বুকের পাঁজরে দিচ্ছে আঁচড় আজ
মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা সেই স্বপ্ন!
পোড়ামাটির এই বদ্ধ কুঠির ছেড়ে বেড়িয়ে
পড়তে হবে অজানা পথের খোঁজে,
হাড়িয়ে যেতে হবে অচেনা শত ফুলের সৌরভে,
সীমাহীন স্বাধীনতার অপার গৌরবে।
জেলখানার বন্দী কয়েদীর মত জানালার গ্রিল চিরে তাকিয়ে থাকা আর নয়!
এক ঝাঁক স্বাধীন পাখীর মিছিলে দেব উড়াল নীল আকাশের ওই মুক্তো সীমানায়,
জানিনা কোথায় আমার চলার শেষ বাঁক,কোথায় সেই কাঙ্ক্ষিত পথের ঠিকানা।
তবুও আমি হাঁটব সীমান্তের রেখা ধরে,নিয়ে উল্লাসিত সরব প্রাণ,
তবুও আমি নিঃশ্বাসে নেবো টেনে এক মুঠো সজীব সবুজ ঘ্রাণ ।
বেড়িয়ে পড়ব এক থোকা চমকিত শিশির বিন্দুর সন্ধানে,
মিশে যাব পাহাড় কোলের ঝর্ণা ধারার কম্পিত সুরেলা গানে।
জানি আমার মনের দেয়াল জুড়ে বেয়ে উঠবে,না পাওয়ার হতাশা
আমার সুখ গুলো হয়ে যাবে আলোহীন নিষ্প্রভ খসে পড়া তারা,
তবুও আমি ফিরে দেখব না আমার চির চেনা সেই উপত্যকা
মেলাব না হিসেব ফেলে আসা দিনের প্রিয় সব চাওয়া পাওয়া।
ধেয়ে আসা হিংস্র হাঙরের দাঁত করুক আমায় ছিন্ন ভিন্ন!
উথলে ওঠা কর্কশ সমুদ্র ঢেউ করুক আমায় লণ্ড ভণ্ড!
কিছুতেই আজ, আমি না থামব
ভাঙব সকল, বাধার শিকল ভাঙব!
উপড়ে ফেলবো মাটিতে সেঁধিয়ে থাকা সব পায়ের শিকড়!
উড়িয়ে দেব চোখের সামনে জমে থাকা কালো মেঘের চাঁদর,
খুলে ফেলবো মায়া মমতার পরশে জড়ানো ভালবাসার আদর,
জানি সোনালী আলোয় উদ্ভাসিত হবেই আমার আপন সাগর,
জানি ফেরারি হবার নিঃসঙ্গতায় আমি কভু হবোনা কাঁতর !
তাইতো উঠেছে তুফান হৃদয় গহীনে,দিচ্ছে ভীষণ গর্জন!
ভাসিয়ে দেবে,উড়িয়ে নেবে এই মাতাল সাইক্লোন!
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।