আজকের আকাশটা ধূসর মেঘে ঢাকা! বৃষ্টির মত টুপটুপ করে শিশির পড়ছে...! ফজরের নামাজ পড়ে মিনহাজ উদ্দিন বারবার জানালার কাছে গিয়ে রাস্তার দিকে দেখছে। সময় যত যাচ্ছে নিজের উপর ভীষণ রাগ লাগছে তার...!

মামা চাদরের একটা অংশ দিয়ে রফিকের পা মাথা ঢেকে আর একটু চেপে বসতে বলল। রফিক তাই করল। একটু উম পেয়ে চোখ মেলে তাকাল অর্নবের দিকে। ততক্ষণে গাড়ি কালুরঘাট ব্রীজের কাছাকাছি চলে এসেছে। অর্নব জিজ্ঞাসা করল-

আম্মু যাওয়ার খানিক পড়েই বিছানাটা র্থর্থ করে কাঁপতে শুরু করল। হামিম মনে মনে ভাবল এবার কি বিছানাটাকে ঠান্ডা লাগা শুরু করল নাকি। সে আবার বিছানা থেকে নামল। ফ্লোরে বসে খাটের নিচে তাকাল। বাঘ ছানাটা খাটের সাথে শরীর লাগিয়ে বসে আছে।

তোমাকে রুম হিটার কিনতে হবেনা। আমার জন্য তোমাকে কোন দরদ দেখাতে হবেনা। আমার রুম হিটার আমিই কিনতে পারবে। শখ করে একটা রুম হিটার চেয়েছিলাম, তার জন্য আমাকে কত কথা শুনিয়ে দিলে।

এক্কেবারে পুকুরের ধারে বাড়ি । উত্তুরে হাওয়ার অবাধ যাতায়াত । দখিনা এ বাড়ির দরজা ভুলেই গেছে । প্রতিবারের মত এবারও ছিটে বেড়ায় আরও কিছু মাটি লেপে খড় ত্রিপল দিয়ে একেবারে টান টান করে দিয়েছে ।

বাড়ীর সামনে একটুকরো বাগান , সেখানে মোড়ায় বসে রোদ পোহাচ্ছে হাবিব। তার গায়ে ঘিয়া রঙ্গা ভারী চাদর, তারপরও শীত মানছে না। পিঠে রোদের আচ বেশ আরাম লাগছে।

কার্ত্তিক এলেই মাজেদ উল হক কাজের মেয়েদের বলবেন ওরে তোরা লেপগুলো ছাদে রোদ্দুরে দে, একটু ঝরঝরে হোক । বেগম মাজেদ বলেন আর কিছুদিন বাদে হলেও ক্ষতি হতো না। এখন হটাৎ করেই বৃষ্টি নামে। মাজেদ সাহেব বললেন আবহাওয়া আমি খেয়াল করি, তুমি দুঃশ্চিন্তা করোনা তো।

আজ রাতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হবে। একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করা হয়েছে। রাত বারোটায় গাড়িতে কম্বল নিয়ে শহরে ঘুরে ঘুরে প্রকৃত শীতার্ত মানুষের হাতে কম্বল তুলে দেয়া হবে। সমিতি কম্বল বিতরণের জন্য একটা উপ কমিটি করে মুস্তাফিজের হাতে দায়িত্ব দিয়েছে। সাথে তার সহকর্মী আরো চার পাঁচ জন থাকবে। সবাই কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত। সে রাজনীতি করে না।

গৃহস্থলি ফেলে এলাম দেখব তোমায় বলে
দুচোখ ভরে দেখতে দিলে কই
সূর্য পাটে সাধ অধরা ফিরছি আপন কুলে
আমি তোমার এমন তো কেউ নই

এ দেশের মানুষ ভৌগলিক অবস্থান আর মানসিকতার গঠণ প্রক্রিয়ার তারতম্য এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে উত্তরাধিকারী সুত্রে নিঃস্ব প্রায়