কুয়াশা ঝরা শীতের সকালে,
অঝোরে বৃষ্টি ঝরে,
কবির লেখনী ক্লান্ত আজিকে,
হাত হতে যায় সরে।

দিশারী তুমি যে বিপুল জোছনা রাতে
আমি মাতাল পেতে চাই তোমার উত্তল ভূভাগ ।
উষ্ণ তৃষ্ণায় চলো ভাসি উজানের স্রোতে
লজ্জার আবরণ সমস্ত হাওয়ায় উড়ে যাক ।

আমি ও তুমি ক্ষুধা তৃষ্ণা আর সন্ত্রাসের সাথে যুদ্ধ করে
বারবার আহত ও ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছি,
দেশের সব স্বপ্নগুলো যেন ক্ষত বিক্ষত হয়ে যাচ্ছে।
প্রতিদিন দুঃখ ও নৈশব্দের বাস্তবতা পৃথিবীকে ডেকে বলে
সত্য জ্ঞানীর বীজ থেকে শান্তিপূর্ণ পারদর্শী হয়ে ওঠো

আজ তুমি যার
সাথে প্রেম করছো সেকি
আমার থেকে ভাল
গান গাইতে পারে?
সেকি আমার মত
তোমায় প্রেম দিতে
পারবে?

প্রেম নামে পাতার ওপর একটি শিশির বিন্দুতে,
যখন আসে দুঃসময় শুকিয়ে যায় রৌদ্রতে।
সারা রাতের জমানো ভালোবাসা,
নিঃষেশ হয়ে আসে প্রতিবাদের ভাষা।
কিছু প্রেম চিরস্থায়ী কিছু আবার ক্ষনস্থায়ী।

রাতের মৌনতায় তোমার
প্রেম জড়িয়ে আবেশিত হই,
অনেক অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে
আলোতে তোমারই পরশে রই।

যতদিন তুমি ছিলে , ততদিন খিদে ছিল না
মেদহীন অনুভূতি দু'চোখ জেগে ওঠতো
রক্তের মধ্যে ঝড় আর স্বাদকোরক
স্বাভাবিক উষ্ণতা জিভ দিয়ে চেটে নিত ।

প্রতিটি প্রেমিক যুগল তুমি-আমি
প্রতিটি প্রেমের স্পর্শ আমাদের
প্রতিটি নিবিড় আলিঙ্গন আমাদের
প্রতিটি আসক্তির চুম্বন আমাদের
প্রতিটি মধুরতম মিলন আমাদের

নষ্ট প্রেমের দুষ্ট হওয়ায়
তিক্ত জীবন পথ,
দ্বিধা দ্বন্দ্বে বিভাজিত
ভেঙ্গে যাওয়া মন।

একটা সকাল কতোটা রোদেলা হলে তুমি উঞ্চ হবে
বৃক্ষ তুমি কতোটা বিপন্ন হলে অশ্রুর মতো পাতাগুলো ঝড়বে।
শিশির কেটে গেলে ধুলোয় অস্পষ্ট হবে কান্নার অশ্রুদাগ
অসমাপ্ত অনুভ’তি মনে রাখে তার শরীরের ছায়াপথ।