আজ প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আবুল ফজলের ১১১তম জন্মদিন

প্রসেসসর
০১ জুলাই,২০১৪

আবুল ফজল

বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ আবুল ফজলের জন্ম ১৯০৩ সালের পয়লা জুলাই, চট্টগ্রামের কেঁওচিয়ায়। তার পিতা মৌলভি ফজলুর রহমান ছিলেন চট্টগ্রাম জুমা মসজিদের ইমাম। আবুল ফজলের লেখাপড়ার শুরু গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। কিছুকাল পরে বাবার সঙ্গে চলে আসেন চট্টগ্রাম শহরে এবং চট্টগ্রাম সরকারি মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন।১৯২৩ সালে ম্যাট্রিক পাস করেন। ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন ১৯২৫ সালে।ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৮ সালে বি.এ. এব ১৯৪০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এম.এ. পাশ করেন। এ ছাড়া, তিনি ১৯৩১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বি.টি. পাশ করেন। আবুল ফজল বিভিন্ন সময় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি ভারতেরপশ্চিমবঙ্গের কৃঞ্চনগর কলেজ ও চট্টগ্রাম কলেজিয়েট কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। ১৯৫৬সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে অধ্যাপক হিসেবে অবসর নেন।দীর্ঘকাল পরে, ১৯৭৩ সালে তিনিচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবেযোগ দেন। ১৯৭৫ সালের নভেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টাপরিষদের সদস্য হিসেবে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেন এবং ১৯৭৭সালের ২৩শে জুন সে-পদ ত্যাগ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ঢাকার 'মুসলিম সাহিত্য সমাজ' প্রতিষ্ঠার সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি এর সম্পাদকও হয়েছিলেন। মুসলিম সাহিত্য সমাজের উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক কুসংস্কার থেকে মানুষকে মুক্ত করা। তাদের সামাজিক আন্দোলনের মূলকথা ছিল: 'জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব'। আবুল ফজল সমাজসচেতন লেখক হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। তার লেখায় উঠে এসেছে স্বদেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িকতা, সত্যনিষ্ঠা এবং মানবতাবোধ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বাঙালি সংস্কৃতি এবং বাঙালি জাতির প্রতি তার ছিল গভীর অনুরাগ ও মমত্ববোধ। ১৯৬৭ সালে তত্কালীন পাকিস্তান সরকার যখন রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যমে রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন, তখন তিনি তার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। আবুল ফজল উপন্যাস, ছোটগল্প, নাটক, আত্মকথা, ধর্ম, ভ্রমণকাহিনী ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লিখেছেন। তার প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ হচ্ছে: চৌচির, প্রদীপ ও পতঙ্গ, মাটির পৃথিবী, বিচিত্র কথা, রাঙ্গা প্রভাত, রেখাচিত্র, দুর্দিনের দিনলিপি, সফরনামা, আয়েশা, আবুল ফজলের শ্রেষ্ঠ গল্প, সাহিত্য সংস্কৃতি ও জীবন, সমকালীন চিন্তা ইত্যাদি। আবুল ফজল বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে অবদানের জন্য বহু পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। তিনি ১৯৬২ সালে বাংলা একাডেমী পুরস্কার, ১৯৬৩ সালে প্রেসিডেন্টের সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৬৬ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার, ১৯৮০ সালে নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, ১৯৮১ সালে মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৮২ সালে আবদুল হাই সাহিত্য পদকে ভূষিত হন। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। এ ছাড়া, বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০১২ সালের মরনোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করে। ১৯৮৩ সালের ৪ঠা মে বাংলাদেশের এই সাহিত্য প্রতিভা চট্টগ্রামে মৃত্যুবরণ করেন। (তথ্যসূত্র: বাংলাপিডিয়া ও ইন্টারনেট)

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i