কখনো কখনো আমরা 'কালো'কে সঠিকভাবে বোঝাতে বলে থাকি 'কাকের মতো কালো, কুচকুচে কালো'। কথাটা আমরা মূলত নঞর্থক অর্থেই বলে থাকি। তেমনি কাকের এই কালোকেও নঞর্থকভাবে প্রকাশেও আমরা কোনরকম দ্বিধা করি না। কারণ কাককে সাধারণত শুভ কোন কিছুর প্রতীক হিসেবে তুলনা করা হয় না। কাককে পরশ্রীকাতর হিসেবেই বরং দেখানো হয় অনেক সময়ই।
তেমনই এক পরশ্রীকাতর কাকের চোখে পড়লো তুষার শুভ্র পালকের চোখ ধাঁধাঁনো এক রাজহাঁসকে। রাজহাঁসকে দেখে তার সৌন্দর্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে ভাবতে লাগলো নিজেও কেমন করে সেই সৌন্দর্য ধারণ করতে পারে। তাই নিয়ে ভাবতে ভাবতে একটা বুদ্ধি সে আবিষ্কার করলো। ভাবলো যদি সে রাজহাঁসের মতো সারাদিন জলকেলিতে মত্ত থাকে এবং জলজ শৈবাল, উদ্ভিদ খায় তবে নিশ্চয়ই সে নিজেও তেমন তুষার শুভ্র পালকের অধিকারী হবে।
যেই ভাবা সেই কাজ।
বোকা কাক জঙ্গলে নিজের আরামের বাসা পরিত্যাগ করল। জঙ্গল থেকে জলাভূমিতে উড়ে এলো স্থায়ীভাবে বসবাসের ভাবনা থেকে। কিন্তু ভাগ্যের কী পরিহাস! সারাদিন ধরে জলে নিজেকে ভিজিয়ে, চুবিয়েও কোন কাজ হলো না। কালো সেই কালোই রয়ে গেল। ক্ষুধার্ত কাকের জলজ আগাছা, শৈবালে রুচি হলো না। যে মরা, ময়লা খেয়ে অভ্যস্থ সে জলজ আগাছা, শৈবাল কেমন করে খাবে! না খেতে পেয়ে অভুক্ত থেকে সে দূর্বল থেকে দূর্বলতর হতে লাগলো। এমন করে একসময় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো।
হায় কাক ! এ জনমে মিটিলো না সাধ!
মোরাল: পোশাক পাল্টালেও তুমি একই মানুষ রয়ে যাবে।
A Raven And A Swan
by Aesop অবলম্বনে আমার মতো করে লিখলাম।
বি.দ্র: আমার প্রথম সাহিত্য ব্লগ
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।