তাদের কৃতিত্ব তোমরা করনা কেন স্বীকার!
তবুও কেন বল এ সম্পদ, গড়া আমার।
একবার কি দেখেছো ভেবে?
এ সম্পদ হলো তোমার কীভাবে?

বলেছিলে তুমি আসবে
সেইতো এক কোটি দুপুর আমার রৌদ্রে পুড়ে;

বলেছিলে তুমি আসবে
সেইতো আমার ভ্রষ্ঠ নেত্র বার বার
মুর্ছিত হয়েও অমরত্বের আনন্দে নৃত্য করে।

নীলা, পাশের বাড়ির নীল সাগরের ঢেউ
ফেলল ছুঁড়ে ভেংচিঠোঁটে
আকাশভরা খাম –
রঙটি ছিল নীল।

টাইটান! টাইটান!
গ্রীসের ধুলোয় বিলীন মূর্তি, জলতোড়ে সম্মান!
ক্যাপ্টেন, দ্যাখ নিশীথ সাগরে হিমের জলস্নান
কিশতী ভাঙছে, কিশতী ভাঙছে হেলে।

হায় সমাজ! হায় সম্রাজ্য !
নিথর দেহে ভরে গেছে মানবতার মাঠ।
বড় বড় বলে রোজ, রুদ্ধ করি কপাট।
নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করি আবার,
জেদ করে গড়িনিতো নিজেই, নিজের মাঝে ইবলিসের অবতার?

অন্তরালে বেড়ে ওঠে
ঈর্ষার মহীরুহ ।
ঝড়ো দমকায় -
উড়ে যায়
পুড়ে যায়
লোনা ঘাম হয়ে
ঝরে যায়-

প্রাচীন যুগের রাজার রাজা
রাজ্য আছে, প্রজা আছে
আছে অনেক সস্পদ
তাই তো তাদের ছিল অনেক
হৃদয় ভরা দ্ম্ভ ।

আগুন দিনে স্বপ্নাতুর চোখে
মেঘখেয়া দেখেও ভেবে নেয়া
আর কোনদিন বৃষ্টি হবে না।
চলে যাক আষাঢ় চলে যাক শ্রাবণ
ফেলে যাক উচ্ছ্বিষ্ট বর্ষাকে,

কঠিন এ পৃথিবী যেখানে,
কেউ কাঁদে, কেউ বা আবার হাসে,
কেউ আবার অন্যকে কাঁদিয়ে
অহংকারের ভেলায় ভাসে।

আয় ছুটে আয় মৃত্যু খাঁচায় জীবন করিবো দান,
ছিনিয়া আনিব বাংলার মায়ের অতিতের সম্মান।
হাজার দুখ আর কষ্ট যদি নিতে হয় আমি নিব,
তবুও সুখের সুখফল আমি বাংলা মায়েরে দিব।