জীবনের অর্গল খুলে সত্যের অবারিত হাত
ছুঁয়ে যায় নিদ্রাহীন রাত্রির সব অদেখা মুকুল,
পাপে পুন্যে পুরুষের তৃষিত শরীর শেষ সম্বল
তোমাকে যত দেখি তত বাড়ে দেখার ইচ্ছে ভুল ।

আমি শুধু প্রতীক্ষার বিরামহীন প্রহর গুনি
নিঃসঙ্গ বসে বসে ভাবি তোমারই অপেক্ষায়,
বাড়ির পাশে প্রকৃতিরই সবুজ ঘেরা মাঠে
দুঃখ বিলাই মরুভূমির পথে পথে।

অজানিতা! জানতি কি তুই?তোরে আমি এমন করে,
ভালবাসার গভীর ছোঁয়ায়,বুকের মাঝে রাখব ধরে ।
জানতি কি তুই?

একা শহরে প্রথম দেখা,
দিগন্তের মাঝে একটি নাম।
অগোছালো আকাশ যেন,
হিংসায় ঝরে পড়ে;
তোমার শুভ্রতায়।।

তুমি পথ হারানো রাতের ধ্রুবতারা
তুমি পথ দেখালে যখন দিশেহারা
মেঘলা আকাশ হঠাৎ আলোর দিন
তুমি দারুণ প্রিয়া যখন সঙ্গিহীন।

চারদিকে নির্লিপ্ত হৃদয়ের,
বিলুপ্ত হাহাকার,
সুপ্ত আর্তনাদ।

জানি না কোথায় বাড়ি যে তার
কোথায় যে তার ঘর-
অনেক খুজেছি, হয়রান-
তবু পাইনি সু-খবর,
অলস দুপুর, উদাস ব্যাথা-
স্নিগ্ধ বিকেল, নিরবতা-
পাশে এসে বসে, কতো কথা বলে-

কোন এক সোনালি বিকেলে বলেছিলে-
আমার রেশমী একঢাল চুল তোমার খুব প্রিয়,
তাই নির্মম কেমোতে ঝরে যাওয়ায়
ওসব হারানো গৌরবের সাথে হারিয়েছি তোমাকেও।
নার্সের সযত্ন পরির্চযায় এ দেহ কর্কট আক্রান্ত পরবাসী,
আমি কিন্তু তোমায় আজও অনেক ভালোবাসি ।

আমি ও তুমি ক্ষুধা তৃষ্ণা আর সন্ত্রাসের সাথে যুদ্ধ করে
বারবার আহত ও ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছি,
দেশের সব স্বপ্নগুলো যেন ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিদিন দুঃখ ও নৈশব্দের বাস্তবতা পৃথিবীকে ডেকে বলে
সত্য জ্ঞানীর বীজ থেকে শান্তিপূর্ণ পারদর্শী হয়ে ওঠো