আসুন রাজচক্র ভেদ করি

জাহাঙ্গীর অরুণ
৩০ ডিসেম্বর,২০১২

খুব স্বাভাবিক একটি চিত্র আপনার সামনে তুলে ধরছি। পাড়ার হোটেলের সামনে দিয়ে হয়ত হেঁটে যাচ্ছেন সকাল বেলা। হোটেলের সামনের অংশে রাস্তার পাশে একটা টেবিলের উপর কতগুলো পরটা রাখা। এর পাশেই বিশার তাওয়ায় ডিম ভাজা হচ্ছে। এই দৃশ্যের সামান্য পরিবর্তণ হয় সন্ধায়। রাস্তার পাশের টেবিলে একটা বড় ডিশে থাকে পুড়ি। আর তার পাশেই তাওয়ায় ভাজা হয় মুগলাই। এই পরিচিত দৃশ্য দেখে একবারওকি আপনার মনে এর পাশাপাশি চিত্রটা ভেসে ওঠে না? রাস্তার ধূলা-বালি, রোগ-জীবানু, কফ-কাশির ছিটা এইসব নিত্য নিয়মিত পড়ছে এই রাস্তার পাশে রাখা খোলা পুড়ি বা পরটার উপর। রাস্তার পাশে যেখানে পুড়ি, পরটা রাখা হয় সেখানে একটি সাদা কাগজ রেখে দশ মিনিট পরে যদি খেয়াল করে দেখেন তাহলেই টের পাবেন কী পরিমন ধূল-বালি জমা হয়। আর এই খাদ্য আমরা খাচ্ছি প্রতিনিয়ত। হোটেলে খাওয়া নিয়ে মানুষকে আমি হোটেলের তেলের কোয়ালিটি নিয়ে কথা বলতে শুনেছি। কিন্তু এরচাইতেও ভয়াবহ ব্যাপারটা অনেকেই খেয়াল করছেন না। এ নিয়ে হোটেল মালিকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে খাওয়ার আইটেম সামনে না রাখলে বিক্রি কম হয়। কথা সত্য, আমিও একমত। খাওয়ার উদ্দেশ্য না থাকলেও মজার খাওয়া সামনে দেখার পর অনেকেই খেতে বসেন হোটেলে। তো ঘটনা কী দাড়াচ্ছে? হোটেলের ভিতরে ঢাকা অবস্থায় খাদ্য থাকলে ক্রেতা কমে যাচ্ছে। আর খোলা অবস্থায় রাস্তার পাশে থাকলে অসাস্থ্যকর হয়ে যাচ্ছে। এই রাজচক্র কিভাবে ভেদ করা যায়?

এই রাজচক্র কিন্তু আমরা অলরেডি ভেদ করে ফেলেছি! তবে খাবার হোটেলে নয়, মোবাইল দোকানে। মোবাইল দোকানে সারিসরি যত মোবাইল ডিসপ্লেতে সাজানো দেখেন এর প্রায় সবই কিন্তু ডামি বা রেপ্লিকা। স্বাস্থ্যই যদি সব সুখের মূল হয়ে থাকে তাহলে খাদ্যগ্রহণও হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত। হোটেলের খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত করতে আমরা কি পারিনা পুড়ি, পরটা এইসবের রেপ্লিকা ব্যাবহার করতে? আমাদের দেশেই এখন প্লাস্টিকের তৈরী অনেক ভালো ভালো জিনিস পাওয়া যায়। প্লাস্টিক কম্পানীগুলো চাইলেই ডিস ভর্তি পুড়ি, পেয়াজু, মোগলাই এইসব এর ডামি বানাতে পারবে। এর পর যা দরকার তা হলো হোটেল মালিকের একটু সৎ মানসিকতা। প্লাস্টিক কোম্পানী এবং হোটেল ব্যাবসায়ী এই দুই পেশার ভাইদের আমি অনুরোধ করছি, আসুন আপনাদের সামাজিক দায়বদ্ধতায়। এতে আপনাদের আর্থিক লাভও হবে। প্লাস্টিকি কম্পানীর লাভ হবে রেপ্লিকা বিক্রি করে। আর হোটেল মালিকের লাভ হবে, আপনার হোটেলের পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত তা সবাই জানবে তাই আপনার ব্যাবসারও উন্নতি হবে। কেউ কেউ হয়ত বলবেন যে, কাঁচ দিয়ে খাওয়া কিছু কিছু হোটেলে ঢাকা থাকে। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখুন ঘূর্ণায়মান ধুলার কুন্ডলীর হাত থেকে এই কাঁচের  হালকা বেড়াও কিছুই নয়। কেন জানিনা আমার বিশ্বাস, এই খোলা ধূলামাখা খাবারের স্বাস্থ্যসম্মত একটা সমাধান খুব শিঘ্রই হবে। আমি অদূর সেই ভবিষ্যতের আশায় বসে রইলাম।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
রোদের ছায়া (select 198766*667891 from DUAL) এই সব খেয়ে তো বেশ ভালই আছি (যদিও খুব কম খাই হোটেলের খাবার ), আপনার মত আমিও আশায় বসে রইলাম ....

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "পরগাছা”
কবিতার বিষয় "পরগাছা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ জুলাই,২০২৫

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

মে ২০২৫ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i