাত (মে ২০১৪)

এ. এস. এম. ফারহান
  • ১১
দিনটি ছিল মঙ্গলবার। সময়ের হিসাবে প্রায় মাঝরাত তখন। নিজ বাড়ির ছাদে বসা সীমান্ত মুগ্ধ দৃষ্টিতে আকাশ দেখছে। মায়াবী চাঁদটা সেদিন যেন পণ করেছিল, অপূর্ব জোছনা সৃষ্টি করে সীমান্তকে বাকহারা করে ছাড়বে! শতভাগ সফল চাঁদ তাকে শুধু বাকহারাই করে দিল না; বরং সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধেও বাধ্য করল। তিনি মানুষ হিসেবে সৃষ্টি করেছেন বলেই না এই নয়নাভিরাম দৃশ্যের অপূর্ব মুহূর্ত প্রাণ ভরে উপভোগ করতে পারছে সে। সবকিছুর পরও মনে হচ্ছিল, কোথাও যেন কি একটা নেই! ক্ষণিক ভেবে সীমান্ত আবিষ্কার করল, অভাব ছিল প্রিয় মানুষের তথা প্রেয়সীর। আপনমনেই হেসে উঠল সে। জীবনের ২১টি বসন্ত পার করার পর আজ পর্যন্ত তার ফেসবুক রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস ‘সিঙ্গেল’। অথচ বন্ধুমহলে বান্ধবীর সংখ্যা তারই সবচেয়ে বেশি। কোনো মেয়ে জীবনে আসতে চায়নি তাও নয়; বরং সে-ই অনেকের বাড়ানো হাত ফিরিয়ে দিয়েছে। অথচ আজ কি না এই মায়াবী জোছনা রাত তাকে নিঃসঙ্গতার বাঁধনে জড়িয়ে দিচ্ছে? এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ করে মুঠোফোনটা বেজে উঠল সীমান্তের, দেখে অপরিচিত নম্বর। অপরপ্রান্ত থেকে নারীকণ্ঠ ভেসে আসায় বেশ অবাক হল ও। কথায় কথায় জানতে পারল, নিঃসঙ্গতায় আক্রান্ত ওর সেই শুভাকাঙ্ক্ষীটি সে জোছনা রাতের কিছুটা সময় ওর সাথে কথা বলে কাটাতে চায়। নির্দ্বিধায় রাজি হল সীমান্ত। সেই রাতটি কথা বলে চাঁদ দেখেই পার করে দিল সে। হয়তো এটাই ওর নিয়তি। নিজে একা থেকে অন্যের একাকীত্ব দূর করা। তবে সেই জোছনা রাতে মনের কোণে জেগে ওঠা প্রশ্নটা আজও সীমান্তকে ভাবায়—‘তবে কি কোনোদিন সে তার স্বপ্নকন্যার দেখা পাবে না...?’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ইব্রাহিম খলিল আমিদ অতি তারাতারি শেষ হয়ে গেল। তবে অতি কম শব্দে তৈরি করা সৃষ্টি অনুগল্পটি আসলেই মুগ্ধকর।
আখতারুজ্জামান সোহাগ দারুণ এক অণুগল্প। মুগ্ধতা জানিয়ে গেলাম।
Gazi Nishad অশেষ ভালোলাগা।
আপেল মাহমুদ কল্পনাটা স্বপ্নর মতই সুন্দর।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু রাত, চাঁদ, অজ্ঞাত স্বপ্নকন্যাকে নিয়ে চমৎকার লিখেছেন। খুব ভাল লাগল। শ্রদ্ধা জানবেন।
dilipkumar bandyopadhyay অন্য রকম স্বাদ।
এফ, আই , জুয়েল # বেশ ভালো । অন্যরকম একটি লেখা ।।
ধন্যবাদ। আপনার মন্তব্যের জন্য।

০৫ ফেব্রুয়ারী - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ১ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী