জমকালো অন্ধকার রাতে
হেটে চলছি একা,গাঁয়ের পথে
হঠাৎ বিহঙ্গের ডানা ঝাপটা শব্দে
উঠেছি কেঁপে ।

মনের অজান্তে
হৃদয়ের এক কোণে
জমেছে এক ফোঁটা শিশির বিন্দু,
আঁকড়ে ধরতে
মন চায় সর্বক্ষণ
ভয় হয় যদি সে হারায়।

আমি ব্যাচেলার, সখ-আরবরি কালচার,
সাধ-জীবনে একটা সাজানো বাগান হবে রঙিন,
তোমার আছে জৈব রসায়ন সমৃদ্ধ হিউমাস উর্বর জমিন
সেখানে গোলাপ লাগাতে চাই, দেবে কী?

কেরোসিনের কৌটা হাতে নিয়ে নিলুফার সেই এক কথা-
‘খালা, অল্পেকটু দেন, কাল দিয়ে দিবো।’
বড় বিরক্ত হয়ে বলতাম, ‘নিবি নে, আর আসিস্নে-

ভয় জীবনের পাতায়।
ভয় আধার রাতে স্বাধীন স্বপ্নে।
ভয় চলার পথে, জীবন সংগ্রামে।
আধার রাতে প্রিয়ার হাতে গোলাপের কাটায়।

শূণ্য চোখে দুঃস্বপ্ন তব্
এসেছো তুমি ফিরে..!
আমরা বাঙালী কি ডালা সাঁজাবো?
প্রার্থণা পূর্ণ হিরে!!!

বাঙালি নদীর তীরে
ছোট্র এক ছায়া নীড়ে
বসবাস খোঁড়ার।
কাজটি ছিল মাছ ধরা
গাঁয়ের হাটে বিক্রি করা
জোগাড় খাওয়া দাওয়ার।

মানব জনম হলো না পূর্ণ বাকীর হিসাব শূন্য
সুখ যদি হারাই আমি তোমারই হবে পূণ্য
মনে জাগে ব্যাথা দুঃখ, তবু তুমিই ধন্য।

আমিতো ফারাক্কানই
দু’বাহুর পেশী দিয়ে, বুকের পাঁজরে আগলে রাখব সব জল
শুধু তোমার জন্যে, আর ওপাড়ে
জ্বলে-পুড়ে সব খাঁক হয়ে যাবে জলশুন্য উত্তপ্ত বালিয়াড়ীর লু হাওয়ায়।

সকল লোভকে জয় করতে পেরেছো তাই
তোমার মনে অশান্ত বিপ্লব খেলা করে
প্রতিদিন সুস্থ জীবনের কথা স্মরণ করো
আর অসুস্থ মিথ্যা কে বির্সজন করে,