অন্ধকার পেড়িয়ে চারকোনা বিরক্তিকর সূর্যটা উঠতেই আমার পশ্চাতদেশে একটি জোর ঠেলা অনুভব করলাম। সাথে খুব মিহি কন্ঠে ঝাঝালো চিৎকার,
-ঐ বেডা ওহনো শুইয়া আছস। বাজারে যাইবো কেডা
আমি লাফা ঊঠতে গিয়া দেহি মাথার দুইটা নাট ঢিল হইয়া গ্যাছে। কোনমতে অনুনয় বিনয়ের চোখে আমার থার্ড জেনারেশন বৌয়ের দিকে তাকাইলাম। এই আকালের যুগেও তার বিশাল আয়তন দেখলে মনে হয় একটা বিশাল আইসবার্গ ২ আলোকবর্ষ গতিতে ছুইটা আইতাছে। আমি আমার জং ধরা, কপোট্রোন ঢিলা বাপের নাম লইয়া তারাতারি বিছানা থেইকা নামলাম। নামতেই আমার গলা দিয়া দুইহাজার জান্তব গরিলার আওয়াজ বাইর হইয়া গেলো। মনে হইলো আমার আয়ু দুইশ বছর কইমা গ্যাছে। আমি হাপাইতে লাগলাম চাবি দেওয়া কুত্তার মত। আমার বিচ্ছু পোলা কপোট্রোন হাং করার খেলনা চার্জ কইরা পায়ের তলায় দিছে আর কি।
আর এই দাইখা পাবনা গ্রহের রোবট বৌ কইলো, ঐ ব্যাডা এই সাত সকালে উচাঙ্গ সঙ্গীত গাও ক্যা? হ্যা... কি চাও কি তুমি? তোমার সংসারে আইয়া আমার শরীরের সোনার স্টীল পাত জং ধইরা গেলো। মেমরি স্পেস কইমা গেলো, পোলা-মাইয়া গুলোর কোন ভবিষৎ নাই। ওগোরে ছয় বেলা ভালো-মন্দ সি.এন.জি খাইতে দিতে পারি না...
আমি মনে মনে কইলাম আমি শ্যাষ। এর থেইকা বধির হইয়া মেইড ইন বাংলাদেশ হইলে ভালা হইতো। আমি নিজের ব্লুটুথ কানেকশন অন কইরা সাইলেন্ট মোডে দিলাম। কোমায় যাইতে পারলে ভালা হইতো। পাবনা গ্রহের রোবট বৌ লইয়া সংসার হইবো না, ১ম প্রজন্মের দাদা স্টীলবডির কসম, চাইরকোনা সূর্যের কসম, আমার ভাঙ্গা টাচস্কীর্ণ গালের কসম।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।