কাজের ছেলে

দীপঙ্কর বেরা
১৩ জুলাই,২০১৪

গোপলা খুব করিৎকর্মা বলে পাড়ায় না ডাক আছে । উৎসব অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে শ্মশানযাত্রা সবেতেই তাকে পাওয়া যায় । ডাকতে পর্যন্ত হয় না । শুধু খবর পেলেই হল । 

পড়াশুনা যতটুকু করেছে তাতেই চালিয়ে নেয় । খুব অসুবিধা হয় না । এক ডিপোতে মহাজনের কাছে কাজ করে । মহাজনও জানে এর উপর ভরসা করে সব কিছু ছেড়ে দেওয়া যায় । আবার কোথাও কোন খবর পেলে এখুনি সব বন্ধ করে চলে যাবে । তাই আর একজনকেও পাশে রেখেছে । সে শুধু থাকে কিছু করে না । 

এ রকম একদিন বাস রাস্তায় অ্যাক্সিডেন্টের জন্য সারাটা দুপুর কাজ করল । ঘরে মা খাওয়ার নিয়ে অপেক্ষা করে পেল সেই রাতে । জিজ্ঞেস করার দরকার হল না । 

সেই গোপলার মা এক মাঝরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ল । গ্রামে গাড়ি পাওয়া মুশকিল । দাদাও নেই । পাড়ার লোক ডাকল অনেকেই বলল -ও গ্যাসের জন্য হচ্ছে । অম্বলের ট্যাবলেট খাইয়ে রাখ । সকালে দেখা যাবে । 

কিন্তু আরো শরীর খারাপ হওয়ায় মাকে প্রায় কোলে করে ডাক্তারখানায় নিয়ে গিয়েছিল । তিনদিন পরে সারিয়ে এনেছিল । এ কথা সকলের মুখে মুখে ঘোরে । 

এখনও গ্রামে গোপলা ঝাঁপিয়ে পড়ে আর গোপলাকে আলাদা করে চেনাতে শেখায় । 

                       -০-০-০- 

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সুগত সরকার আজ পৃথিবীতে গোপলার ভীষণ অভাব। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ঘরে ঘরে গোপলা জন্মাক।

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i