বলেছিলে তুমি আসবে
সেইতো এক কোটি দুপুর আমার রৌদ্রে পুড়ে;

বলেছিলে তুমি আসবে
সেইতো আমার ভ্রষ্ঠ নেত্র বার বার
মুর্ছিত হয়েও অমরত্বের আনন্দে নৃত্য করে।

হুম আমার বেজায় দম্ভ,
কেন জানো?
কারণ শিশু বয়সে চাইনি আমি
কোন কাপুরুষের চটকানি।
হুম আমার বেজায় দম্ভ,
কেন জানো?
চাইনি আমি প্রেমিক সেজে কোন পুরুষ
আমার গায়ে না ঢালে তার চুলকানি।

মানুষ হয়ে জন্ম নিলে ভালো কাজের তরে,
আবার আমরা চলে যাবো কাজ ফুরালে নীড়ে।
খালি হাতে এসেছিলে
খালি হাতে যাবে,
কেন মানুষ দম্ভ করে এই দুনিয়ায় তবে।

অবসাদপূর্ণ ক্লান্ত শরীর-
চলছে নীরব-বিচ্ছিন্ন ভাবে
সারাদিন সারারাত...
দৃপ্ত প্রত্যয় দৃঢ় কন্ঠে
চলতাম পথ এতদিন
সুন্দরের খোঁজে-

নীলা, পাশের বাড়ির নীল সাগরের ঢেউ
ফেলল ছুঁড়ে ভেংচিঠোঁটে
আকাশভরা খাম –
রঙটি ছিল নীল।

বদ্ধ ঘরে রুদ্ধ জীবন,
আঁধারের ক্রীতদাস।
খুঁজে পেলো আজি উত্তর মন,
নিয়তিরই উপহাস।

আয় ছুটে আয় মৃত্যু খাঁচায় জীবন করিবো দান,
ছিনিয়া আনিব বাংলার মায়ের অতিতের সম্মান।
হাজার দুখ আর কষ্ট যদি নিতে হয় আমি নিব,
তবুও সুখের সুখফল আমি বাংলা মায়েরে দিব।

অন্তরালে বেড়ে ওঠে
ঈর্ষার মহীরুহ ।
ঝড়ো দমকায় -
উড়ে যায়
পুড়ে যায়
লোনা ঘাম হয়ে
ঝরে যায়-

আগুন দিনে স্বপ্নাতুর চোখে
মেঘখেয়া দেখেও ভেবে নেয়া
আর কোনদিন বৃষ্টি হবে না।
চলে যাক আষাঢ় চলে যাক শ্রাবণ
ফেলে যাক উচ্ছ্বিষ্ট বর্ষাকে,

পরখ করতে চাও? করো তবে
এ'বেলায় তোমায় জাগাবো না আর!
চিরতার বীজ বুনে দিয়ে যেও
সবুজ উর্বর জমিতে
তিক্ত স্বাদে স্বাদে বুঝে নেবো আমি
ভালবাসা আহ্ সে যে কি অমৃত!