কেমন ছড়াও তুমি, ছড়িয়ে পড়ো – নিঃশব্দ নিস্তরঙ্গ
দিগ্বিদিক ডানেবাঁয়ে উপরে ও নিচে
শুষ্ক ধবল মেঘের মঞ্জরিতে – বৃক্ষ ও পল্লবে।
ফিঙ্গের লেজে শিহরিত হও মৃদুমন্দ হাওয়ায়
জোড়াশালিকের চঞ্চুতে বসে খুটখুট চুম্বন।
উদ্ভ্রান্ত খুঁজি আমি তোমাকে ঊষার আঁচল ফুঁড়ে
কাঁঠালচাঁপার হলুদে আর দূর্বাডগার শিশিরে
ঘুমভাঙ্গাপথে আর ঘন সবুজের বনে – কীযে সুরভি!
কবোষ্ণ রবি সুরমা আঁকে তোমার চোখে
এবং আমার। সম্মুখে মৃদুমন্দা তুরাগ –
এসে গেছি তবে, প্রতিদিন আসি, অলক্ষ্য টানে
ছোঁব জল, এখুনি ছুটবো জলে, এখুনি মৃদুতরঙ্গ।
বুঝিনা আমি, তুমিও বৃথা খোঁজো মানে
কেন রই বসে মুখোমুখি অপলক চোখ, হাতে হাত -
টুপ করে নামে মাছরাঙ্গা পাখি, ছিটায় ডানার জল।
ভর কোরে ঠোঁটে অস্ফুট কথা আর্দ্র কম্পন
কিছু নেই নেবার, দেবারইবা কী – তবুও তুমি
তবুও আমি রচনা করি সোনালি-রুপালি প্রত্যুষ
মিলে যায় হাওয়ায় মিশে যায় আকাশে আর্ত আকুতি
যুথবদ্ধ শ্বাস লিখে রাখে সময়ের আনন্দগাথা।
২৫ ডিসেম্বর ২০১৭
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।