হায় শীত ক্ষনস্থায়ী শীত
এমন করে যেয়োনা চলে।
স্বল্পস্থায়ী জীবনে ক্ষনস্থায়ী
তুমি,তাও আবার গ্লোবাল
উষ্ণায়ন এবং এল নিনোর

ঠাণ্ডা-ঠাণ্ডা হাওয়া,
শীতের সকাল বেলা,
কেউ
গায়ে দেয় রেশমী চাদর,
কেউ
গায়ে দেয় ছালা |

দিন মাস ঘুরে ঘুরে ফিরে ফিরে আসে সেই চির চেনা শীত,
সেই কোন সুদূর সকালে কুয়াশা ঢাকা দিগন্তের মায়া; হাত ছানি
দেয় আজও আমায়, শিশিরের টুপটাপ শব্দ, শিশির কণায় নরম
রোদের ঝিলিমিলি,আনমনে ঝরে পড়া বিবর্ণ পাতার হাহাকার
টেনে নেয় আমাকে আজও সেই সুদূর অতীতের আবর্তে ।

শীত হুঁশ হারাচ্ছে।
ছেলে, তোকে শুইয়ে দিচ্ছে।
উপরে লেপ,
নীচে নরম গদি।

সে এক শীতের রাত -
কনকনে ঠাণ্ডায় , যখন কাঁপতেছিল আমার হাত ,
যখন, বুঝে ছিলাম মৃত্যু হয়তো- হবেই আমার নির্ঘাত ।

এখানে একদিন জীবন্ত মাটি ছিলো,
ছিলো পাললিক প্রেমের অণুগল্প
তুমি, আমি আর সে; ত্রিভুজের তিন কোণের সমষ্টি

আমাদের জন্ম থেকেই
কঠিন সন্ত্রাস দূর্নীতি আর অসহায়ের দুঃখে-কষ্টে।
ভারি হয়ে যাচ্ছে এই প্রিয় বাংলাদেশ
ঘাতক সন্ত্রাসী দূর্নীতিবাজ আর লুটেরাদের অন্যায় অবিচার
দীর্ঘদিন ধরে দেশ ও সমাজ যেন বহন করতে পারছে না
মানুষ আর কতোদিন ধরে স্বপ্ন দেখবে

আমি আর ঘুম-ভাঙানো সেই চাঁদ।...
তবে কি শরীর ছাপিয়ে গেল সে?
আর সেই সম্রাজ্ঞীর রূপ?

আমার লাগি দুনিয়া মরে
আমি মরি তার তরে।
জোছনার ছটা সারা ধরা জুড়ে
আমি শুধু আধাঁরে পরে।

শীতকন্যে, বুঝিস কি তুই গরিব মেয়ের ব্যথা?
পাতলা জামা সঙ্গী যে তার ,রাতে ছেঁড়া কাঁথা
তোর পরশে জড়সড় ঠকঠকিয়ে কাঁপে
এমন সাজা দিস কেন তুই বিন দোষে বিন পাপে?