কল্পনাতে রং লাগিয়ে
জড়োসড়ো আসো,
জীবনপ্রিয়া তুমি হিয়া
আমায় ভালোবাসো।

আকাশ-পৃথিবীর মাঝে কত চোখাচোখি
তবুও পায়না দোঁহে অতি কাছাকাছি ,
পৃথিবী তার উঞ্চতা ছড়ায় আকাশে
আকাশের কান্না ঝরে পৃথিবীর বুকে ।

দেহ তীরে কেহ কারে পারেনা ধরিতে
প্রেম তবু বেঁচে রয় চোখের ভাষাতে ।।

স্বপনের সাথে থাক, স্বপ্নের মাঝে কর বাস,
দুঃশ্চিন্তাগুলোর সূচনা-ইতি সমূলে কর বিনাশ,
চুপচাপ আর থাকবে কত, হোক না কথা বেফাঁস,
ক্ষয় হোক, হয় হোক,জয় হোক, জাগুক পূর্বাভাস

প্রিয়ার চোখের কক্ষপথে প্রেম
সূর্য হয়ে আমি হই স্তম্ভিত
হরেকরকম প্রেম বাসা বাঁধে ও চোখে
অবহেলার বলুকনা ফুঁ দিয়ে উড়াও !

তুমি পথ হারানো রাতের ধ্রুবতারা
তুমি পথ দেখালে যখন দিশেহারা
মেঘলা আকাশ হঠাৎ আলোর দিন
তুমি দারুণ প্রিয়া যখন সঙ্গিহীন।

কুৎসিত পিপাসু কাক সজোরে দিয়ে ডাক
জল চাই জল,
দেহটা যাচ্ছে জ্বলে হৃদয়টা তাপে গলে
এখনই শেষ হবে বল।

স্পর্শ দিতেই ছাড়িয়ে নিলো হাত
কাজল আঁখি নামিয়ে নিলো নিচে,
নরম গালে ছড়িয়ে কিসের ঢেউ
আনমনে খুব ভাবলো কিছু মিছে।

তোমাকে ছাড়া ধূলো হয় সখী
সারা জীবনের স্মৃতি,
মিছে হয় সারা বসুমতী আর
অন্ধ অমরাবতী ।

বেবাক নিশিতে...
ধরিত্রী ঢাকা পড়ে কালিমার আস্তরনে,
শ্রান্ত সংসার রজনীকে স্বাগত জানিয়ে,
কালিক কালের অভিপ্রায়ে ব্যস্ততা ভূলে গিয়ে,

পৃথিবী বদলাবে
আমি কাঁদবো
তুমি রয়ে যাবে চিরকাল আমার ভেতর