এই ঠান্ডা ঠান্ডা খেলা
নৈসর্গিক শীতের আবেশে
জমে উঠেছে তখন শিশিরের মেলা।

কুয়াশার চাঁদরে ডেকে
শীত আসছে তেড়ে
বসতে দিব পিড়ে
রসের পিঠা খেয়ে
ঘুমাব ঘরে গিয়ে।

শীত কালে খেজুর গাছ
ভরে খেজুর রসে,
পিঠা খাওয়ার আনন্দে
সবাই মেতে ওঠে উল্লাসে।

শৈত্য প্রবাহ মেরুদণ্ড বরাবর বয়ে যায়
বাঁচিয়ে বাঁচাতে পারব তো
এ উত্তুরের অবাধ যাতায়াত ?

হিম মাখা কাক ভোরে সোনালি আবছায়া অস্পষ্টতা;
ঘুমভাঙ্গা চোখে চেয়ে থাকে নিঝুম প্রহর, শিশিরের টুপটাপ খসে পড়া।
খেজুর রসের গন্ধে মাতাল চিরচেনা সেই পথে বহুদিন বাদে ফের দেখা;
লাগামহীন সময়ের ঘোড়ার অবাধ্য জিনে মুষ্টিবদ্ধ দু’হাত।

শীতের রাতের মতোই ক্ষণস্থায়ী তুমি
কি করে ভুলে যাই সেই স্মৃতি আমি
সেই রাতের ঘোরে আমার জীবন কাটে
খুব জানতে ইচ্ছে হয় ছিলাম কি আখি পটে ?

চিতই পুলি ভাপা পিঠায়
খেজুর রসের এঁটেল মিঠায়
আনন্দে গান তুলে,

হায় শীত ক্ষনস্থায়ী শীত
এমন করে যেয়োনা চলে।
স্বল্পস্থায়ী জীবনে ক্ষনস্থায়ী
তুমি,তাও আবার গ্লোবাল
উষ্ণায়ন এবং এল নিনোর

ফাগুণ এলেই খোলস ছাড়ি
যেমন ধূসর ঋতু খসে যায় সময়আবর্তে
ভাবলেশহীন বাতাস যেমন তার দিক বদলায়
কখনো বিরান সর্ষেফুলের খেত
কখনো চঞ্চল বাঁশ ঝার কে কাঁপিয়ে যায়

আমাদের জন্ম থেকেই
কঠিন সন্ত্রাস দূর্নীতি আর অসহায়ের দুঃখে-কষ্টে।
ভারি হয়ে যাচ্ছে এই প্রিয় বাংলাদেশ
ঘাতক সন্ত্রাসী দূর্নীতিবাজ আর লুটেরাদের অন্যায় অবিচার
দীর্ঘদিন ধরে দেশ ও সমাজ যেন বহন করতে পারছে না
মানুষ আর কতোদিন ধরে স্বপ্ন দেখবে