অতীতের দিন গুলো ভাবতে ভবতে
যখন আর পারছিলাম না,
মনের গহ্বর পটের দিকে
ফিরে তাকালেই মনে হত,

মরচে পড়া বিবর্ণ সন্ধ্যা জুড়ে আজ আঁধার-
তাই ল্যাম্পপোস্টের হলুদ আলোয় বসে;
লিখি বহুকাল আগের, হেলায় ফেলে রাখা
অসমাপ্ত মলিন চিঠি।

সেদিন খুব ভোরের দিকে, জানালা গলে আসা ঊষার দ্যুতি
পাতলা কাঁথায় জড়ানো ভারী দেহে মাখামাখি করছিলো।
কোমল দ্যুতি মাখা শরীরটাকে নিয়ে
ঘুমপরীরা আরেকবার খেলায় মেতে উঠেছিল।

তোমার জীবনের মহাঅভিশাপ,
নেশা না করে একটা কিছুতো করো
মা বাবার আঁচলে চেষ্টার ঘাম ছাড়ো
তুমি পৃথিবীকে ডেকে দুহাত দেখাও

সারাদিন ঘুমাই তবু আলসে আমি নই যে
গান শুনে আর স্বপ্ন দেখে বেলা আমার যায় যে ।।
এটা ভেবে হয়রান হই, করতে হবে কি যে
গরিবের ছেলে তবু দায়িত্ব কিছু নাই যে ।।

লাশকাটা ঘরে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলাম
ময়নাতদন্ত করতে হবে!
এ কেমন আলস্য-

ধীরে ধীরে অস্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে পৃথিবী
চোখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে,নাকি
পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে,বুঝতে পারছি না ।

কে সে জন কহে আলস্য দোষের আকর
মূর্খ সেইজন দেখেনি বঙ্গের আষাড়-শ্রাবন
আসতে যদি এই তটে এই বাটে
কর্দমাক্ত উঠোন ধানের চারা ভরা জমিন

এই আলো আঁধারীর খেলায়
আমি আপন রঙ খুঁজি,
সময়ের শির টুটি
আমি তোমার পিছু ছুটি ।

বহুদিন পর
এই অসম্ভবের যুগে এসে তোমার চিঠি পেলাম
বড় আকুল তুমি শুধায়েছো
ভাল আছোতো ?