ফাল্গুন এসেছে আজ ধরণীতে,
মায়াবী ফুল আর লতাপাতার প্রকৃতিতে,
কি নিদারুণ সৃষ্টির আবেশে,
ভাসছি আমি অনাবিল উল্লাসে,

তোকে যখন দেখেছিলাম ষোলো
বুকে আমার কী যে সেকী হল
চোখ নামে না, পা চলা না –

হঠাৎ সেদিন চোখ পড়েছে
তোমার চোখের কবলে
দিনটি ছিল চৈত্র মাসের
অস্তরাগ এক বিকেলে-
হয়নি ফেরা সেই থেকে আর
পুড়ছে সময় আগুনে,
সুখের ভ্রূণে বৃক্ষ হবো
তোমার দেয়া ফাগুনে ।

আমি শুধু প্রতীক্ষার বিরামহীন প্রহর গুনি
নিঃসঙ্গ বসে বসে ভাবি তোমারই অপেক্ষায়,
বাড়ির পাশে প্রকৃতিরই সবুজ ঘেরা মাঠে
দুঃখ বিলাই মরুভূমির পথে পথে।

দিশারী তুমি যে বিপুল জোছনা রাতে
আমি মাতাল পেতে চাই তোমার উত্তল ভূভাগ ।
উষ্ণ তৃষ্ণায় চলো ভাসি উজানের স্রোতে
লজ্জার আবরণ সমস্ত হাওয়ায় উড়ে যাক ।

এই অজানা-অচেনা তুমি,
আমার জীবনে এসে;
বদলে দিলে হৃদয়েরই ভূমি,
ফেললাম ভালোবেসে।

প্রেমের বাঁধনে বাঁধা পড়ে থেকো, চির জীবনের তরে-
একে অন্যকে সযতনে রেখো, হৃদয়ে বন্দী করে।
সহস্র বৈরীতার মাঝেও যেন, ছেড়ো না দু’টি হাত-
মন ভরে তাই করে দিলাম সবে, আশীর্বাদ সম্পাত।

রাতের মৌনতায় তোমার
প্রেম জড়িয়ে আবেশিত হই,
অনেক অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে
আলোতে তোমারই পরশে রই।

কাননে-কান্তারে-বৃক্ষে নব কিশলয়,
বুনো ফুলেরা ছড়াছে, ঘ্রাণ মধুময়!
নির্ঝর বাসন্তী’র প্রকৃতি,
হঠাৎ অভিন্ন অনুভূতি!
মনের আকুলতা আজ বড়ই উন্মাদ!
পেতে চায় শুধু; এ কোন প্রণয়ের স্বাদ?