ক্ষণিকের প্রতিচ্ছবিতে এ ফুল-শয্যা মাতোয়ারা,
সুগন্ধবিহীন সে অবহেলার পাত্র বটে...

আহা! কি স্নিগ্ধই না ছিলাম একদা,
আয়নায় তাকিয়ে মুগ্ধ হওয়ার ক্ষণগুলো সেই
হারিয়ে খুঁজি ফের!

অস্থির সময় অস্থির দেশ
অস্থির চারপাশ
মানুষ জন ভীত হয়ে
নির্মম নিষ্ঠুর চাপা কষ্টে
হাহাকার দিকবিদিক ছুটছে
পড়িমরি ছোটাছুটি কান্নার রব

পরখ করতে চাও? করো তবে
এ'বেলায় তোমায় জাগাবো না আর!
চিরতার বীজ বুনে দিয়ে যেও
সবুজ উর্বর জমিতে
তিক্ত স্বাদে স্বাদে বুঝে নেবো আমি
ভালবাসা আহ্ সে যে কি অমৃত!

তাদের কৃতিত্ব তোমরা করনা কেন স্বীকার!
তবুও কেন বল এ সম্পদ, গড়া আমার।
একবার কি দেখেছো ভেবে?
এ সম্পদ হলো তোমার কীভাবে?

আগল তুলে রেখে ছিলাম
ফিরবে যে কোনো দিন-দূর্নিবার আকর্ষণে,
দুবাহু জড়িয়ে অবুঝের মতো বলবে,
'অমিয় তুমি আমায় ক্ষমা করো-আমি অনেক দেরী করে ফেললাম' ।

দাউ দাউ করে জ্বলছে যে আগুন
দেখেছো কি তার দম্ভ?
পরিণামে সে
পাচ্ছে যে ছাই
হোক গিয়ে যতো লাগুক সে
মিষ্টি ফাগুনেও

নীলা, পাশের বাড়ির নীল সাগরের ঢেউ
ফেলল ছুঁড়ে ভেংচিঠোঁটে
আকাশভরা খাম –
রঙটি ছিল নীল।

টাইটান! টাইটান!
গ্রীসের ধুলোয় বিলীন মূর্তি, জলতোড়ে সম্মান!
ক্যাপ্টেন, দ্যাখ নিশীথ সাগরে হিমের জলস্নান
কিশতী ভাঙছে, কিশতী ভাঙছে হেলে।

ক্ষুধা মুক্ত পৃথিবী গড়তে, রাষ্ট্র , সমাজ, শহর হতে
অস্ত্রের ধা-মা-মা লাগেনা , লাগে কি ?
চোখের দেখা একটি হাত দাও তুমি বারিয়ে
লক্ষ পেটের ক্ষুধা বন্ধ হবে…